অনলাইন ডেস্ক : কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও তার স্ত্রী সোফি সোফি গ্রেগোয়ার বুধবার বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন। ছোটবেলা থেকেই সোফির প্রেমে পড়েছিলেন ট্রুডো। সেই ভালোবাসা দীর্ঘদিন পর পরিণতি পায় প্রেমে। শেষ পর্যন্ত ১৮ বছর একসঙ্গে সংসার করার পর বিচ্ছেদের পথে হেঁটেছেন তারা। কি কারণে তারা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এ নিয়ে আন্তর্জাতিক সংবামাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
বিচ্ছেদের আগে অবশ্য ট্রুডো ও সোফির বিষয়ে তেমন কোনো খবর শোনা যায়নি। এমনকি দুই জনে বিচ্ছেদের বার্তাও দিয়েছেন সাবলীলভাবে। দুই জনের প্রতি সম্মান ও ভালোবাসা দুটোই ছিল বিচ্ছেদের বার্তায়। ভবিষ্যতেও নিজেদের মধ্যে ভালোবাসা বিরাজমান থাকবে বলে জানিয়েছেন ট্রুডো ও সোফি।
তাহলে কেন তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ হলো? এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ফ্যাশনবিষয়ক সংবাদমাধ্যম স্টাইলক্যাস্টার। সেখানে বলা হয়েছে, কেন জাস্টিন ট্রুডো এবং স্ত্রী সোফি বিবাহবিচ্ছেদ করলেন, এটির স্পষ্ট কারণ এখনও জানা যায়নি। সম্ভবত এটি কখনোই জানা যাবে না।
ট্রুডোর বিচ্ছেদের কারণ হিসেবে যে দিকটিকে অন্যতম প্রধান হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে সেটি হলো রাজনীতিবিদ মেলানিয়া জোলির সঙ্গে তার সম্পর্কের গুঞ্জন। কানাডার স্থানীয় গণমাধ্যম এ দুজনের সম্পর্ক আগে থেকেই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তবে এই বিষয়ের সত্যতা বা প্রমাণ খুব বেশি মেলেনি।
এছাড়া আরেকটি কারণ হতে পারে ট্রুডোর ব্যস্ততা। রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পারিবারিক সময় না দেওয়ায় এ সম্পর্কে চিড় ধরতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও সোফিও তার স্বামীর রাজনৈতিক জীবনের সঙ্গী ছিলেন।
কানাডার ২৩তম প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ১৯৭১ সালের ২৫ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। সোফি তার ভাইয়ের সহপাঠী ছিলেন। সেখান থেকেই তাঁদের পরিচয়। জাস্টিন ট্রুডো ও সোফি ট্রুডো জুটি বেঁধেছিলেন ২০০৫ সালের মে মাসে। বর্তমানে ৫১ বছর বয়সি জাস্টিন ও ৪৮ বছর বয়সী সোফি দম্পতির তিনটি সন্তান রয়েছে। তারা হলো- ১৫ বছর বয়সী জেভিয়ার, ১৪ বছর বয়সী এলা-গ্রেস এবং ৯ বছর বয়সী হ্যাড্রিয়েন।
বুধবার কানাডার প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, ট্রুডো দম্পতি নিজেদের দাম্পত্যজীবনের ইতি ঘটিয়ে আলাদা থাকার এই সিদ্ধান্ত সব ধরনের নৈতিক ও আইনি পথ মেনেই নিয়েছেন। সামনে বিচ্ছেদের ক্ষেত্রেও সব পদক্ষেপ আইন ও নৈতিকতা মেনেই নেবেন।
ট্রুডো দম্পতির বিচ্ছেদের কারণে তাদের সন্তানেরা কোনো বিরূপ পরিস্থিতির মধ্যে পড়বে না বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, তারা একটি পরিবারের মতোই থাকবে। প্রধানমন্ত্রী ও সোফি তাদের সন্তানদের নিরাপদ, ভালোবাসা ও সহযোগিতাপূর্ণ পরিবেশে বেড়ে ওঠার দিকেই মনোযোগ দেবেন। যেকোনো ছুটিতে এই পরিবার একত্রিত হবে, যা আগামী সপ্তাহেই শুরু হবে।
২০১৬ সাল ভোগ ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে সোফি জানিয়েছিলেন, তার স্বামীর গভীর দৃষ্টিতে আটকে গিয়েছিলেন তিনি।
বিষয়টির সাথে সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা বলেছেন, বাচ্চাদের নিয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী অটোয়াতে রিডো কটেজে থাকবেন, যেখানে তিনি ২০১৫ সাল থেকে বসবাস করছেন। আর সোফি এরই মধ্যে অটোয়াতে চলে গেছেন।