অনলাইন ডেস্ক : করোনা মোকাবেলার ক্ষেত্রে ইরান যতগুলো পরীক্ষা চালিয়েছে সেসব পরীক্ষায় সাফল্য বেশ উজ্জ্বল। নিষেধাজ্ঞাসহ বিচিত্র প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ইরান এসব অনন্য সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
শনিবার দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি করোনা মোকাবেলা বিষয়ক স্পেশাল টাস্কফোর্সের বৈঠকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে ইরানের নয়া সাফল্যের কথা জানান।
এসময় তিনি বলেছেন, বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রে ইরান বিশ্বে পণরত স্থানে রয়েছে এবং পশ্চিম এশিয়া ও মুসলিম বিশ্বে ইরান শীর্ষস্থানে অবস্থান করছে। তিনি করোনা রোগের চিকিৎসার জন্য দুটি কার্যকর ওষুধের কথা জানিয়ে বলেন, ইরানের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিষয়ক তৎপরতা এ সপ্তাহ থেকে তৃতীয় পর্যায়ে গেছে। করোনার মোকাবেলার ক্ষেত্রে চিকিৎসা পিরামিডের গুরুত্বপূর্ণ একটি স্তম্ভ হল স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবা দেওয়ার ক্ষমতা ও সামর্থ্য।
ইরানের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা অনুযায়ী ইরান প্রথম পর্যায়ে সাত কোটি আশি লাখ মানুষকে পরীক্ষা করেছে। এর ফলে হাসপাতালগুলোতে করোনা রোগীর ভিড় লক্ষ্যণীয় পর্যায়ে কমে গেছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে আশঙ্কাজনক তিন কোটি আশি লাখ মানুষকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছে।
২০১৯ সালের শেষের দিকে চীনের উহান শহরে চিহ্নিত হবার পর করোনাভাইরাস খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সমগ্র বিশ্বে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ে। ইরানে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৭০ হাজার। এর মধ্যে ১ লাখ ৩২ হাজার রোগী সুস্থ হয়েছে। শনিবার পর্যন্ত মারা গেছে ৮ হাজার ২০৯ জন।
করোনা মোকাবেলায় ইরানের পথে বিচিত্র প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে আমেরিকা। তারপরও ইরান নিজস্ব সামর্থকে কাজে লাগিয়ে যেভাবে করোনা মোকাবেলায় সাফল্য অর্জন করেছে তা বিশ্বের জন্য উদাহরণ। এক্ষেত্রে সর্বশেষ সাফল্য হলো করোনা চিকিৎসার দুটি ওষুধের ঘোষণা। ইরান বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনা মোকাবেলায় তাদের সফল অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছে। করোনার ভয়াবহ দিনগুলো তো অতিক্রান্ত হয়েছে ঠিকই তবে যা কিছু থেকে গেছে তা হলো এই রোগের চিকিৎসা ও মোকাবেলার ক্ষেত্রে ইরানের সাফল্য ও অর্জন।