অনলাইন ডেস্ক : দীর্ঘ ৯ বছরের বেশি সময় ধরে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তবে মূল্যস্ফীতি ও আবাসন সংকটের জেরে তার জনপ্রিয়তা দিন দিন তলানির দিকে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই ট্রুডোর সংখ্যালঘু জোট সরকারের প্রধান শরিক দল নিজেদের সমর্থন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে। এতদিন এই দলের সমর্থনের ওপর ভর করেই ক্ষমতায় রয়েছেন তিনি। তাই আগামী বছরের শুরুর দিকে ট্রুডো ক্ষমতা হারাতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর রয়টার্সের।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) নিউ ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এনডিপি) নেতা জাগমিত সিং জানান, ট্রুডোর সংখ্যালঘু লিবারেল সরকারের পতন ঘটাতে এবং একটি নির্বাচন আয়োজনের উদ্যোগ নেবেন তিনি। এ বিষয়ে ইতিমধ্যে ট্রুডোকে একটি খোলা চিঠি দিয়েছেন তিনি।
জাগমিত সিং জানান, ২৭ জানুয়ারি হাউস অব কমন্সের শীতকালীন বিরতি শেষে একটি আনুষ্ঠানিক অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করবেন তিনি। সব বিরোধী দল প্রস্তাবটি সমর্থন করলে ৯ বছরের বেশি সময় ধরে প্রধানমন্ত্রী থাকার পর ট্রুডোকে পদত্যাগ করতে হবে। একই সঙ্গে দেশে নতুন একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
গত ১৮ মাস ধরে চালানো বেশ কয়েকটি জরিপে দেখা গেছে, এখন যদি কানাডায় নির্বাচন হয় তাহলে বাড়তি মূল্যস্ফীতি ও আবাসন সংকট নিয়ে ভোটারদের ক্ষোভের কারণে ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টি ডানপন্থী কনজারভেটিভদের কাছে পরাজিত হবে।
এনডিপির অভিযোগ, বড় বড় ব্যবসার প্রতি অত্যধিক নির্ভরশীল ট্রুডো। জাগমিত সিং বলেন, যে-ই লিবারেল পার্টির নেতৃত্বে থাকুক না কেন, এই সরকারের সময় শেষ। আমরা হাউস অব কমন্সের পরবর্তী অধিবেশনে একটি স্পষ্ট অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করব।
এদিকে জাগমিত সিংয়ের অনাস্থা প্রস্তাবে সমর্থন দেয়া প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দেশটির বড় বিরোধী দল ব্লক কুইবেকোইসের নেতা। তার ভাষায়, ট্রুডোর ক্ষমতায় থাকার মতো কোনো কারণ নেই।
ট্রুডো সরকারকে হটাতে আরও এক ধাপ এগিয়ে কনজারভেটিভরা। দলটি বলছে, এই বছর শেষের আগেই অনাস্থা ভোটের জন্য পার্লামেন্টের অধিবেশন ডাকতে গভর্নর জেনারেল মেরি সাইমনের কাছে আবেদন জানাবে তারা। মেরি সাইমন কানাডার রাষ্ট্রপ্রধান রাজা চার্লসের ব্যক্তিগত প্রতিনিধি। তবে সংবিধান বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাইমন এমন পদক্ষেপ প্রত্যাখ্যান করবেন।
কনজারভেটিভ নেতা পিয়ের পোলিয়েভর সাংবাদিকদের বলেন, আমরা একটি বিশৃঙ্খল সরকার আর সহ্য করতে পারি না। জাস্টিন ট্রুডোর ওপর পার্লামেন্টের আস্থা নেই।