অনলাইন ডেস্ক : করোনা পরিস্থিতিতে কানাডা ছেড়ে নিজ দেশে ফিরেছেন অনেকেই। ফিরে যাওয়া কেউ কেউ আবার এই দেশে রেখে এসেছেন তাদের মনের মানুষকে। এমন প্রেমিক-প্রেমিকাদের জন্য এবার স্বস্তির খবর দিয়েছে অভিবাসন মন্ত্রণালয়। কানাডায় প্রেমিক বা প্রেমিকা থাকলে অন্য দেশ থেকে সে দেশে প্রবেশ করার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি কমছে চলতি সপ্তাহেই।

এএফপি জানায়, দীর্ঘদিন ধরে যাদের জন্য ততটা জরুরি নয়, এমন বিদেশিদের জন্য কানাডায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা চলছে, সম্প্রতি এই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়িয়ে অক্টোবরের শেষ পর্যন্ত করা হয়। তবে এখন সীমান্তে কিছু কিছু ক্ষেত্রে কড়াকড়ি শিথিল হচ্ছে।

স্থানীয় সময় শুক্রবার কানাডার অভিবাসন মন্ত্রী মার্কো মেন্ডিসিনো সাংবাদিকদের বলেছেন, আমরা স্বীকার করছি; ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়ে প্রিয়জনদের দূরে রাখা উচিত নয়।

তিনি বলেন, এমন কঠিন সময় পছন্দের মানুষকে পাশে রেখে তাদের শক্তি ও সমর্থন নিয়ে সর্বোত্তমভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয়।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের পর লকডাউন পরিস্থিতিতে নিয়ম ভেঙে অনেককেই তার স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার খবর দিয়েছে কানাডার সংবাদ মাধ্যমগুলো। এদের মধ্যে কিছুদিন আগে এক আমেরিকান তার কানাডিয়ান বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ায় তাকে জরিমানা করার পাশাপাশি দেশ ত্যাগেরও নির্দেশ দেওয়া হয়। সীমান্তে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে কানাডার সীমান্তে প্রেমিক-প্রেমিকাদের দেখা করার খবরও পাওয়া গেছে।

সার্বিক বিষয় বিবেচনার পর শুক্রবার কর্তৃপক্ষ সীমান্তে থাকা কড়াকড়ি শিথিলের ঘোষণা দেয়। তারা জানায়, কমপক্ষে এক বছর ধরে কানাডার কারো সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে রয়েছেন এমন প্রেমিক, প্রেমিকা, তাদের সন্তান, দাদা-দাদি বা ভাইবোন ৮ অক্টোবর থেকে সীমান্ত দিয়ে কানাডায় প্রবেশ করতে পারবেন।

গুরুতর অসুস্থ ও মৃত্যু ঝুঁকিতে থাকা রোগীদের জন্যও একই নিয়ম কার্যকর হবে। এছাড়া কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতি থাকা শিক্ষার্থীরাও ২০ অক্টোবার থেকে নিয়ম মেনে সে দেশে প্রবেশের সুযোগ পাবেন।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যাদের জন্য কানাডায় প্রবেশের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি শিথিল করা হয়েছে তাদের এ প্রক্রিয়ায় সেখানে যেতে আবেদন করতে হবে। দেশে প্রবেশের অনুমতি পেলে পৌঁছেই ১৪ দিন আইসোলেশনে থাকতে হবে।