অনলাইন ডেস্ক : ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের চামোলী জেলায় রবিবার শেষ হলো উদ্ধারকাজ। উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে আটকে পড়া শ্রমিকদের শেষজনের দেহর খোঁজ মিলল দুপুরের দিকে। এতে তুষারধসের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হলো আট। ৪৬ জন শ্রমিকের প্রাণ বাঁচাতে পেরেছে উদ্ধারকারী দল।
ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে এ খবর জানা গেছে।
এর আগে শুক্রবার চামোলীর মানা গ্রামে বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশনের (বিআরও) শিবিরে তুষারধস নেমে আটকা পড়েছিলেন ৫৪ জন শ্রমিক। রবিবার সেই উদ্ধারকাজ শেষ হয়েছে বলে জানান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দেহরাদুনের জনসংযোগ কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মণীশ শ্রীবাস্তব।
শুক্রবার রাতে খারাপ আবহাওয়ার কারণে থমকে যায় উদ্ধারকাজ।
এরপর দ্বিতীয় দিন শনিবার উদ্ধারকাজ শুরু করে রাজ্য ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবেলা বাহিনীর। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ (আইটিবিপি) ও বিআরও। এই চার বাহিনীর প্রায় ২০০ জন মিলে চালান তল্লাশি। উদ্ধারকাজে মোতায়েন হয় হেলিকপ্টারও।
তাতেও সুবিধা না হওয়ায় ‘ভিকটিম লোকেটিং ক্যামেরা’ (ভিএলসি), থার্মাল ইমেজিং ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়। আটকে থাকা শ্রমিকদের খোঁজে মোতায়েন করা হয় প্রশিক্ষিত কুকুরও।
প্রশাশন ও ভারতীয় সেনাবাহিনী সূত্রের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমটি বলেছে, শনিবার প্রায় ৫০ জনকে উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে চারজনের মৃত্যু হয়। মৃতদের মধ্যে তিনজন ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান।
একজনের মৃত্যু হয় জোশীমঠে সামরিক হাসপাতালে। এরপর রবিবার সকাল থেকে নিখোঁজদের খোঁজে আবার শুরু হয় উদ্ধারকাজ। ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পর তাদের পরিণতি নিয়ে আশঙ্কাও তৈরি হয়। এরপর আরো তিন শ্রমিকের দেহ উদ্ধার হয়। শেষে রবিবার দুপুর নাগাদ শেষ শ্রমিকের দেহ উদ্ধার করা হয়।
ধসে আটকে অসুস্থ হয়ে পড়া বিআরও শ্রমিকদের জোশীমঠের সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। অন্যদিকে এমস হৃষীকেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সেখান চার শ্রমিককে ভর্তি করানো হয়েছে। তাদের অবস্থা সংকটজনক।