কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো

অনলাইন ডেস্ক : গত ৮ জুলাই, শনিবার কানাডার টরন্টোর ভারতীয় কনসুলেট অফিসের সামনে শিখ সমর্থিত খালিস্তানি সংগঠনগুলো বিক্ষোভ মিছিল করে। উল্লেখ্য, ভারতে ও বিভিন্ন দেশে বসবাসরত শিখ ধর্মাবলম্বীদের একটি অংশ ভারতের শিখ অধ্যুষিত অঞ্চলে ‘খালিস্থান’ নামে একটি নতুন স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য আন্দোলন করে যাচ্ছে। ধারণ করা হয়, এই আন্দোলনের মূল কার্যকলাপ পরিচালিত হয় কানাডায় বসবাসরত শিখ জনগোষ্ঠীদের দ্বারা।

কানাডার মাটিতে খালিস্তানি কার্যকলাপের নিন্দা জানিয়েছে ভারত সরকার। এমন পরিস্থিতিতে খালিস্তানিদের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তিনি পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেন, বাকস্বাধীনতা ও মতামত প্রকাশের অধিকার থাকলেই হিংসা বা উগ্রপন্থাকে প্রশ্রয় দেয়া যায় না। তিনি এও জানান, খালিস্তান সমর্থক এবং জঙ্গিদের প্রতি কানাডার সরকার নরম মনোভাব দেখাচ্ছে এটা ভাবা ভুল। উল্লেখ্য, বেশ কয়েকদিন আগে ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুদৃশ্য নিয়ে ট্যাবলট পত্রিকা বের করেছিল খালিস্তানিরা। দেশের নানা প্রান্তে ‘কিল ইন্ডিয়া’ পোস্টারও ইতোমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। কানাডার এমন পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। গত ৩ জুলাই, সোমবার কানাডার দূতকে নয়াদিল্লিতে তলব করা হয়েছিল।

টরন্টোতে ‘খালিস্তান’ রাষ্ট্রের দাবী

কানাডার প্রধানমন্ত্রী বুঝতে পারেন, ভারত রুষ্ট হয়েছে। তাই তিনি বলেন, ওরা ভুল করছে। হিংসা এবং হিংসার হুমকিকে কানাডা সর্বদা গুরুত্ব দিয়েছে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমরা সবসময় কড়া পদক্ষেপ নিয়েছি এবং আমরা তাই করব। ট্রুডো আরও বলেন, আমাদের দেশ চরম বৈচিত্র্যপূর্ণ, দেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে, তবে সব ধরনের হিংসা এবং চরমপন্থাকে যাতে নির্মূল করতে পারি সেটাও আমরা সুনিশ্চিত করি।

সোমবার কানাডার দূতকে তলব করার পরদিনই ভারতীয় ক‚টনীতিকদের নিরাপত্তার ব্যাপারে নয়াদিল্লিকে আশ্বস্ত করে কানাডা। খালিস্তানিদের র?্যালি এবং অনলাইন পোস্টারে যে সমস্ত কথা লেখা হচ্ছে তাকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলেও আখ্যা দেয় ট্রুডোর সরকার। এক বিবৃতিতে কানাডার বিদেশমন্ত্রী মেলানি জলি বলেন, কিছু লোকের কার্যকলাপ সমগ্র কানাডাকে বোঝায় না। এর আগে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছিলেন, কানাডা, আমেরিকা এবং ব্রিটেনের মতো ‘পার্টনার’ সরকারকে চরমপন্থী খালিস্তানি মতবাদকে জায়গা না দিতে বলেছে ভারত। তাঁর মতে, ভোটব্যাংকের কথা মাথায় রেখে যেভাবে খালিস্তানিদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কানাডা, তার প্রভাব পড়েছে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে। কানাডায় এমন কিছু কার্যকলাপের অনুমতি দেওয়া হয়েছে যা ভারতের সার্বভৌমত্বের পক্ষে বিপদজনক । তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, খালিস্তানিদের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ নেয়া খুবই কঠিন হবে কানাডার পক্ষে।