সোনা কান্তি বড়ুয়া : মনুষ্যত্বের পুন্য বাঁধনে নতুন বছরের প্রথম দিনের প্রথম সূর্য! সেই আবার এসে পড়ল একটি নতুন বছরের প্রথম দিন। শুভ নতুন বছরের প্রথম দিনের প্রথম সূর্য! নানা স্মৃতি রেখে বিদায় নিলো বছরের শেষ সূর্য। বিদায় ঘণ্টা বেজে গেলে চলে যেতে হবে। এটাই নিয়ম। সেই নিয়ম মেনেই চলে গেলো আরো একটি বছর। মুসলমানদের বাবরি মসজিদ ভেঙে নির্লজ্জ হিন্দুরাজনীতির ১৪৪৪ হিজরিতে ১৪২৯ ভুয়া বঙ্গাব্দের ‘রঙ্গদর্শন (DRAMA) কেন?
দেড়শো বছর আগে বঙ্গদর্শন পত্রিকার ‘পত্রসূচনা’য় সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায় যে উদ্দেশ্য সাধনের কথা ঘোষণা করেছিলেন সেই উদ্দেশ্য আমরা আজও সাধন করতে পারিনি, বরং বঙ্গাব্দের বঙ্গদর্শন নেই, হিন্দু মুসলমান রাজনীতির বঙ্গাব্দের ‘রঙ্গদর্শন’ই নির্লজ্জ হিন্দুরাজনীতি বঙ্গাব্দের “নামে বৌদ্ধ চিন্তাধারাপুষ্ঠ ঐতিহাসিক চর্যাপদের বুদ্ধাব্দকে (২৫৬৬ বুদ্ধবর্ষ) হত্যা করে (বৌদ্ধহত্যা যজ্ঞ, দেশ, ৪ মে ২০০১ পৃষ্ঠা ১২ কলকাতা) ১৪৪৪ হিজরিতে ১৪২৯ বঙ্গাব্দ করেছে! হিন্দুরাজনীতির বঙ্গাব্দে যেন তা-ই হালে বর্তমান ও ভবিষ্যত। জাতিভেদ প্রথায় মানুষের মনুষ্যত্ব কেড়ে নেওয়াটাই হিন্দু রাজনীতির হিন্দু ধর্ম এবং হিন্দু দর্শন!
প্রসঙ্গত: উল্লেখযোগ্য যে, ব্রাহ্মণগণ শ্রেষ্ঠ হলে বৌদ্ধ এবং মুসলমানসহ অন্য মানব সন্তান নিকৃষ্ঠ হয় কেন? হিন্দু রাজনীতির বর্ণ বৈষম্য মিথ্যা, যাগযজ্ঞ মিথ্যা, বেদ মিথ্যা, হিন্দু দর্শন-সূত্র মিথ্যা, হিন্দু আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে “বন্দে মাতরম” শীর্ষক কবিতার লেখক সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ভাষায়, “তখন বিশুদ্ধাত্মা শাক্যসিংহ (বুদ্ধ) অনন্তকালস্থায়ী মহিমা বিস্তারপূর্বক, ভারতাকাশে উদিত হইয়া, দিগন্ত প্রসারিত রূপে বলিলেন, আমি তোমাদের রক্ষা করিব। বর্ণ বৈষম্য মিথ্যা। যাগযজ্ঞ মিথ্যা। বেদ মিথ্যা, সূত্র মিথ্যা, ঐহিক সুখ মিথ্যা, কে রাজা, কে প্রজা, সব মিথ্যা। ধর্মই সত্য। মিথ্যা ত্যাগ করিয়া সকলেই সত্যধর্ম পালন কর। (বঙ্কিম রচনাবলী, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ৩৮২ থেকে ৩৮৩, সাহিত্য সংসদ প্রকাশিত! জয় সত্য ও মানবতার জয়। আবার আলোকিত হবে, বৌদ্ধময় হবে, সাম্য ও শান্তির বাণী ছড়িয়ে পড়বে চারিদিকে।
নির্লজ্জ হিন্দু রাষ্ট্রশক্তি চর্যাপদের বুদ্ধাব্দকে (২৫৬৬ বছর) বাদ দিয়ে এবং হিন্দু ধর্মকে মহিমান্বিতকরতে ১৪৪৪ হিজরিতে ১৪২৯ বঙ্গাব্দের ‘রঙ্গদর্শন (DRAMA) কেন? বঙ্গাব্দের ‘রঙ্গদর্শনের ভাষা সেই রঙ্গের নানা রূপ, তার এক রূপ হল চর্যাপদ বাংলা ভাষার ভারতের অতীত ও ঐতিহ্যে পূজনীয় গৌতম বুদ্ধের প্রথম ধর্মচক্র উপদেশ প্রতিদিন প্রতি মুহূর্তে বৌদ্ধ চিন্তাধারাপুষ্ঠ অশোক চক্র (ধর্মচক্র) ভারতের জাতীয় পতাকা এবং জাতীয় এমবেøম বা সরকারী স্মারক চিহ্ন রুপে “সত্য মেব জয়তে” বিরাজমান! ভারতের জাতীয় পতাকা ও এমবেøমে বৌদ্ধধর্মের ধর্মচক্র প্রচারে বিশ্বজয়!
পতাকা শুধু একখণ্ড বস্ত্রবিশেষ নয়, যা সচরাচর চারকোনা এক টুকরো সাদা বা রঙিন কাপড় দিয়ে তৈরি করা হয়। ভারতের জাতীয় পতাকা রাষ্ট্র ও জাতি হিসেবে একটি দেশের স্বকীয়তার প্রতীক। এর সঙ্গে জড়িয়ে থাকে একটি জাতির ভালোবাসা, ইতিহাস আর ত্যাগের গল্প। পতাকা যে দেশেরই হোক, তার কথা বলতে গেলে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেই অসাধারণ পঙিক্তটিই আমাদের হৃদয়ে বাজে, ‘তোমার পতাকা যারে দাও, তারে বহিবারে দাও শকতি’। মনুষ্যত্বের পুন্য বাঁধনে অতীত ও ঐতিহ্যের সভ্যাতায় নতুন বছরের প্রথম প্রথম দিনের সূর্য ছিলেন গৌতমবুদ্ধ!
হিন্দুরাজনীতির ষড়যন্ত্রে বাংলাদেশে অতীত ও ঐতিহ্যে বৌদ্ধ অবদান চর্যাপদের ২৫৬৬ (বুদ্ধাব্দ) বাংলা সাল বাদ দিয়ে নোবেল বিজয়ী অমর্ত্য সেন, বাংলা একাডেমীর অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সন্মানিত অতিথি হিসেবে “ভাষা চেতনা বাঙালির গর্বের বিষয়” শীর্ষক ভাষণে বলেন, “অনেকেই মাঝে মধ্যেই প্রশ্ন করে যে ১৪০০ সাল হলো কী ভাবে। এখন ১৪১৭ তে কী ভাবে এলো, ১৪১৭ হচ্ছে মক্কা থেকে মদীনায় মোহাম্মদের (সা.) যাওয়ার দিন থেকে গণনার স্মারক। প্রথম দিকে লুনার এবং তারপরে সোলার ক্যালেন্ডার এই দুটি মিলিয়ে করা। আকবর সোলার ক্যালেন্ডারে বিশ্বাস করতেন। এটি কিন্তু বাংলা ছাড়া সাব কন্টিনেন্টের কোনো অঞ্চলে আর থাকেনি। (‘সাপ্তাহিক আজকালে পৃষ্ঠা ১৩, ফেব্রুয়ারী ৪, ২০১১ সাল, টরন্টো)!”
হৃদয়ে বাজে নতুন বছরের প্রথম দিনের প্রথম সূর্য ও বঙ্গাব্দের বঙ্গদর্শন! ভারতের সংবিধানের কাছে পরাজিত হিন্দু জাতিভেদ প্রথার রাজনীতি! জাতিভেদ প্রথায় মানুষের মনুষ্যত্ব কেড়ে নেওয়াটাই হিন্দু রাজনীতির হিন্দু ধর্ম! হিন্দু জাতিভেদ প্রথার রাজনীতি মুসলমানদের বাবরি মসজিদ ভেঙে (6 DECEMBER 1992) রাম মন্দির বানানোর মত নির্লজ্জ হিন্দুরাজনীতি ইসলামিক হিজরি (১৪৪৪) সালকে ভেঙে (চন্দ্র বা ইংরেজিতে সূর্য ক্যালেন্ডারের নামে) হিন্দুমার্কা বঙ্গাব্দ করেছে। চর্যাপদের ২৫৬৬ বুদ্ধবর্ষ বাদ দিয়ে হিন্দুমার্কা বঙ্গাব্দ (১৪২৯) রচনা করতে সম্রাট আকবরের রাজত্বকালে হিন্দুরাজনীতির “আল্লাহ উপনিষদে” রচিত হলো: “আল্লো জ্যেষ্ঠং শ্রেষ্ঠং পরমং, পূর্ণং ব্রহ্মানং অল্লাম। অর্থাত দেবতাদের রাজা আল্লাহ আদি সকলের বড় ইন্দ্রের গুরু।”
ভোরে নতুন বছরে নতুন স্বপ্ন নিয়ে উঠবে নতুন সূর্য। সেই সূর্যের আলোয় ধুয়ে-মুছে যাবে সব গøানি, দুঃখ আর কষ্ট। এই প্রত্যাশাতে ই পুরনো বছরকে বিদায় দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত গোটা বিশ্বের মানুষ। কোন হিন্দু মন্দিরে বুদ্ধ পূজা হয় না, তবু ও হিন্দু রাজনীতি বৌদ্ধ সভ্যতাকে গ্রাস করতে গৌতমবুদ্ধকে হিন্দুমার্কা বিষ্ণুর নবম অবতার বানিয়ে গৌতমবুদ্ধের পূত পবিত্র ধ্যানভূমি বুদ্ধগয়ার মহাবোধি মন্দির দখল করেছে! হিন্দু রাজনীতির হাতে গৌতমবুদ্ধের পূত পবিত্র ধ্যানভূমি বুদ্ধগয়া (MANAGEMENT COMMITTEE) এবং “হিন্দু রাজনীতি রাশি রাশি বৌদ্ধমন্দির ধ্বংস করে হিন্দু মন্দিরে বদলানো হয়েছিল (সম্পাদকীয়, আনন্দবাজার পত্রিকা, ২৩ আগষ্ট, ১৯৯৩) দক্ষিন এশিয়া জুড়ে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা ইচ্ছা করে গুঁড়িয়ে দিয়েছে রাশি রাশি বৌদ্ধ KINGDOMS (SIKHIM) বাড়ীসহ পুরানো বৌদ্ধ শহর(বৌদ্ধহত্যা যজ্ঞ, দেশ, ৪ মে ২০০১ পৃষ্ঠা ১২ কলকাতা)! রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঠাকুরের ভাষায় :
“বিধির বাঁধন কাটবে তুমি, (হিন্দু রাজনীতি) এমন শক্তিমান
তুমি কি এমন শক্তিমান!
আমাদের ভাঙাগড়া তোমার হাতে এমন অভিমান
তোমাদের এমনি অভিমান\
চিরদিন টানবে পিছে, চিরদিন রাখবে নীচে
এত বল নাই রে তোমার, সবে না সেই টান\
শাসনে যতই ঘেরো আছে বল দুর্বলেরও,
হও-না যতই বড়ো আছেন ভগবান।
আমাদের শক্তি মেরে তোরাও বাঁচবি নে রে,
বোঝা তোর ভারী হলেই ডুববে তরীখান!”
হিন্দুরাজনীতি বঙ্গাব্দের বাংলা পঞ্জিকা রচনায় হিজরি (১৪৩৯) সালকে ভাড়া করে এনে সূর্য্য ক্যালেন্ডারের দোহাই দিয়ে বাঙালি মুসলমানদের চোখে ধোকা দেয় এবং ইসলামিক হিজরি সালকে বিকৃত করে বঙ্গাব্দ (১৪২৯) রচনা করার মিথ্যা ইতিহাস বর্ণনা করেছে। ভারতে হিন্দুধর্মের পূর্বে কাশ্যপব্দ্ধুর বৌদ্ধধর্ম প্রসঙ্গ এবং প্রাচীন হিন্দু উপনিষদের বিভিন্ন উপদেশ প্রাগৈতিহাসিক কাশ্যপব্দ্ধুর বৌদ্ধধর্ম থেকে নকল করা হয়েছে বলে গৌতমবুদ্ধ ত্রিপিটকের (মধ্যম নিকায়ের ৭৫ নন্বর) মাগন্দিয় সূত্রে ব্যাখ্যা করেছেন।
বিশ্বের ধর্ম প্রচারকদের মধ্যে একমাত্র গৌতমবুদ্ধ (রাজপুত্র সিদ্ধার্থ) প্রায় ২৬০০ বছর পূর্বে রাজপুত্র সিদ্ধার্থ (রগৗতমবুদ্ধ) বাল্যকালে যে বাংলা লিপি অধ্যয়ন করেছিলেন এর ঐতিহাসিক প্রমাণ বাংলা বিশ্বকোষের ১৩শ ভাগ, ৬৫ পৃষ্ঠায় সগৌরবে লিপিবদ্ধ আছে। প্রত্যেক বারই যখন নতুন বছরের নতুন দিনটির সামনে দাঁড়াই তখন দু’টি জিনিস মনে পড়ে। এই নতুন দিনটি আসার মানে আমি, যে এই লেখাটি লিখছে এখন, সে আরও একটু পুরনো হয়ে গেল। শুধু কি বয়সের দিক থেকে? না সিন্ধুসভ্যাতায় অতীত ও ঐতিহ্যে বৌদ্ধধর্মের প্রত্নতাত্তি¡ক ইতিহাস আবিস্কার! শুভ নতুন বছরের প্রথম দিনের পুণ্যচেতনা স্মরণ করে গৌতমবুদ্ধ বাংলা বর্ণমালা অধ্যয়ন করার পর ও আজ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ কেন?
নির্লজ্জ হিন্দু রাষ্ট্রশক্তি চর্যাপদের বুদ্ধাব্দকে (২৫৬৬ বছর) বাদ দিয়ে এবং বৌদ্ধধর্মকে নিশ্চিহ্ন করে হিন্দু ধর্মকে মহিমান্বিতকরতে ১৪৪৪ হিজরিতে ১৪২৯ বঙ্গাব্দ করেছে! বঙ্গাব্দের ‘রঙ্গদর্শনের ভাষা সেই রঙ্গের নানা রূপ, তার এক রূপ হল চর্যাপদ বাংলা ভাষার প্রথম বই! হিন্দু রাষ্ট্রশক্তি বৌদ্ধ ত্রিপিটককে নিশ্চিহ্ন করে হিন্দু ধর্মকে মহিমান্বিত করতে ১৪৪৪ হিজরিতে ১৪২৯ বঙ্গাব্দ করেছে। বৌদ্ধ জাতকের গল্পকে চুরি করে (১) রামায়ন (২) মহাভারত (৩) বেতাল পঞ্চবিংশতি (৮) পঞ্চতন্ত্র, (৫) HITOPADESA এবং (৬) কথাসরিত্সাগর রচনা করেছেন (WEEKLY BARTAMAN MAGAZINE EDITORIAL page 4, dated 2 January 2016)! হিজরি সালকে বিকৃত করে ভ্রষ্ঠাচারের মাধ্যমে হিন্দু রাজনীতি কি ষড়যন্ত্রে ১৪২৯ বঙ্গাব্দের পরিকল্পনা প্রতিষ্ঠা করেছে!
হিন্দুর অবতারের পূর্বে মহেঞ্জোদারোর প্রত্নতাত্তি¡ক বৌদ্ধ ইতিহাস! আমার দেশ আমার পরম তীর্থভূমি! চর্যাপদ বাংলা ভাষার প্রথম বই! এবং বৌদ্ধ সভ্যতাকে গ্রাস করতে হিন্দুরাজনীতি চর্যাপদের (২৫৬৬ বুদ্ধবর্ষ) বাংলা সাল হত্যা করে ইসলাম ধর্মের নামে বঙ্গাব্দের বাংলা পঞ্জিকা রচনায় হিজরি সালকে ভাড়া করে এনে সূর্য্য ক্যালেন্ডারের দোহাই দিয়ে বাঙালি মুসলমানদের চোখে ধোকা দেয় (১৪৪৪ হিজরিতে ১৪২৯ বঙ্গাব্দ)! বেহায়া হিন্দুরা বুদ্ধগয়ায় মহাবোধি মন্দির দখল করতে দিনের পর দিন মহাবোধি মন্দিরের ভেতরে শিবলিঙ্গসহ হিন্দুদের দেবদেবী স্থাপন করেছে।
১১৯২ সালে রাজা লক্ষন সেনের মহামন্ত্রী বিশ্বাসঘাতক হলায়ুধ মিশ্র হিন্দু রাষ্ট্রধর্মের নেতা হয়ে বৌদ্ধ হত্যাযজ্ঞ করতে ‘শেক শুভোদয়া ’ শীর্ষক বই লিখেছিলেন। তিনি তাঁর (হলায়ুধ মিশ্র) রচিত দিনলিপির (ডায়েরী) উক্ত বইতে বৌদ্ধ হত্যাযজ্ঞ করতে মুসলিম তুর্কী মিশনের যোদ্ধাদের সাথে মহামন্ত্রীর (হলায়ুধ মিশ্র) গোপন ষড়যন্ত্র এবং রাজা লক্ষণ সেনকে সরিয়ে বখতিয়ার খিলজিকে বাংলার সিংহাসন আরোহনের নীলনক্সার পুঞ্জীভূত লোমহর্ষকর বাস্তব ঘটনাবলী অকপটে রচনা করে স্বীকার করলেন। ব্রাহ্মণ্য ধর্মের এবং সন্ত্রাসী তুর্কি ইসলাম (বখতিয়ার খিলজি) ধর্মের সঙ্গে প্রতিদ্ব›িদ্বতায় বৌদ্ধ মুক্তিযুদ্ধে রামাই পন্ডিতের রচিত “শূন্য পুরান” শীর্ষক বইয়ের উত্পত্তি (16th century)।
১২০২ সালে রাজা লক্ষন সেনের মহামন্ত্রী হলায়ুধ মিশ্র বিশ্বাসঘাতকতায় বখতিয়ার খিলজির বাংলা জয় করেছিলেন! রাজা লক্ষন সেনের মহামন্ত্রী বিশ্বাসঘাতক হলায়ুধ মিশ্র এবং বখতিয়ার খিলজির বৌদ্ধ হত্যাযজ্ঞের জন্যে বৌদ্ধগণ মুসলমান হয়েছিলেন! রাতারাতি ইতিহাস তৈরী হয় না। এমনকি রাজা লক্ষন সেনের সভাকবি উমাপতি ধর পরে বখতিয়ার খিলজির সভাকবি হলেন কেন? ইহাই বাংলাদেশে রাষ্ট্রধর্মের ট্রাজেডি। অবশেষে নিরুপায় হয়ে বাংলার বৌদ্ধগণ ইসলাম ধর্ম কবুল করেছিলেন। হিন্দুরাজনীতি বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ না করে বা বৌদ্ধ ধর্মালম্বী না হয়ে গৌতমবুদ্ধকে হিন্দু ‘অবতার বানিয়ে গোলে মালে আধুনিক সমাজের চোখে ধূলো দিচ্ছেন এবং ইসলাম ধর্মের নামে বঙ্গাব্দ কে নিয়ে হিন্দুরাজনীতি বঙ্গাব্দের বাংলা পঞ্জিকা রচনায় হিজরি সালকে ভাড়া করে এনে সূর্য্য ক্যালেন্ডারের দোহাই দিয়ে বাঙালি মুসলমানদের চোখে ধোকা দেয়!
ইসলাম ধর্মের নামে হিন্দু রাজনীতির মৌলবাদের সৃষ্ট ১৪৪৪ হিজরিতে ১৪২৯ ভুয়া বঙ্গাব্দ নখ নির্লজ্জ হিন্দু রাজনীতির রঙ্গাব্দ? চিনির বলদ, নির্লজ্জ হিন্দু রাজনীতি চিনি বয়, চিনে না চিনি! ধিক্কার হিন্দু রাজনীতির ধর্মান্ধদেরকে! চিটিংবাজ ধর্মান্ধ হিন্দু রাজনীতির মৌলবাদী গোষ্ঠী ধর্মান্ধ রাজনীতি এমন এক অভিশাপ ধর্মান্ধ জটিল ধাঁধা, যা থেকে নিস্তার পাইনি মানবতাবাদী বৌদ্ধধর্ম! অন্ধ হিন্দু সা¤প্রদায়িকতায় হিন্দুপন্ডিতগণ দশরথ জাতককে বদলায়ে রামায়ণ রচনা করার পর উক্ত রামায়নের অযোধ্যা কান্ডের বত্রিশ নম্বর শ্লোকে গৌতমবুদ্ধকে চোর (HATE CRIME OF হিন্দুধর্ম) এবং বৌদ্ধদেরকে নাস্তিক বানিয়েছে।
ভারতের সংবিধানের বিরুদ্ধে হিন্দুরাজনীতি বৌদ্ধদের শ্রেষ্ঠতম তীর্থভূমি “বুদ্ধগয়া” দখল করে বৈদিক হিন্দুপন্থীরা মিথ্যা ইতিহাস বানিয়ে বৌদ্ধ সভ্যতাকে গ্রাস করে ফেলেছে। ৬ই ডিসেম্বর ১৯৯২ সালে বাবরী মসজিদ ভেঙে রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা ট্রাজেডী ইহা এক ভারতীয় আইনের শাসনে হিউম্যান রাইটস এবং ধর্মনিরপেক্ষতার কলঙ্ক। “সেই উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা কেমন করিয়া ভুলিয়া গেলেন যে, একদা রাশি রাশি বৌদ্ধ ধর্মস্থান ধ্বংস করিয়া একদিন গড়িয়া উঠিয়াছিল রাশি রাশি হিন্দু মন্দির (আনন্দবাজার পত্রিকার সম্পাদকীয়, ২২ আগষ্ট, ১৯৯৩)!” ৬ই ডিসেম্বর ১৯৯২ সালে বাবরী মসজিদ ভেঙে রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা ট্রাজেডী ইহা এক ভারতীয় আইনের শাসনে হিউম্যান রাইটস এবং ধর্মনিরপেক্ষতার কলঙ্ক।
বৌদ্ধ ভারত মহাকাব্যের মহাকবি সম্রাট অশোক বুদ্ধগয়া মহাজনসমুদ্রে জনগণমনের মুক্তির মঞ্চে দাঁড়িয়ে জলদ গম্ভীর স্বরে ঘোষণা করেছিলেন, “অহিংসা মানুষের ধর্ম এবং “সত্য মেব জয়তে।” হিন্দুধর্মে জাতিভেদ প্রথায় অখন্ড মানব জাতিকে খন্ড বিখন্ড করে (১) ব্রাহ্মণ (২) ক্ষত্রিয় (৩) বৈশ্য এবং (৪) শূদ্র, দলিত বা অনগ্রসর জাতি (সিডিউল কাষ্ট) সৃষ্ঠি হল। কলঙ্কিত মহাভারতের লেখক ঋষি বেদব্যাস তাঁর মায়ের (সত্যবতী) কুমারীকালের কলঙ্ক হলেও ধৃতরাষ্ঠ্র, পান্ডু এবং বিধূরের জন্মদাতা ছিলেন। জনতার প্রশ্ন : ঋষি বেদব্যাস ধৃতরাষ্ঠ্রের মা, পান্ডুর মা এবং বিধূরের মা কে সামাজিক নিয়মে বিয়ে না করে ও তাদের (ধৃতরাষ্ঠ্র, পান্ডু এবং বিদুরের) পিতা হলেন কি অধিকারে? সপ্তপুরুষ পরিশুদ্ধ নিয়ে গৌতমবুদ্ধের জন্ম এবং তিনি অহিংসা পরম ধর্ম প্রচার করেন। সম্রাট আকবরের রাজত্বকালে ‘আল্লাহ উপনিষদ রচনা’ সম্পাদন করার পর বুদ্ধগয়া ভবিষ্যত বৌদ্ধজাতির উন্নতির প্রেক্ষাপট, সেই পূত পবিত্র বুদ্ধের প্রেক্ষাপট অঙ্গনে শিবলিঙ্গের গর্ত পূজায় অত্যাচার করে নষ্ঠ করে বৌদ্ধদের ভবিষ্যতকেই ভষ্মীভূত করা হচ্ছে, শুধু প্রতীকিভাবে নয়, আক্ষরিক অর্থে।
বিশ্ববৌদ্ধ পুরস্কার প্রাপ্ত প্রখ্যাত মানবতাবাদী লেখক সোনা কান্তি বড়ুয়া (Bachelor of Arts, University of Toronto), The AuthorÕs World famous and glorious New Book entitled ÒPRE – VEDIC MOHENJODARO BUDDHISM & MEDITATION IN THE NUCLEAR AGE , (516 Pages) “ সাবেক সভাপতি, বাংলা সাহিত্য পরিষদ, টরন্টো, খ্যাতিমান ঐতিহাসিক, কথাশিল্পী, বিবিধগ্রন্থ প্রনেতা প্রবাসী কলামিষ্ঠ, লাইব্রেরীয়ান, বিশ্ববৌদ্ধ সৌভ্রতৃত্ব পত্রিকার সহ সম্পাদক এবং জাতিসংঘে বিশ্ববৌদ্ধ প্রতিনিধি!