অনলাইন ডেস্ক : নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করার প্রতীক উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, নির্বাচন কমিশন তো একটি ইন্ডিপেন্ডেন্ট বডি, স্বাধীন সত্তা। এখানে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল এক একটি শেয়ার হোল্ডার। আপনি সরকারের কথায় দিনের ভোট রাতে করেছেন। ভোটকেন্দ্রে মানুষকে বিতাড়িত করে গরু-ছাগলকে পাঠিয়েছেন। এটার প্রতীক হলো নির্বাচন কমিশন, নির্বাচনকে ধ্বংস করার প্রতীক হলো নির্বাচন কমিশন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রয়াত সভাপতি শফিউল বারী বাবু ও বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল আউয়াল খান এর রুহের মাগফিরাত কামনায় ছাত্রদল আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, এ দেশের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য যে প্রতিষ্ঠান, সেই পদ্ধতি গুলো আপনি পরিবর্তন করছেন শেখ হাসিনার কথায়। এখানে অন্যান্য কোন রাজনৈতিক দলের মতামত নিচ্ছেন না কারণ আপনারা তো সরকারি চাকরি করেন। আপনার তো নিজেরাই নিজেদের স্বাধীন সত্তা বিলোপ করে চাকর হয়েছেন সরকারের। তিনি বলেন, এখন নির্বাচন কমিশনের কোন কাজ নাই নির্বাচনক্ষেত্র গোরস্থানে পাঠিয়েছে দিনের ভোট রাতে করেছে।
এখন তিনি বিরাট কাজ দিয়েছেন। উনি ইউনিয়ন পরিষদ পল্লী পরিশোধ করবে, উনি উপজেলা চেয়ারম্যানকে উপজেলার পিতা করবেন সেই কাজে হাত দিয়েছেন। যে ঐতিহ্য সংস্কৃতি সেটাকে ভাঙছে।
আজকে গোটা দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে সরকার ভেঙে দিয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব বলেন, মফস্বলের হাসপাতালগুলোতে কোন চিকিৎসা নাই। সেখানে হাসপাতালগুলোতে যাওয়া মানে মৃত্যুর সার্টিফিকেট নিশ্চিত পকেটে নিয়ে যাওয়া। এর বাহিরে অন্যকিছু নেই।
তিনি বলেন, এই সরকার শুধুমাত্র ক্রসফায়ার গুম-খুনের মধ্য দিয়ে শুধুমাত্র একটা অমানবিক রাজনৈতিক সংস্কৃতি চালু করেনি এই সরকার সরা দেশের মানুষকে মৃত্যু কূপে ফেলে দেওয়ার জন্য সমস্ত ব্যবস্থা করেছে। আজকে মেঘা প্রজেক্ট করেন, আজকে ফ্লাইওভার করেন টাকা চলে যায় কানাডায়, টাকা চলে যায় মালয়েশিয়ায়। শুনি বেগম পল্লী, শুনি সেকেন্ড হোম আর বাংলাদেশের হাসপাতালগুলোতে ধুকে ধুকে মরে সাধারন মানুষরা। আজ এই করোনার আক্রমনের সময় রাস্তায় ও হাসপাতালের বারান্দায় মানুষ মারা যাচ্ছে। সবচেয়ে ভয়াবহ হচ্ছে নেগিটিভ করোনা পরীক্ষায় বলে দিচ্ছেন পজিটিভ আর পজিটিভ করোনা পরীক্ষায় বলে দিচ্ছেন নেগেটিভ। এই যে প্রতারণার জাল জালিয়াতি প্রত্যেকটির সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পর্ক আছে। আওয়ামী লীগের সিন্ডিকেটের লোক, আওমীলীগ এর টোকশো বাজ, সব সরকারের লোক। তারপরও তারা নির্দ্বিধায় গলা উঁচু করে কথা বলে।