অনলাইন ডেস্ক : আজ (শুক্রবার) ১২ রবিউল আউয়াল, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এই দিনে আরবের মরুপ্রান্তরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। প্রায় এক হাজার ৪০০ বছর আগে মা আমিনার কোল আলো করে জন্ম নেন তিনি। আবার এই দিনে তিনি পৃথিবী ছেড়ে চলে যান। এ জন্য এটি ওফাত দিবসও। বিভ্রান্ত মানুষদের পথ দেখিয়ে ৬৩ বছর বয়সে তিনি ইন্তেকাল করেন।
হজরত মুহাম্মদ (সা.) পৃথিবীতে এসেছিলেন তওহিদের মহান বাণী নিয়ে। তাই পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে বিশ্ববাসীসহ মুসলিম উম্মাহর আনন্দের দিন। আবার এদিনই তিনি মারা যাওয়ায় একইসঙ্গে এটি মুসলিম বিশ্বের জন্য কষ্টের দিনও।
এই দিনটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় রওশন এরশাদ বাণী দিয়েছেন। এ উপলক্ষে রাজধানীসহ দেশের সরকারি স্থাপনাগুলো আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে।
দিনটি উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল, আলোচনা ও কোরআন খতমসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করবে ইসলামিক ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক দল, মসজিদ ও মাদরাসা। তবে সবকিছু হবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে। আর কারোনার কারণে কিছুটা সীমিত পরিসরে।
ইসলাম ধর্মমতে, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হজরত মুহাম্মদ (সা.) নবুয়তের সিলসিলায় শেষ নবী। তিনি পৃথিবীতে এসেছিলেন তওহিদের মহান বাণী নিয়ে। সারা আরব বিশ্ব যখন পৌত্তলিকতায় বিশ্বাস করত, তখন মহান আল্লাহ-তায়ালা তার প্রিয় হাবিব হজরত মুহাম্মদকে (সা.) রহমতস্বরূপ বিশ্বজগতে পাঠিয়েছিলেন।
সবধরনের কুসংস্কার, গোঁড়ামি, অন্যায়, অবিচার ও দাসত্বের শৃঙ্খলা ভেঙে মানবসত্তার চিরমুক্তির বার্তা বহন করে এনেছেন তিনি। নিজ যোগ্যতা, মহানুভবতা, সহনশীলতা, কঠোর পরিশ্রম, নিষ্ঠা ও সীমাহীন দুঃখ-কষ্টের বিনিময়ে প্রিয় নবী জীবনাদর্শ রেখে গেছেন।