বিনোদন ডেস্ক : তিয়ানতান পুরস্কারে ভূষিত করা হবে। গত শনিবার (২০ এপ্রিল) উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আয়োজক ও আমন্ত্রিত অতিথিগণ তাদের মতামত তুলে ধরার পাশাপাশি এটিও উল্লেখ করেন যে, চীনা চলচ্চিত্র শিল্প তার স্বর্ণযুগে প্রবেশ করেছে।
১৪ তম বেইজিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সর্বমোট ১০০টি ইভেন্টের আয়োজন করা হয়েছে যার মধ্যে আলোচনা সভা, রোড শো, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ই মাস্টার ক্লাস উল্লেখযোগ্য। চীন ও অন্যান্য দেশের মিলিয়ে ৩৫০ জন অতিথি এই উৎসবে আমন্ত্রিত হয়েছেন।
চীন এবং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে গঠিত একটি সাত সদস্যের জুরি, ১৫টি বাছাই করা চলচ্চিত্রের মধ্য থেকে তিয়ানতান পুরস্কারের বিজয়ীদের নির্ধারণ করবে। এর মধ্যে ১২টি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র এবং তিনটি চীনা চলচ্চিত্র রয়েছে।
সার্বিয়ান পরিচালক এমির কুস্তুরিকা এ বছর জুরির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। অন্য ছয় সদস্য হলেন অস্ট্রেলিয়ান শব্দ সম্পাদক ডেভিড হোয়াইট, চীনা-আমেরিকান অভিনেতা ক্রিস ফিলিপস, অস্ট্রিয়ান পরিচালক জেসিকা হাউসনার, ব্রাজিলিয়ান পরিচালক কার্লোস সালদানহা, চীনা অভিনেত্রী মা লি এবং চীনা অভিনেতা ঝু ইলং।
জুরিরসভাপতিল আমির কুস্তুরিকাসংবাদ সম্মেলনে চলচ্চিত্রের মূল্যায়নের জন্য তার মানদণ্ড কি হতে পারে সেটা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘আমার জন্য, প্রধান বিষয় হল ভুল না করা, আবেগ বা পর্দা থেকে আসা প্রাথমিক অনুভূতিগুলি হারিয়ে না ফেলা। আমাদের কাছে, নান্দনিক এবং নৈতিক মূল্যবোধগুলি সর্বদা মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে যা কোনওভাবে শিল্পের সাথে সংযুক্ত থাকে। এবং আমি বিশ্বাস করি যে ফিল্ম এখনও শিল্প এবং আমাদের এই পথেই এগিয়ে যেতে হবে।’
অন্যান্য জুরি সদস্যরা চীনা চলচ্চিত্র শিল্পের প্রতিশ্রুতিশীল সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে বলেন যে চীনা সিনেমা তার স্বর্ণযুগে পা দিয়েছে।
অভিনেতা ক্রিস ফিলিপস বলেন,‘আমি সত্যিই বিশ্বাস করি যে চীনা সিনেমা এখন একটি সোনালী যুগে প্রবেশ করছে। ব্যতিক্রমী পরিচালক, চিত্রনাট্যকার এবং অভিনেতা সহ প্রচুর প্রতিভা রয়েছে চীনে। সবচেয়ে বড় কথা, চীনে রয়েছে মনোমুগ্ধকর গল্পের ভাণ্ডার। আমি আশা করি যে চীনা চলচ্চিত্র শিল্প এই গল্পগুলিকে চলচ্চিত্রে রূপান্তরিত করতে এবং বিশ্বব্যাপী তাদের প্রচার করতে আরও সক্রিয় হয়ে উঠবে। এইভাবে বিশ্বজুড়ে দর্শকরা চীনকে আরও ভালভাবে বুঝতে এবং প্রশংসা করতে পারে।’
ব্রাজিলিয়ান পরিচালক কার্লোস সালদানহা তার বক্তব্যে বলেন, ‘আপনি সিনেমা দেখেন,চাইনিজ না হয়েও আপনি চাইনিজ সিনেমা দেখেন, আপনি গর্বিত হন, এবং আপনি উত্তেজিত হন। আমি মনে করি এটিই চীনা অ্যানিমেটেড সিনেমাগুলির সৌন্দর্য। এবং আমি ক্রিসের সাথে সম্পূর্ণ একমত। আমি মনে করি যে চীন আবার একটি স্বর্ণযুগের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।কেবল চলচ্চিত্র নয়, একই সাথে অ্যানিমেটেড সিনেমার জন্যেও এই মন্তব্য প্রযোজ্য।আর চীনের চলচ্চিত্র শিল্পের বিপ্লব ঘটানোর জন্য সমস্ত প্রযুক্তি এবং প্রতিভা রয়েছে চীনের কাছে।’