(পৃথ্বীরাজ চৌধুরীর ইতি অপু থেকে প্রভাবিত তবে স্থান, কাল, পাত্র সবি সত্য)
হিমাদ্রী রয়

সরু,
ভালো আছিস জানি
তবু লেখছি
অনেকদিন তো যোগাযোগ হয়নি
জমা পড়ে আছে কত কথা
বিশ বছর কম তো নয়
অথচ দেখ মনে হয় সেদিন
তুই বিদায় জানিয়েছিলি যেদিন
কালের যাত্রায় যা আজ কেবল
হারিয়ে যাওয়া ক্যালেন্ডারের পাতা
তোরও কি এমনি মনে হয়।
হঠাৎ করেই সাক্লায়েনের সাথে কথা
এই মন্দ-ভালো মতবিনিময়
স্বাধীন কি করছে, সাহানা কোথায় আছে
দুই বন্ধুতে কথা হলে যেমন হয়।
নাসিমাকে ফোন করতে সাহস হয় না
সাদা শাড়ির দীর্ঘশ্বাস আমার অতি চেনা
আমার নিজের বিধবা দিদির সংগ্রাম
সে তো আর ভুলা যায় না।
রোজি কেমন আছেরে?
রুমার সাথে যোগাযোগ হয়েছিল
অনেক আগে, সিলেটেই আছে
সোহেল কি এসেছে লন্ডন ছেড়ে।
আমিতো ছিলাম ব্যাকবেঞ্চার
কেমন সৌভাগ্য দেখ
৮৮-৮৯ দুই ব্যাচেই বন্ধু আমার
বিমান বিহারীকে পেলাম এবার
নাসির, গুলজার ফেইসবুকে
ঘুরাঘুরি করে
গাফফারের ফার্মেসী ঠিক আছে
জানি তেলিয়াপাড়ার মোড়ে
শুধু কবিরটা নেই কোন খবরে
দুলাল মাঝেসাঝে মন্তব্য করে
আমার লেখা পড়ে।
মানসটা অকালে চলে গেছে
এ নিয়ে ভাস্কর ফোন দিয়ে
কদিন কান্নাকাটি করেছে
কে জানে কার রথ কবে
কোথায় অপেক্ষা করে আছে।
এই দেখ কথায় কথায়
বলা হয়নি আমি কেমন আছি
সত্যি বলছি যাপনের জন্য
শত অভিযোগের মাঝে যতটা
ভালো থাকা যায়
স্মৃতি আর শ্রæতির সঞ্চয় নিয়ে
বেঁচে আছি জীবনের প্রতি কৃতজ্ঞতায়।
এবার আসি আসল কথায়
সাক্লায়েন জানালো
কাজল এখন চেয়ারম্যান
খুশি হয়েছি ভীষণ
কিন্তু যখন জানলাম
কাজলের কাছে পরাজিত হয়েছে রাণা
খুশির ঘরে এলো বিষাদের হানা
চুপসে গেল মন।
যা হউক দলাদলি শেষে
গলাগলি হবে নিয়ে শত বায় না
ভোটের জন্য প্রয়োজন জনগণ
বন্ধুত্বের জন্য তো আর
কারো ম্যান্ডেট নিতে হয় না।
আবার লকডাউন এখন জানিস
হিম রাত পূর্ণ অবকাশ
ভাবনার স্তরে স্তরে
সুখের ছোট নহর বড় দুঃখ পুকুর
ছাইপাঁশ আরো অনেক কিছু
স্মৃতির ঘরে বাস।
আমি পেছন ফিরে তাকাই
দেখি এরা দাঁড়িয়ে আছে ঠায়
হাইস্কুলের বর্ষীয়ান ইউক্যালিপটাস
খেয়া ঘাট, দুরন্তপনার মাঠ
পোস্ট অফিস-এর ঠিক পেছনে
কৃষ্ণচূড়া গাছ
ঝোপের আড়ালে রাতের জোনাকি
কবিতার জুনিয়র সাথি জুয়েল
আর তোর-আমার না লেখা
বাউন্ডেলে গল্পের পান্ডুলিপি।
ভালো থাকিস সবাই
এই যা নামটাই তো বলা হয়নি
আমি হিমাদ্রী
কি চিনতে পারিসনি
জানি এই নামে ডেকে তুই অভ্যস্ত নস
সঞ্জীব ছাড়া তো,
কখনো ডাকিসনি।