স্পোর্টস ডেস্ক : প্লে-অফ অনেক আগেই নিশ্চিত করে ফেলেছে রোহিত শর্মাদের মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। সোমবার রাতে দ্বিতীয় স্থানের লড়াইয়ে আবুধাবির শেখ জায়েদ ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় দিল্লি ক্যাপিটালস ও রয়াল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু।
আর সেই লড়াইয়ে হাসি ফুটল দিল্লির দরবারে। বিরাট কোহলিদের ৬ উইকেটে হারাল স্রেয়াশ আইয়ারের দিল্লি। এই জয়ে গ্রুপ রানারআপ হিসেবেই শেষ চার নিশ্চিত করল দিল্লি ক্যাপিটালস।
তবে হেরে গেলেও ব্যাঙ্গালুরুর কষ্ট নেই তাতে। কলকাতা নাইট রাইডার্সের চেয়ে রান রেটে বেশ এগিয়ে থাকায় তৃতীয় হয়ে শেষ চারে ঠাঁই নিয়েছে বিরাট কোহলির রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর।
সোমবার আবুধাবিতে টসে জিতে বিরাট কোহলিদের ব্যাট করতে আমন্ত্রণ করেন দিল্লির অধিনায়ক স্রেয়াশ।
শুরুতে ওপেনার জশ ফিলিপকে ১৭ বলে ১২ রানে আউট করেন এবারের আইপিএলে গোলাপি ক্যাপের দাবিদার কাগিসো রাবাদা।
তবে ম্যাচকে সামলে নেন দেবদূত পাডিক্কেল আর অধিনায়ক বিরাট কোহলি । পাডিক্কেল ৪১ বলে ৫ বাউন্ডারিতে খেলেন অর্ধশতক পূরণ করেন। তবে তাকে আর এগুতে দেননি অ্যানরিচ নর্টজে। ১৩ ওভার শেষে ২ উইকেটে মাত্র ৮৩ রান জমা করে আরসিবি। এরপর কোহলি ২৪ বলে ২৯ করে আউট হন দলের অভিজ্ঞ স্পিনার রবিচন্দ্র অশ্বিন।
এরপর উইকেটের হাল ধনে প্রোটিয়া তারকা ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্স ও শিভাম দুবে। এই জুটির ওপর ভর বরে শেষ ৭ ওভারে প্রায় দশের কাছাকাছি গড়ে ৬৯ রান যোগ করেছে ব্যাঙ্গালুরু।
দিল্লির বোলারদের চমৎকার মোকাবিলা করছিলেন ভিলিয়ার্স। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে রানআউট হয়ে তার ২১ বলে ৩৫ রানের ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে।রাবাদার বলে ১১ বলে ১৭ রান করে ফেরেন শিভাম দুবে।
নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫২ রানের লড়াকু পুঁজি গড়ে ব্যাঙ্গালুরু।
দিল্লি ক্যাপিটালসের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন অ্যানরিচ নর্টজে। ৪ ওভারে ৩৩ রান খরচায় ৩টি উইকেট নেন এই পেসার। ২টি উইকেট নেন তারই স্বদেশি কাগিসো রাবাদা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে আজকেও ব্যর্থ হন দিল্লির ওপেনার পৃথ্বি শ। ৯ রান করে ৬ মোহাম্মদ সিরাজের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন। তবে তাতে দিল্লিকে থামিয়ে রাখা যায়নি। শিখর ধাওয়ান ও আজিঙ্কা রাহানের অববদ্য জুটি দলকে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে দেয়।
এ জুটি গিয়ে ভাঙে ১০৯ রানে। ধাওয়ানকে আউট করেন শাহবাজ আহমেদ। আউট হওয়ার আগে ৪১ বলে ৬ বাউন্ডারির সাহায্যে ৫৪ রান করেন ধাওয়ান।
ধাওয়ানের আউটের রাহানেকে সঙ্গ দিতে নামেন অধিনায়ক স্রেয়াশ আইয়ার। তবে আইয়ার বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি। ১৭ তম ওভারে শাহবাজের বলে ৮ রানে আউট হয়ে ফেরেন তিনি। এরপর রাহানের সঙ্গী হন রিষভ পন্থ। পরের ওভারেরই ওয়াশিংটন সুন্দরের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন আজিঙ্কা রাহানে। তবে আউটের আগে যা করার করে দিয়ে যান। ৪৬ বলে ৫ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কার মারে ৬০ রান করেন রাহানে।
রাহানে যখন আউট হন তখন জয়ের জন্য ২ ওভারে ১৫ রানের প্রয়োজন দিল্লির। হাতে থাকে ৬ উইকেট। আর এই ১৪ রান হেসেখেলেই পূরণ করে নেন ঋষভ পন্থ ও মার্কুস স্টইনিস। পন্থ ৮ রানে ও স্টইনিস ১০ রানে অপরাজিত থেকে ২ ওভার বাকি থাকতেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় দিল্লি।
ফলে ৬ উইকেটে কোহলির রয়াল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুকে হারায় দিল্লি ক্যাপিটালস।
এই নিয়ে ১৪ ম্যাচ খেলে ৮ জয় ও ৬ পরাজয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠল দিল্লি ক্যাপিটালস।
সমানসংখ্যক ম্যাচ খেলে ৭ জয় ও ৭ পরাজয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রইল আরসিবি।