অনলাইন ডেস্ক : সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবির আন্দোলনে সহিংসতা ব্যাপক আকার ধারণ করায় দেশজুড়ে কারফিউ জারি করে সরকার। কয়েক ঘণ্টার জন্য কারফিউ শিথিল করে বুধবার থেকে শুরু হয়েছে অফিস-আদালত। তবে জনমনে পুরোপুরি স্বস্তি ফেরার আগ পর্যন্ত কারফিউ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

বুধবার (২৪ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এই কথা জানান।

এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দোলনে নিহত তিন পুলিশ সদস্য এবং এক আনসার সদস্যের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তাদের আর্থিক অনুদান দেন।

কারফিউ কবে প্রত্যাহার করা হবে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারাই যখন বলবেন, আমরা স্বস্তি অনুভব করছি, তখনই কারফিউ প্রত্যাহার করা হবে।’

দেশকে অকার্যকর করতে শিক্ষার্থীদের পেছনে দেশবিরোধীরা লিপ্ত ছিল মন্তব্য করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তিনি বলেন, ‘আমরা অপরাধীদের একে একে চিহ্নিত করব। পরিস্থিতি সামাল দিতে বাধ্য হয়েই কারফিউ দিয়েছি। এই জঙ্গি উত্থান ও সন্ত্রাসীদের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। আগামী তিন থেকে চার দিনের মধ্যে সবকিছু নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে আশা করছি।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আন্দোলনের নামে কারা পেছন থেকে মদদ দিয়েছে আপনারা সেটা জানেন। এটা সেই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি। বাংলাদেশকে একটা অকার্যকর দেশে পরিণত করার জন্য যারা ইন্ধন দিয়েছে তারা ছাত্রদের বাদ দিয়ে নিজেরাই সামনে নেমে এসেছিল।’

নিহত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের প্রত্যেক পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে দুই লাখ টাকা নগদ ও আট লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র এবং বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে পাঁচ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

এ সময় নিহতদের স্বজনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কখনো একা অনুভব করবেন না। আপনাদের পাশে সরকার আছে, দেশ আছে। আপনাদের যেকোনো সহযোগিতার জন্য সরকার প্রস্তুত আছে। আমি শিগগিরই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও আপনাদের সাক্ষাৎ করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।’

আন্দোলনকারীদের সব দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমরা দেখেছি পুলিশকে টার্গেট করে তারা হামলা চালিয়েছে। পুলিশ সদস্যকে মেরে ফাঁসি দিয়ে গাছে টানিয়ে রেখেছে। এ চিত্র আপনারা দেখেছেন। আপনারা দেখেছেন বাংলা ভাই যে জঙ্গিবাদের উত্থান করেছিল, এই জামায়াত-বিএনপিও একই কাজ করেছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থী কিংবা সাধারণ জনগণ কতজন মারা গেছেন জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জনসাধারণ কতজন মারা গেছেন, তার কোনো হিসাব আমাদের কাছে নেই। কোনো থানায় এসংক্রান্ত কোনো মামলাও দায়ের হয়নি। পুলিশ তথ্য সংগ্রহ করছে, এ বিষয়ে পরে বলা যাবে।