অনলাইন ডেস্ক : ২০২৪ সালে এমপক্সে কঙ্গোতে ১৫ হাজার ৬৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। শেষ খবর পর্যন্ত আফ্রিকার ১২টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী এ রোগ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, এ বছর নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে ছড়াচ্ছে এমপক্স। এটি আগের ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে বেশি প্রাণঘাতী। এতে মৃত্যুর হার ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। বিশ্বব্যাপী এই রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে, এমন আশঙ্কায় জরুরি বৈশ্বিক সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

কঙ্গোর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ২০২২ সাল থেকে দেশটিতে এমপক্সের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। এবারে পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে। এরই মাঝে রাজধানী কিনশাশাতেও শনাক্ত হয়েছে রোগী।

তবে পূর্বাঞ্চলের প্রদেশ দক্ষিণ কিভু ও পশ্চিমাঞ্চলের ইকুয়েটরে এমপক্সের সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি। এর সংক্রমণ ঠেকাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নাগরিকদের মাঝে এ রোগ নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে চলছে প্রচারণা। তবে অনেকেই সংক্রামক এ রোগের ব্যাপারে উদাসীনতা দেখাচ্ছে বলে জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেক প্রবীণ মানুষের মধ্যে এমপক্সের উপসর্গ দেখা দেয়ার পরও তারা উপেক্ষা করছেন। হাসপাতালে যাওয়ার বদলে চার্চসহ বিভিন্ন জমায়েতে হাজির হচ্ছেন তারা। এতে করে রোগটি ছড়িয়ে পড়ছে। অনেকেই এমন অবস্থায় হাসপাতালে যাচ্ছেন, যখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। এসব কারণেই বাড়ছে এমপক্সে মৃত্যুর হার।