অনলাইন ডেস্ক : এমপি শহিদ ইসলাম পাপুলের কেলেঙ্কারিতে নাম আসার পর কুয়েতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এসএম আবুল কালামের জায়গায় মেজর জেনারেল মো. আশিকুজ্জামানকে দায়িত্ব দিয়েছে সরকার।
সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উপসাগরীয় দেশটির বাংলাদেশ মিশনে এই পরিবর্তন আনার কথা জানানো হয়।

রাজনীতিক থেকে কূটনীতিক বনে যাওয়া আবুল কালাম ২০১৬ সাল থেকে কুয়েতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করছিলেন।

কুয়েতে পাপুল গ্রেপ্তার হওয়ার পর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে তার মদদদাতা হিসাবে রাষ্ট্রদূত কালামের নাম আসছিল।

সেখানে বলা হয়, গত ফেব্রুয়ারি মাসে পাপুলের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত শুরু হলেও সে সময় দূতাবাস থেকে ঢাকায় চিঠি পাঠিয়ে জানানো হয়েছিল, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

পাপুলের সঙ্গে রাষ্ট্রদূতের সংশ্লিষ্টতার খবর প্রকাশ করতে গিয়ে কয়েকজন সাংবাদিককে বিপদের মুখে পড়তে হয় বলেও গণমাধ্যমে এসেছে।

লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য পাপুলকে গত ৬ জুন রাতে কুয়েতের মুশরিফ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। মারাফি কুয়েতিয়া কোম্পানির অন্যতম মালিক পাপুলের সেখানে বসবাসের অনুমতি রয়েছে।

পাচারের শিকার পাঁচ বাংলাদেশির অভিযোগের ভিত্তিতে পাপুলের বিরুদ্ধে মানবপাচার, অর্থপাচার ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের শোষণের অভিযোগ এনেছে কুয়েতি প্রসিকিউশন। ১৭ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর এখন তিনি কুয়েতের কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন।

পাপুলকাণ্ডে রাষ্ট্রদূত এসএম আবুল কালামের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে বলে গত সপ্তাহে জানিয়েছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

চলতি মাসে মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় রাষ্ট্রদূত কালাম দেশে ফিরে আসছেন বলেও খবর দিয়েছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

নতুন রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আশিকুজ্জামান সেনাবাহিনীতে কমিশন পান ১৯৮৮ সালে। ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের সিনিয়র ডিরেক্টিং স্টাফ (আর্মি) হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।

এর আগে সিয়েরা লিওন, আইভোরি কোস্ট এবং ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে দায়িত্ব পালন করেছেন আশিকুজ্জামান।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিফেন্স স্টাডিজ এবং স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেছেন তিনি।