সুহেল ইবনে ইসহাক : ম্যাপল গাছ ও পাইনের বনে, তুষার জমেছে। খোলা মনের সাহসী মানুষদের ন্যায় খোলা প্রশস্থ রাস্তাগুলোসহ ডেন্টোনিয়া পার্কের বিস্তীর্ণ এলাকা, বুকের উপর সফেদ তুষারের মধ্যে নীরবে দাঁড়িয়ে রয়েছে নব নির্মিত স্থায়ী শহীদ মিনার। প্রচন্ড শীতে নিরুপায় প্রবীণ, নিরুপায় যুবা। পাতাহীন গাছের ডাল যেন বাংলাদেশের চুয়াত্তরের মনন্তরের রূপক সাক্ষী। ঠাণ্ডা সমীরণ ছুঁয়ে যাচ্ছে ঠোঁট, ছুঁয়ে যাচ্ছে নাক, ছুঁয়ে যাচ্ছে কান। নিঃশ্বাসের উষ্ণতায়, প্রশ্বাসের ধোঁয়ায় বুকের পাঁজরে বাড়ছে শীত-সাম্রাজ্যের সীমানা। তুষারে আবৃত চারদিকের পরিবেশ, পোশাকে মানুষ, সবাই যেন কোট পরা ভদ্রলোক।
ঘুমহীন হিম নিয়ে থমকে যায় স্বপ্ন, নিত্যদিনের ব্যর্থতা বরফ চাপা দিয়ে ভাসিয়ে দিচ্ছি ভাবনার ভেলা। তারই মাঝে তিলে তিলে দানা বাঁধছে কানাডার টরন্টোবাসী বাংলাদেশিদের স্বপ্ন, “একটি স্বপ্নের স্থায়ী শহীদ মিনার”।
টরন্টো প্রবাসী সকল বাংলাদেশিদের এমনই এক স্বপ্ন বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে সাত বছর পূর্বে একটি স্বপ্ন দেখেছিলেন কয়েকজন টরন্টোবাসী বাংলাদেশি। তাঁদের স্বপ্নটি ছিল খুব স্বচ্ছ, আলোকভেদ্য অবিমিশ্র জলের মতো, টরন্টোতে একটি স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ, যেখানে মিলেমিশে আছে বাহান্নর ভাষা আন্দোলন, বাংলা ভাষার ইতিহাস, মাতৃভাষার অধিকার। বিদেশের মাটিতে শহীদ মিনার নির্মাণ যেমন আমাদের পুরো বাংলা কমিউনিটির গর্ব, তেমন আমাদের আবেগের বহিঃপ্রকাশ।
প্রায় সাত বছরের জল্পনা-কল্পনা, আলাপন ও পরিকল্পনা শেষে উদ্যোক্তাদের মেধা, অর্থ ও শ্রমের বিনিময়ে অবশেষে গত ২ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে ভাষা শহীদদের স্মরণে এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের নিমিত্তে টরন্টোতে একটি স্থায়ী শহীদ মিনার স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে টরন্টো সিটি কাউন্সিল। টরন্টো তথা কানাডার প্রতিটি বাঙালির কাছে নি:সন্দেহে একটি উদ্দীপনাময় সুখবর। কেননা, দেশের বাইরে বাংলাদেশিরা যেখানে যায় সাথে থাকে এক টুকরো বাংলাদেশ এবং মাতৃভাষার গর্ব। যে আবেগ ও নিজ ভাষার অধিকারের দাবিতে ১৯৫২ সালে অর্জিত হয়েছে বাংলা ভাষা, সেই একই আবেগ ও দেশপ্রেম দিয়ে ১৯৭১-এ আমরা পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ। এই অর্জনকে আমরা সর্বত্রই বুকে ধারণ করে চলি। যেখানেই আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের আয়োজন, আমরা আনন্দিত হই, অংশগ্রহণ ও সমর্থনের মাধ্যমে এই উদ্যোগকে উৎসাহিত করি।
প্রবাসের ব্যস্ততম জীবন যাপনে ইচ্ছে থাকলেও সকল ইচ্ছার বাস্তবায়ন সবার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই যিনি ও যারা উদ্যোগী হয়ে এগিয়ে যান অন্যরা তাকে সহযোগিতা ও সমর্থন দেন। তাদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই প্রাণের তাগিদে। সেখানে অন্তর্নিহিত ব্যক্তি কিংবা দলীয় স্বার্থ মনোবৃত্তিকে হয়তো কিছুটা উপেক্ষা করেই।
মাতৃভাষার অধিকারের জন্য বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দেওয়ার নজির কেবল এ দেশেরই আছে। বাংলাই সেই গৌরবান্বিত ভাষা। এ ইতিহাস কারও অজানা নয়। গল্পটা অবিভক্ত পাকিস্তানের। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রæয়ারি ভাষার দাবিতে পূর্ব পাকিস্তানের আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ নেয়। উদ্দেশ্য একটাই উর্দু নয়, বাংলাই যেন রাষ্ট্রভাষা হয়। কিন্তু পাক হানাদাররা সে দাবি সহ্য করতে পারছিল না। ফলে বায়ান্নর একুশে ফেব্রæয়ারি মিছিলে শহীদ হন সালাম, রফিক, জব্বার, শফিউরসহ নাম না জানা আরও অনেকে। এই শহীদদের আত্মত্যাগের ফলেই বাংলা রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি লাভ করে। এই সংগ্রামে বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের বীজ বপিত হয়েছিল। আর সেই বীজ থেকেই ১৯৭১-এ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন দেশ হিসেবে জন্মগ্রহণ করে বাংলাদেশ।
বায়ান্নর একুশের রক্তঝরা ঘটনার এক দিন পরই মহান শহীদদের স্মরণে গড়ে উঠেছিল শহীদ মিনার। একুশের সব স্মৃতি নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার লক্ষ্যে নির্মাণের পরদিনই গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল তা। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে দ্বিতীয়বারের মতো শহীদ মিনার গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় কামানের গোলায়। কিন্তু সেই অপচেষ্টাও সফল হয়নি। নিশ্চিহ্ন করা যায়নি বাঙালির স্মৃতির মিনার। আধুনিক বাংলাদেশের কেন্দ্রবিন্দু থেকে শুরু করে আনাচে-কানাচে শহীদের রক্ত বুকে নিয়ে সগর্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে শহীদ মিনার। আর একুশ যখন দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি পেল, তখন এই স্মৃতির মিনার ছড়িয়ে পড়ছে সারা বিশ্বে। দেশের সীমা ছাড়িয়ে শহীদ মিনার মাথা তুলছে বিশ্বের দেশে দেশে। একুশের স্মৃতিবাহী শহীদ মিনারই সম্ভবত বিশ্বের একমাত্র স্মৃতিস্মারক, যার অনুরূপ মিনার গড়ে উঠেছে দেশব্যাপী। দেশের এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাওয়া যাবে না, যেখানে একুশে ফেব্রæয়ারি পালিত হয় না, যেখানে শহীদ মিনার নির্মিত হয়নি। শুধু দেশেই নয়, বিশ্বের যেখানেই গড়ে উঠেছে বাঙালি জনবসতি, সেখানেই পরম মমতায় গড়ে উঠছে শহীদ মিনার। বাংলাদেশ ও ভারতের বাইরে বাকি বিশ্বেও সগৌরবে মাথা উঁচু করছে বাংলা ভাষার শহীদ মিনার। ইতিমধ্যে যুক্তরাজ্যের লন্ডন, ফ্রান্সের প্যারিস, ইতালির রোম, জাপানের টোকিও, কানাডার টরন্টো, অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে তৈরি হয়েছে শহীদ মিনার। আর এ ধারা অব্যাহত রয়েছে এখনো।
মাঠের চারিধারে ধবধবে সাদা তুষারের মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে আমাদের স্বপ্নের মনুমেন্ট বা শহীদ মিনার। যেন মা তার দুই সন্তানদের আগলে দাঁড়িয়ে আছে, মাথার উপর কখনো মৃদু, কখনো ভারী তুষারপাত, আবার কখনো ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। এরই মাঝে উৎসুক বাঙালিসহ অনেকেই এই স্নো পেরিয়ে মনুমেন্টের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে নিজেদের আনন্দ ভাগাভাগি করছেন। বহু দিনের কাঙ্খিত সেই স্বপ্ন আজ সত্যি বাস্তব হতে চলেছে।
শহীদ মিনার এখন বাঙালির আত্মপরিচয়ের প্রতীক হয়ে উঠেছে। বিশ্বের যেখানেই বাংলা ভাষাভাষীরা আছেন সেখানেই মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে গৌরবের শহীদ মিনার। লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটে আর ওল্ডহ্যাম থেকে শুরু করে নানা স্থানে তৈরি হচ্ছে শহীদ মিনার। ইতালির রোমের ইৎজাক রাবিন পার্কে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে জাতীয় শহীদ মিনারের আদলে একটি শহীদ মিনার। ২০০৫ সালে জাপানের রাজধানী টোকিওতে শহীদ মিনার স্থাপিত হয়। অস্ট্রেলিয়ার সিডনির অ্যাশফিল্ড পার্কেও দাঁড়িয়ে আছে একটি শহীদ মিনার। আমেরিকাতেও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একাধিক শহীদ মিনার। বিশ্বের আর কোনো সাংস্কৃতিক প্রতীকের এত ব্যাপ্তি আর মর্যাদা রয়েছে বলে মনে হয় না। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, আসাম, মেঘালয়, ঝাড়খন্ড ও ছত্তিশগড়ের বিভিন্ন জনপদে সগৌরবে মাথা তুলে রয়েছে শহীদ মিনার। ১৯৯৩ সালের ২১ ফেব্রæয়ারি কলকাতার ধর্মতলার কার্জন পার্কে শহীদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। ১৯৯৮ সালের ২৬ মে স্মারক স্তম্ভটি উদ্বোধন করেন কথাসাহিত্যিক অন্নদাশঙ্কর রায়। বাংলা ভাষার শহীদদের স্মরণে ওপার বাংলায় দ্বিতীয় শহীদ মিনার স্থাপিত হয় ২০১১ সালে দক্ষিণ কলকাতার দেশপ্রিয় পার্কে। ২৫০ বর্গফুট জায়গাজুড়ে ১১ ফুট উচ্চতায় গড়া হয়েছে এই শহীদ মিনার। পশ্চিমবঙ্গে এ ছাড়াও আরও দুটি ভাষা শহীদ মিনার রয়েছে। এর একটি হলদিয়ায়, অন্যটি চন্দননগরে। আসামের শিলচরে আরেকটি শহীদ মিনার নির্মিত হয়েছে ১৯৬১ সালে, সেখানে বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষার আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে।
১৯৯৯ সালে বাংলা ভাষার শহীদ দিবস আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা পাওয়ার পর থেকে আগরতলা, আসাম, মেঘালয়, ঝাড়খন্ড, ছত্তিশগড় রাজ্যের বিভিন্ন জনপদেও নির্মিত হচ্ছে অস্থায়ী শহীদ মিনার। ভারতের বাইরে বাকি বিশ্বেও সগৌরবে মাথা উঁচু করছে বাংলা ভাষার শহীদ মিনার। এ সংখ্যা ইতিমধ্যে ১০০ ছাড়িয়ে গেছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে। বাংলাদেশের বাইরে প্রথম শহীদ মিনার গড়ে ওঠে ব্রিটেনের ওল্ডহ্যাম শহরে। এটি ১৯৯৭ সালের কথা। স্থানীয় বাঙালি কাউন্সিলরদের দাবির মুখে ওল্ডহ্যাম কাউন্সিলের জমি এবং নগদ অর্থ বরাদ্দের সুবাদে স্থানীয় বাঙালিদের কয়েকটি সংগঠনের প্রত্যক্ষ সহায়তায় ওই শহীদ মিনারটি গড়ে ওঠে। এটি নির্মিত হয় ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে। এটি নির্মাণের ঠিক তিন বছর পর আরেকটি শহীদ মিনার প্রতিষ্ঠিত হয় ইংল্যান্ডের সর্ববৃহৎ বাঙালি অধ্যুষিত এলাকা পূর্ব লন্ডনে। বাঙালিদের উদ্যোগেই তা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ঐতিহাসিক আলতাব আলী পার্কে।
এরপর শহীদ মিনার নির্মিত হয়েছে লুটন শহরে। জাপানের রাজধানী টোকিওর প্রাণকেন্দ্র তোসিমা সিটিতে ন্যাশনাল থিয়েটার হলের পাশে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলেই ২০০৫ সালে নির্মিত হয়েছে একটি মিনার। জাপান সরকারের বরাদ্দ দেওয়া জমিতে এই মিনারটি নির্মিত হয়েছে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে। একই সময়ে মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে ওমানে গড়ে উঠেছে শহীদ মিনার। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে নির্মিত এ মিনারটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেখানকার তৎকালীন রাষ্ট্রদূত গোলাম আকবর খন্দকারের উদ্যোগে। অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বিখ্যাত অ্যাশফিল্ড হেরিটেজ পার্কে একুশে একাডেমি অস্ট্রেলিয়ার উদ্যোগে ২০০৬ সালে নির্মিত হয়েছে একটি শহীদ মিনার। এটিকে অবশ্য বলা হচ্ছে মাতৃভাষা স্মৃতিসৌধ। দাবি করা হচ্ছে, এটাই প্রথম আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা স্মৃতিসৌধ।
ইউরোপে যুক্তরাজ্যের লন্ডনের পর ইতালির আদরিয়াটিকো সাগরের ক‚লঘেঁষা বন্দর শহর বারিতে নির্মিত হয় শহীদ মিনার। ইতালির দ্বিতীয় শহীদ মিনার স্থাপিত হয় রাজধানী রোমে। ভিয়া পানামার ইসহাক রবিন পার্কে এটি নির্মিত হয় ২০১১ সালের ফেব্রæয়ারিতে। ফ্রান্সের বাঙালি কমিউনিটি প্রতি বছর আনুষ্ঠানিকভাবে ভাষা শহীদদের স্মরণ করে থাকে অস্থায়ী শহীদ মিনার তৈরি করে। একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণা হলে ফ্রান্সের বাঙালি কমিউনিটির চেষ্টায় প্যারিসে স্থায়ী শহীদ নির্মাণ হয়েছে। প্রক্রিয়া থেকে বাদ পড়েনি ফ্রান্স, জার্মানি, কানাডাও।
প্রতি বছর একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের অংশ হিসেবে বিশ্বের দেশে দেশে নির্মিত হয় অগণিত অস্থায়ী শহীদ মিনার। নিউইয়র্কের জাতিসংঘ ভবনের সামনে প্রতি বছর একুশে ফেব্রুয়ারিতে কালো কাপড়ে পরিবেষ্টিত অস্থায়ী শহীদ মিনার নির্মিত হয়। স্থায়ী হোক আর অস্থায়ী হোক, বিদেশের মাটিতে বাংলা ভাষা আর বাংলাদেশিদের গৌরবের মিনার মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকাটাই সম্মানের।
কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশিদের দীর্ঘদিনের লালিত আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন এই স্বপ্নের স্থায়ী শহীদ মিনার। শুরু থেকে শেষ অবধি যারা অর্থ, শ্রম, মেধাসহ আলোচনা, সমালোচনা, উৎসাহ-উদ্দীপনা প্রদানের মাধ্যমে এই স্থায়ী শহীদ মিনার বাস্তবায়নে সহযোগিতা করে চলেছেন সকলের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা রইলো। পারস্পরিক সহযোগিতায় টরন্টোর বুকে স্থায়ী হোক আমাদের গর্ব, আমাদের পরিচয়, আমাদের সম্পর্কের বন্ধন, আমাদের ঐতিহ্য অমর ২১ ফেব্রুয়ারির ভাষা শহীদদের স্মরণে একটি স্থায়ী শহীদ মিনার।
সুহেল ইবনে ইসহাক: কবি ও কলাম লেখক