অনলাইন ডেস্ক : ভারত ও কানাডার মধ্যে গত কয়েকদিনে সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এই আবহে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারকে এই ইস্যুতে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তিনি বলেন, “বিষয়টি যখন কানাডার, তখন আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানাতে চাই, যে অভিযোগ করা হয়েছে তা অত্যন্ত গুরুতর। ভারতকে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করার আর্জি জানাচ্ছি।’

ভারত-কানাডার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছিল ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে। খলিস্তানপন্থী নিজ্জরের হত্যার ঘটনায় ভারতের যোগ থাকতে পারে বলে ২০২৩ সালে কানাডার সংসদে দাঁড়িয়ে বিবৃতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তবে সেই অভিযোগ খারিজ করে দেয় ভারত। আর সেইসঙ্গে গত এক বছরে বারবার বলে এসেছে যে প্রমাণ দেওয়া হোক নয়াদিল্লিকে। সেই প্রমাণ অবশ্য দিতে পারেনি ট্রুডো সরকার।

এদিকে সম্প্রতি কানাডায় নিযুক্ত হাইকমিশনার সঞ্জয় বর্মা-সহ কয়েকজন ভারতীয় কূটনীতিবিদকে একটি মামলার তদন্তে ‘পারসন অফ ইন্টারেস্ট’ করা হয়। এমনকি তাদের জেরা করতে চাওয়া হয়েছিল বলেও দাবি করা হয়েছে একাধিক রিপোর্টে। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই নিজ্জর খুনে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে। পাল্টা দিল্লিতে থাকা কানাডার ৬ কূটনীতিককে দেশ ছাড়তে বলে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। এই তালিকায় রয়েছেন ভারপ্রাপ্ত হাই কমিশনার স্টুয়ার্ট রস হুইলার। এই নির্দেশিকা প্রকাশ্যে আসার পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ট্রুডো। সেখানে সাফ জানিয়ে দেন, ভারত যেভাবে কানাডার কূটনীতিকদের প্রতি আচরণ করেছে সেটা একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না। টালমাটাল এই পরিস্থিতির মাঝেই এবার কানাডার পক্ষ নিয়ে কূটনৈতিক লড়াইয়ে যোগ দিল আমেরিকা। আমেরিকার প্রশাসনিক কর্তা ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘দুই দেশ একে অপরের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে যা অভিযোগ করছে তার বাইরে আমাদের নতুন করে আর কোনও বক্তব্য নেই। আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য এই তদন্তে ভারত সহযোগিতা করুক। এবং আগামী দিনেও আমাদের বক্তব্য একই থাকবে।’

সূত্র : এনডিটিভি