অনলাইন ডেস্ক : করোনার মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব না হলে শেষ পর্যন্ত পরীক্ষা ছাড়াই পরের ক্লাসে উত্তীর্ণ হবে শিক্ষার্থীরা। এক্ষেত্রে সীমিত আকারে হলেও চলতি শিক্ষাবর্ষের মৌলিক বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হবে পরের শিক্ষাবর্ষে। এ বিষয়ে নিজেদের সুপারিশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে বাংলাদেশ পরীক্ষা উন্নয়ন ইউনিট-বেডু। মন্ত্রণালয় বলছে, আগামী মাসে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

১৭ মার্চ থেকে বন্ধ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। নেয়া সম্ভব হচ্ছে না এইচএসসি পরীক্ষাও। অফিস আদালত খুলে দেয়া হলেও এখনো অনিশ্চিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিষয়টি।

এ অবস্থায় সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ পরীক্ষা উন্নয়ন ইউনিট-বেডু শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ৩৯ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। যেখানে গুরুত্বপূর্ণ সুপরিশগুলোর মধ্যে রয়েছে।

এক, সেপ্টেম্বরে স্কুল খুললে সীমিত আকারে হবে প্রতি বিষয়ে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা।

দুই, নভেম্বরে স্কুল খুললে নেয়া হবে প্রতি বিষয়ে এমসিকিউ পদ্ধতিতে ৫০ নম্বরের পরীক্ষা।

তিন, ডিসেম্বরেও স্কুল খোলা না হলে কোন পরীক্ষা ছাড়াই পরবর্তী শ্রেণীতে চলে যাবেন শিক্ষার্থীরা। তবে আগের বছরের মৌলিক পাঠ্যক্রম অন্তুর্ভুক্ত হবে পরের বছর।

বাংলাদেশ পরীক্ষা উন্নয়ন ইউনিটের ঊর্ধ্বতন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক রবিউল কবীর চৌধুরী বলেন, ‘আমরা বলেছি যে পরবর্তী ক্লাসে শিফট করে দেয়া। যদি প্রমোশন দেয়া হয় কোনো পরীক্ষা ছাড়া আগের ক্লাসের কিছু অধ্যায় পরবর্তী ক্লাসে পড়ানো হবে।’

মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, শিক্ষাবর্ষ প্রায় শেষের দিকে। এ অবস্থায় খুব দ্রুত নিতে হবে সিদ্ধান্ত। সুপারিশগুলোকে শেষ মুহুর্তের যাচাই বাছাই করে শিগগিরই সিদ্ধান্ত জানাবে সরকার।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, ‘কোন সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললে কি হবে তার একটা ড্রাফট আমাদের দিয়েছে। সেই মতামতগুলোকে আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি।’

জেএসসি এবং জেডিসি পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও নিয়ম প্রযোজ্য হবে। আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললেও এইচএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতিতে কমপক্ষে ১ মাস সময় নেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।