অনলাইন ডেস্ক : এবার চিকিৎসাবিজ্ঞানে বিশেষ অবদানের জন্য নোবেল পুরস্কার জিতেছেন ক্যাটালিন কারিকো এবং ড্রু উইসম্যান। সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে করোলিনস্কা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সোমবার (২ অক্টোবর) নোবেলজয়ী হিসেবে যৌথভাবে এই দুইজনের নাম ঘোষণা করা হয়।

করোনারোধী টিকা আবিস্কারের জন্যে সোমবার তাদেরকে এ সম্মানে ভূষিত করা হলো। তারা দুজনই হাঙ্গেরীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন বিজ্ঞানী। ১৯৯০ সালের শুরু থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে তারা এক সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাদের তৈরি প্রযুক্তি ব্যবহার করে করোনারোধী অন্যতম টিকা মডার্না, ফাইজার/বায়োএনটেক প্রস্তুত করা হয়েছে। মহামারি শুরু আগে তারা এমআরএনএ নামের এই প্রযুক্তিটি তৈরি করেছিলেন। পরে তা বিশ্বে ছড়িয়ে দেয়া হয়। এই একই প্রযুক্তি ক্যানসারসহ অন্যান্য রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।

চলতি বছর ২ অক্টোবর চিকিৎসায় নতুন বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করার মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছে এই যাত্রা। আগামী ছয় দিন একে একে পুরো বিশ্ব থেকে ছয় বিষয়ের পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টায় (বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে তিনটায়) স্টকহোমে চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেলজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়।

এরপর একে একে আগামী মঙ্গলবার পদার্থবিজ্ঞান, বুধবার রসায়ন এবং আগামী বৃহস্পতিবার সাহিত্যে নোবেলজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। আর চলতি বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার আগামী শুক্রবার (৬ অক্টোবর) এবং ৯ অক্টোবর অর্থনীতিতে বিজয়ীর নাম ঘোষণার মাধ্যমে এবারের নোবেল পুরস্কারের পর্দা নামবে। সাধারণত মোট ছয়টি বিভাগে ছয় দিনে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। আর নোবেল শান্তি পুরস্কার ঘোষণা হয় নরওয়ের অসলো থেকে। সাহিত্য ও অর্থনীতির মতো অন্য পুরস্কারগুলো সুইডেন থেকে ঘোষণা করা হয়।

চিকিৎসা, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, সাহিত্য এবং শান্তিতে পুরস্কারের যাত্রা শুরু হয়েছিল আলফ্রেড নোবেলের ইচ্ছায়। সুইডিশ শিল্পপতি, ধনকুবের ও ডিনামাইটের উদ্ভাবক আলফ্রেডের নামে এই পুরস্কার দেয়া শুরু হয়। আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুর পাঁচ বছর পর ১৯০১ সালে প্রথম নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।

প্রতিটি পুরস্কারের মূল্য এক কোটি সুইডিশ ক্রোনার (প্রায় ৯ লাখ ডলার)। ১৮৯৬ সালের ১০ ডিসেম্বর আলফ্রেড নোবেল মারা যান। প্রত্যেক বছরের নোবেল বিজয়ীদের হাতে আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুবার্ষিকীতে (১০ ডিসেম্বর) একটি সনদ ও স্বর্ণপদক তুলে দেয়া হয়।