অনলাইন ডেস্ক : করোনার নমুনা পরীক্ষা, সনদ ও প্লাজমা ডোনেশনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতারণা ও অনিয়মের বিরুদ্ধে সরকার অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সংসদ ভবন এলাকায় অবস্থিত সরকারি বাসভবন থেকে দেয়া এক ভিডিওবার্তায় তিনি এ কথা জানান। ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনার সংক্রমণ রোধ ও আক্রান্তদের চিকিৎসায় সম্মুখ সারিতে থেকে যারা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের আবারো অভিনন্দন জানাচ্ছি। আপনারা ত্যাগ, মনোবল এবং সংকটে সহমর্মিতার যে নজির স্থাপন করেছেন তা জাতি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। ইতিমধ্যে অনেক চিকিৎসক, পুলিশ, সাংবাদিক, নার্স, টেকনোলজিস্ট, মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তা, সেনাসদস্য প্রাণ হারিয়েছেন। একজন সিভিল সার্জন মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি বলেন, আমি ফ্রন্টলাইনারদের মধ্যে যারা প্রাণ দিয়েছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করছি। আপনারা লড়াই চালিয়ে যান দৃঢ় মনোবল নিয়ে।

দেশের সংকটে জাতির প্রয়োজনে আপনারাই প্রকৃত বীর। শেখ হাসিনা সরকার আপনাদের পাশে রয়েছে। তিনি বলেন, করোনা ইস্যুতে বিভিন্ন ধরনের প্রতারণা মানুষের অসহায়ত্ব নিয়ে নির্মম বাণিজ্য ছাড়া কিছু নয়। অন্যদিকে আমাদের কিছু মানুষ সংক্রমণ লুকিয়ে তথ্য গোপন করে চলাফেরা করছে। শুধু তাই নয় করোনা নেগেটিভ সনদ নিয়ে বিদেশে গিয়ে এয়ারপোর্টে পজিটিভ হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। তিনি বলেন, বিদেশে যাওয়ার তীব্র প্রতিযোগিতা এবং সত্য গোপন রাখায় বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে পারে লাখ-লাখ প্রবাসীদের অবিশ্বাস আর অনিশ্চয়তার আঁধারে ফেলে দিচ্ছে। দয়া করে কেউ এমন কাজ করবেন না। সংক্রমণ লুকাবেন না। লক্ষণ দেখা দিলে আইসোলেশনে থাকুন। চিকিৎসা নিন। আপনার তথ্য গোপনের সঙ্গে দেশের ইমেজ, লাখ লাখ প্রবাসীর ভাগ্য এবং আপনার নিজের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায় আবর্তিত হবে। ওবায়দুল কাদের বলেন, ঈদে সংক্রমণ বিস্তার রোধে আমাদের সকলকে সচেতনতার জনযোদ্ধা হিসেবে কাজ করতে হবে। সমাগম এড়িয়ে চলতে হবে নিজের ও পরিবারের স্বার্থে। পশুর হাট, বাস, লঞ্চ টার্মিনাল, ট্রেন স্টেশন, ফেরিঘাট, শপিংমল, কাঁচাবাজারসহ প্রতিটি স্থানে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রেখে, মাস্ক পরে এবং স্বাস্থ্য বিধি মেনে সুরক্ষা বলয় তৈরি করতে হবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, পরিবারের সঙ্গে ঈদ করার আনন্দযাত্রা যেন বিষাদ যাত্রায় রূপ না নেয় সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। ক্ষণিকের উদাসীনতা জীবনের চিরচেনা কোলাহল থেকে আমাদের নিঃশব্দ অচেনা জগতে নিয়ে যেতে পারে। তাই আসুন, সচেতনতার সর্বোচ্চ মাত্রায় নিজেদের সুরক্ষা করি। স্বাস্থ্য বিধি না মানলে কোনো প্রয়াসই কাজে দেবে না। ফল দেবে না লকডাউন কিংবা রেড জোন। তাই আসুন, মনের মাঝেই দৃঢ়তার দুর্গ নির্মাণ করি করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে।

তিনি বলেন, ১৪ দলের শরিক দলসমূহের নেতৃবৃন্দের সম্মতিক্রমে আওয়ামী লীগের সভাপতি, বঙ্গবন্ধু কন্যা, দেশরত্ন শেখ হাসিনা প্রবীণ নেতা ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমুকে ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্রের দায়িত্ব দিয়েছেন। আমির হোসেন আমু তার দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও প্রজ্ঞা দিয়ে ১৪ দলের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালনে যথাযথ ভূমিকা পালন করবেন বলে নেত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।