স্পোর্টস ডেস্ক : কয়েক বছর আগেও নেইমারের সঙ্গে উচ্চারিত হতো অস্কারের নাম। ব্রাজিলের হয়ে ঘরের মাঠে ২০১৪ বিশ্বকাপে খেলেছেন এই মিডফিল্ডার। সেই অস্কারই এখন বলছেন, ‘চীনকে সহযোগিতা করতে চাই।’
২০১৫ সালের পর আর জাতীয় দলে দেখা যায়নি অস্কারকে। ফর্ম হারানো এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ২০১৭তে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের দল চেলসি ছেড়ে পাড়ি জমান চীনের ক্লাব সাংহাই এসআইপিজিতে। সেটিও এশিয়ান ক্লাব ফুটবলে রেকর্ড ৬০ মিলিয়ন ইউরোর ট্রান্সফারে। চীনে নিজেকে নতুনভাবে আবিষ্কার করেছেন অস্কার। গত দুই মৌসুমে চাইনিজ সুপার লীগে (সিএসএল) সর্বাধিক অ্যাসিস্ট তার। তবে ব্রাজিল জাতীয় দলে ফেরার কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না ২৮ বছর বয়সী অস্কার।
ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা যদি নিয়ম পরিবর্তন করে, তাহলে চীনের হয়ে খেলার ইচ্ছা অস্কারের। ফিফার বর্তমান নিয়মানুযায়ী ব্রাজিলের হয়ে অফিসিয়াল টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করায় চীনের হয়ে খেলতে পারবেন না তিনি।
ব্রাজিল জাতীয় দলের হয়ে ৪৭ ম্যাচ খেলে ১২ গোল করা অস্কার সংবাদমাধ্যম সিজিটিএনকে বলেন, ‘আমি এটা নিয়ে ভাবছি। আমি যেমনটা বলেছি, ব্রাজিল জাতীয় দলে যাওয়া কঠিন কারণ আমি এখানে (চীন)। চীনে সবাই দেখছে আমি কতটা ভালো খেলছি। চীন জাতীয় দলের যদি ভালো মিডফিল্ডার প্রয়োজন হয়, তাহলে আমার মনে হয় আমি তাদের সহযোগিতা করতে পারি।’
আগামী বছর চীনে পাঁচ বছর পূর্ণ হবে অস্কারের। তখন চীনের নাগরিকত্ব নিতে পারবেন তিনি। ২০২২ বিশ^কাপ সামনে রেখে এরই মধ্যে অস্কারের স্বদেশি স্ট্রাইকার এলকেসনকে নাগরিকত্ব দিয়ে দলে ভিড়িয়েছে চীন। চাইনিজ সুপার লীগে ‘আই কেসেন’ নামে পরিচিত এলকেসন এখন পর্যন্ত ৪ ম্যাচে করেছেন ৩ গোল। এলকেসন ইতিপূর্বে ব্রাজিলের হয়ে কোনো প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে খেলেননি।
এছাড়া রিকার্ডো গুলার্ট, অ্যালান এবং ফার্নান্দিনহোকেও জাতীয় দলে ভেড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে চীন। তবে তাদের বিষয়ে এখনো কোনো ছাড়পত্র দেয়নি ফিফা।