অনলাইন ডেস্ক : গত ১১ই অক্টোবর (রবিবার) যুব-সংগঠন ইয়ুথফোর্স ইউনাইটেড টরন্টোর বাঙালি অধ্যুষিত ড্যানফোর্থ এলাকাসহ স্কারবোরো আর ইস্ট ইয়র্ক-এর আরো কয়েকটি এলাকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের মাঝে করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি কমাতে ফেসশীল্ড বিতরণ করে। ইয়ুথফোর্স মূলতঃ একটি মাল্টিকালচারাল যুব সংগঠন হলেও এর নেতৃত্বে রয়েছে এদেশে জন্ম নেয়া অথবা বেড়ে উঠা বাংলাদেশী-কানাডিয়ান যুবারা। সাধারণত সংগঠনটির কার্যক্রমের মূল ফোকাস থাকে কিশোর-তরুণদের খেলাধুলা, শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য, ইয়ুথ এমপ্লয়মেন্ট ইত্যাদি। তবে এবছরের মার্চ মাস থেকে সংগঠনটি করোনাকালীন নানান সহায়তা নিয়ে কাজ করে নজর কেড়েছে। স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য খাদ্য সাহায্য সংগ্রহ এবং বিতরণ, সিইআরবি আবেদনে সহায়তা করার জন্য কল সেন্টার স্থাপন করে শত শত মানুষকে সেবা প্রদান, বিনামূল্যে পিপিই বিতরণ ইত্যাদি আরো নানান কর্মকান্ডে বেশ ইয়ুথফোর্স-এর কর্মীদের সাহসী পদক্ষেপ মূলধারার নানান সংগঠনের প্রশংসা কুড়িয়েছে।
রবিবারের ফেসশীল্ড কার্যক্রমের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে সংগঠনটির কো-প্রেসিডেন্ট রাদিয়া রোজা বলেন, “আমাদের আশেপাশের ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে যাঁরা কাজ করেন, এমনিতেই তাঁরা অনেক কম বেতন পান। তার উপর করোনাকালীন স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমাতে যে পিপিই প্রয়োজন হয়, সেগুলো সংগ্রহ করা অতিরিক্ত একটা চাপ হিসাবে আসে। আমরা চেয়েছি এইসব কর্মীরা, যাঁরা আমাদেরই কারো না কারো পরিবারের সদস্য, তাঁদের জন্য কিছুটা সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে।”
ইয়ুথফোর্সের অপর কো-প্রেসিডেন্ট সাওদা আমীন জানান যে, বিগত প্রায় আড়াই বছরে সংগঠনটি ডাউনটাউন টরন্টো, ইস্ট ইয়র্ক এবং স্কারবোরো এলাকায় অসংখ কল্যাণমুলক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। এর মাধ্যমে বিভিন্ন যুব-সংগঠন, ইয়ুথ শেল্টার, সিনিওর’স হোম, তামিল-কানাডিয়ান এবং চাইনীজ-কানাডিয়ান কমিউনিটির বিভিন্ন সংগঠনের সাথে গড়ে উঠেছে চমৎকার সব পার্টনারশীপ। সংগঠনটির মূল উদ্দেশ্য যেহেতু তরুণ সমাজকে সমাজকল্যাণমূলক কর্মকান্ডে উৎসাহিত করা, তাই এ-ধরণের নানান পদক্ষেপ চলতেই থাকবে। ইয়ুথফোর্স এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং পৃষ্ঠপোষক ব্যারিস্টার রিজওয়ান রহমান সংগঠনের ওয়েবসাইট WWW.YOUTHFORCEUNITED.COM এ গিয়ে অথবা এর ফেসবুক পেজ @YOUTHFORCE এর মাধ্যমে সংগঠনটির সাথে যুক্ত হতে কমিউনিটির তরুণদের প্রতি আহ্বান জানান।