স্পোর্টস ডেস্ক : ফ্রান্স ২-১ গোলে এগিয়ে ছিল। তবে ইংল্যান্ডের সামনে সমতা ফেরানোর সুবর্ণ সুযোগ আগে। কিন্তু কাজে লাগাতে পারলেন না হ্যারি কেইন। পেনাল্টি শটে পোস্টের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারলে স্বপ্ন ভঙ্গ হয় ইংলিশদের। পরে ২-১ ব্যবধানে জিতেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।
কাতার বিশ্বকাপে শনিবার আল বায়াত স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় দুদল।
এদিন ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে ভালো একটি আক্রমণ করে ইংল্যান্ড। তবে ফিল ফোডেনের জোরাল শট রক্ষণে প্রতিহত হয়।
ম্যাচের ১৭তম মিনিটে দারুণ এক গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। আঁতোয়া গ্রিজমানে পাসে ডি-বক্সের বাইরে থেকে জোরাল শটে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের ১-০ ব্যবধানে লিড এনে দেন অহেলিয়া চুয়ামেনি।
২৬তম মিনিটে ডান দিক থেকে বক্সে ঢোকার মুখে প্রতিপক্ষের চ্যালেঞ্জে হ্যারি কেইন পড়ে গেলে পেনাল্টির আবেদন করে তারা, তবে রেফারির সাড়া মেলেনি, ভিএআরেও তেমন কিছু ধরা পড়েনি। তিন মিনিট পর কেইনের জোরাল শট একজনের গায়ে লেগে লক্ষ্যেই ছিল, ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন হুগো লরিস।
বিরতির পর অবশ্য দ্রুতই ম্যাচে ফেরে ইংল্যান্ডে। ম্যাচের ৫৪তম মিনিটে হ্যারি কেইনের পেনাল্টি গোলে সমতা পায় দলটি। দুই মিনিট আগে বুকায়ো শাকাকে চুয়ামেনি ফাউল করলে রেফারি পেনাল্টির বাাঁশি বাজান। সেখান থেকে গোল করেন কেইন।
কিন্তু অলিভার জিরুদের গোলে ফের এগিয়ে যায় ফ্রান্স। ম্যাচের ৭৮তম মিনিটে গ্রিজমানের ক্রসে দারুণ এক হেডে গোল করেন এই স্ট্রাইকার।
তবে সমতায় ফেরার ফের সুযোগ পেয়েছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু পেনাল্টি মিস করে ইংল্যান্ডের বিদায় ঘণ্টা বাজিয়ে দেন সেই কেইন। ম্যাসন মাউন্টকে হার্নান্দেজ ফেলে দিলে রেফারি ভিএআর চেক করে পেনাল্টির বাঁশি বাজান। তবে এবার স্পট কিক থেকে পোস্টের ওপর দিয়ে বল মারেন কেইন।
এরপর দুদল আরও কয়েকটি প্রচেষ্টা চালায়। তবে ২-১ গোলের জয় নিয়েই শেষ চার নিশ্চিত করে ফ্রান্স। সেমিফাইনালে তারা মরক্কোর বিপক্ষে খেলবে।