জয়ন্ত চক্রবর্তী, কলকাতা : একেই বোধহয় বলে কারও সর্বনাশ তো কারও পৌষমাস। কলকাতার হাতে টানা রিকশার ক্ষেত্রে এই প্রবাদটি বোধহয় খেটে যায়। করোনা পূর্ববর্তী সময়ে তাদের যে আয় ছিল এই করোনার সময়ে সেই আয় দ্বিগুণ হয়েছে। সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে অনেকেই বাস, অটো, ট্যাক্সি এড়িয়ে চলছেন। তাঁরা বেছে নিচ্ছেন নিরাপদ বাহন হাতে টানা রিকশা। মুখে মাস্ক লাগানো সওয়ারকে নিয়ে মুখে মাস্ক লাগিয়ে রিকশা টানছেন চালক। এমন দৃশ্য হারবখতই দেখা যাচ্ছে। হাতে টানা রিকশার চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাড়াও বেড়েছে।
রাজ্যের বাম সরকারের মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচাৰ্য বিষয়টা অমানবিক বলে হাতে টানা রিকশা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। কিন্তু, মানুষের প্রয়োজনের সঙ্গে তাল রেখে মহানগরীতে হাতে টানা রিকশা থেকে গেছে। আগে শহরে সাত হাজার রিকশা চলতো। এখন চলে মেরেকেটে দু’হাজার। আটশো মালিক এই দু’হাজার রিকশার। মালিক রিকশা পিছু দৈনিক কুড়িটাকা পান। এখন দৈনিক ভাতাটাও বেড়েছে। ভাড়া বেড়েছে রিকশারও। ত্রিশ টাকার ভাড়া হয়েছে পঞ্চাশ টাকা। পঞ্চাশ টাকাটা একশো টাকা। তাও মানুষ নিয়মিত রিকশায় চাপছেন। ওয়েস্ট বেঙ্গল রিকশা এসোসিয়েশন এর সচিব মোক্তার আলি রিকশাচালকদের জন্যে মাস্ক, স্যানিটাইজার এবং গ্লুকোজ ওয়াটার দাবি করেছেন সরকারের কাছ থেকে।