অনলাইন ডেস্ক : চীনের পর ভারতেও মিললো হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস (এইচএমপিভি)। এই ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার খবর পাওয়া গেল কলকাতাতেও। পাঁচ মাস বয়সী এক শিশুর শরীরে এই ভাইরাস মিলেছে। এর আগে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে কর্ণাটকের বেঙ্গালুরু শহরের ২ শিশু। গুজরাটে আক্রান্ত হয়েছে ১ শিশু।

সেক্ষেত্রে চীনের পর সোমবারই ভারতে এই চার শিশুর শরীরে এই ভাইরাসের সংক্রমণের খবরটি সামনে আসে।

কলকাতায় আক্রান্ত ৫ মাসের শিশুটি ইএম বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। কলকাতায় বাড়ি হলেও কর্মসূত্রে ওই শিশুর পরিবার মুম্বাইতে থাকে। প্রায় আড়াই মাস আগে ওই শিশু জ্বর, বমি, পায়খানা নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আপাতত সুস্থ থাকলেও ওই শিশুর এইচএমপিভি রিপোর্ট পজিটিভ।

কর্নাটকের বেঙ্গালুরুর একটি বেসরকারি হাসপাতালে (ব্যাপ্টিস্ট) চিকিৎসার পর ৩ মাসের শিশুটিকে ছেড়ে দেওয়া হলেও, ৮ মাসের অন্য শিশুটি এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। যদিও ওই দুই শিশুর কারোরই বিদেশে ভ্রমণের ইতিহাস নেই। জানা গেছে এইচএমপিভি-তে আক্রান্ত ৩ মাস বয়সী শিশুটির কয়েক দিন আগে ব্রঙ্কোনিউমেনিয়া হয়েছিল। এমনকি ৮ মাস বয়সী শিশুটিও ব্রঙ্কোনিউমেনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিল। রবিবার তার শরীরের নমুনা পরীক্ষা করলে দেখা যায় সে এইচএমপিভি সংক্রমিত। যদিও ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে ওই শিশুটি।

গুজরাটের আমেদাবাদে একটি বেসরকারি হাসপাতালে দুই মাসের একটি শিশুর শরীরে এইচএমপিভি মিলেছে। শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা নিয়ে রাজস্থানের দুঙ্গারপুরের বাসিন্দা ওই শিশু গত ২৪ ডিসেম্বর আমেদাবাদের হাসপাতালে ভর্তি হয়। ২৬ ডিসেম্বর তার শরীরের নমুনা পরীক্ষাতে পজিটিভ রিপোর্ট আসে। যদিও সোমবার বিষয়টি জানতে পারেন বলে জানিয়েছেন আমেদাবাদ মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ভাবিন সোলাঙ্কি।

২০২৫ সালের গোড়া থেকে চীনে আতঙ্ক ছড়িয়েছে এই ভাইরাস। চিকিৎসকরা বলছেন, এর উপসর্গ সাধারণ মৌসুমী রোগের মতই। নাক দিয়ে পানি পড়া, বুকে কফ জমা, শ্বাসকষ্ট, গলা ব্যাথা, জ্বর, গায়ে র‍্যাশ বেরোনো- এই রোগের উপসর্গ। মূলত শিশু ও প্রবীণ ব্যক্তিদেরই এই ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। প্রাণঘাতী না হলেও করোনার মতো এই ভাইরাসও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।