১.
থ্রিলার গল্প: বন্ধু

বাসায় ইদানীং পোকার উপদ্রব বেড়েছে। বন্ধুকে জানিয়েছিলাম সমস্যাটা। সে হাসতে হাসতে বলল, “ভেনাস ফ্লাইট্র্যাপ নিয়ে আয় একটা। পোকা খেয়ে তোর ঘরদোর পরিষ্কার রাখবে।” আমিও হেসে ফেললাম।

তবে কথাটা আমার মাথায় গেঁথে গিয়েছিল। বহু কাঠখড় পুড়িয়ে একটা মাংসাশী কলসি উদ্ভিদ জোগাড় করলাম এজন্য। কথাটা অবশ্য গোপন রেখেছি, বন্ধু বা অন্যদের জানাইনি।
প্রথম প্রথম দেখতাম গাছটার কলসির মতো পাতায় পোকামাকড় বসলেই পাতাটার মুখ বন্ধ হয়ে যেত। এসব দেখে আমিই ছোট ছোট মাংসের টুকরো ওকে খাওয়াতে শুরু করেছি। আমার নিঃসঙ্গ জীবনের একমাত্র উত্তেজনা এখন গাছটাই।

বহুদিন পর বন্ধু আজ এসেছিল। ওকে কেটে টুকরো টুকরো করে ফ্রিজে রেখে দিয়েছি। গাছবন্ধুর জন্য মাংস চাই!

২.
সামাজিক গল্প: না

“দু’হাত ভরে চুড়ি পরেছিলো আমার মেয়েটা। লাল চুড়ি। পাঁচ বছর বয়সেও সবসময় নজর টিপ পরিয়ে রাখতাম। সে-ও একুশ বছর আজ।” “বাহ, মেয়ে তো বড় হয়ে গেছে তার মানে। পড়াশোনা করছে বুঝি? নাকি বিয়ে দিয়েছেন?” “জ্বি, আমার মেয়ে আজ অনেক বড়। জানেন, জন্মের সময় ওর হার্টে ফুটো ছিল। তিন বছর বয়সে অপারেশন করে সারাতে হয়েছে।” “আহা! এখন সুস্থ আছে তো?” “সুখে আছে এখন। ঘুমায় শুধু।” “বাহ! আচ্ছা, আপনার পেশা কী? হাউজওয়াইফ বুঝি?” “তা-ই ছিলাম। এখন একটা কারাটে স্কুলের পরিচালনায় আছি। মেয়ে বড় হয়ে গেছে তো, প্রচুর অবসর।” “সুখেই আছেন।” “না, সুখে থাকলে চলবে না আমার। মেয়ে বাচ্চাদের বাবা-মাকে বোঝাতে হবে, মেয়েকে যেন কারাটে শেখায়।” “মেয়েমানুষ মারামারি শিখে কী করবে?”

“মারামারি জানতো না বলে তেরো বছর বয়সে ধর্ষিত হয়ে আমার মেয়ে আজ ঘুমিয়ে আছে।”