স্পোর্টস ডেস্ক : সরকার পতনের পর এমনিতেই ঝুলে গিয়েছিল পূর্বাচলে শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামের ভাগ্য। আপাতত সেটি ঝুলেই থাকছে। আজ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সক্রিয় পরিচালকদের সঙ্গে আলোচনায় নতুন সভাপতি ফারুক আহমেদ নীতিগতভাবে একমত হয়েছেন যে এর নির্মাণপ্রক্রিয়া শুরু হলেও হবে আরো অন্তত এক বছর পর। আগামী বৃহস্পতিবার পরিচালনা পর্ষদের সভায় এই সিদ্ধান্তই তোলা হবে অনুমোদনের জন্য।

একই সঙ্গে দেশের রাজনৈতিক হাওয়া বদলের পর বিসিবির থমকে যাওয়া কাজের গতি কিভাবে ফেরানো যায়, তা নিয়েও কথা হয়েছে আজ।
বৃহস্পতিবারের সভায় কোরাম পূর্ণ করতে হলে অন্তত ৯ জন পরিচালককে উপস্থিত থাকতে হবে। আত্মগোপনে থাকা বোর্ড পরিচালকরা বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের কাজে ফেরেননি। তাদের ছাড়া কোরাম পূর্ণ করেই সভা করা যাবে বলে আশাবাদী পরিচালকরা, যাদের অনেকে এটিকে ‘জরুরি সভা’ হিসেবেই ধরছেন।

কারণ পূর্বাচল স্টেডিয়ামের ব্যাপারে মাস শেষ হওয়ার আগেই সিদ্ধান্ত নেওয়াটা জরুরি। এই স্টেডিয়াম নির্মাণের কাজ পেতে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আগামী ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল নাজমুল হাসান সভাপতি থাকতেই।

তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এখনই কাজ শুরু করতে চাচ্ছে না ফারুকের নেতৃত্বাধীন বিসিবি। সে বিষয়েই এক পরিচালক বলছিলেন, ‘আমাদের এই টেন্ডার ড্রপিংটা বন্ধ করতে হবে।

না হলে আরেকটি নতুন সমস্যা তৈরি হবে। এ জন্য ২৯ তারিখ মিটিং ডাকা হয়েছে। আমরা চাচ্ছি টেন্ডার ড্রপিংয়ের সময়টা স্থগিত করতে অথবা পরিবর্তন করে পিছিয়ে নিতে।’

নাজমুলের সময়ে নৌকার আদলে নকশা করা হয় স্টেডিয়ামটির। এখন নকশা আর নাম পরিবর্তন ‘বাধ্যতামূলক’ হয়ে পড়েছে বলে মনে করছে বিসিবি।

আরেক বোর্ড পরিচালক বলেন, ‘আগের নকশায় তো আর স্টেডিয়াম করা সম্ভব নয়। নৌকার যে নকশা ছিল সেভাবে করলে লোকে ভেঙে ফেলার আশঙ্কা বেশি। এ ছাড়া নামও বদলাতে হবে।’

পূর্বাচলের এই স্টেডিয়াম শেষ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখবে কি না—এমন প্রশ্নে এই পরিচালক বলেন, ‘স্টেডিয়ামটা তো আমাদের দরকার। আইসিসিতে প্রতিশ্রুতি দেওয়া। ২০৩১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য মাঠের সংখ্যা বাড়াতে হবে।’ কিন্তু কাজ শুরু হলে কবে হবে? সংবাদমাধ্যমকে বলা আরেক পরিচালক আকরাম খানের কথা থেকে সে বিষয়ে একটি ধারণা পাওয়া গেছে, ‘আমরা (এই বোর্ড) আগামী বছরের অক্টোবর পর্যন্ত আছি। এই সময়ের মধ্যে বড় কোনো প্রকল্পে হয়তো আমরা হাত দিতে পারব না। ছোট ছোট যে কাজ আছে, সেগুলো শেষ করতে চাই।’