বিনোদন ডেস্ক : স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার সম্মুখীন হয়েছেন দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ১১ টি জেলা। বন্যার পানিতে লাখ লাখ মানুষের বাড়িঘর-ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। এ ঘটনায় এসব জেলাগুলোতে বন্যায় এখন পর্যন্ত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। বন্যাদুর্গতদের উদ্ধারে সেনাবাহিনী, কোস্টগার্ড, বিজিবি ও নৌবাহিনী যোগ দিয়েছে। পাশাপাশি সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরাও উদ্ধারে কাজ করে যাচ্ছে।

পিছিয়ে নেয় চলচ্চিত্রশিল্পী, অভিনেতা-অভিনেত্রীরও। যে যেভাবে পারছেন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। এদিকে ছোট পর্দার অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে আন্দোলন করেছিলেন। এবার বন্যাদুর্গতদের সাহায্যের জন্য প্রথম থেকেই কাজ করে যাচ্ছে। একটি টিম নিয়ে বানভাসিদের উদ্ধারে গেছেন।

রুকাইয়া জাহান চমক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট করেছেন। যেখানে দেখা যায়, ‘গ্রামের অসহায় মানুষদের মাঝে ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছে সঙ্গে হয়েছে তার টিমের সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা। সেসব ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘তোমার ভয় নেই মা, আমরা প্রতিবাদ করতে জানি।’ এইটা শুধুমাত্র একটা গান না, এইটা জাতিগতভাবে আমাদের পরিচয়। আমরা প্রতিবাদী আমরা বিপ্লবী আমরা হার না মানা নির্ভীক যোদ্ধা।’

এ অভিনেত্রী বন্যার ছোবল থেকে আমাদের দেশটাকে বাঁচিয়েও আনতে পারি উল্লেখ করে লিখেছেন, যেকোনো দুর্যোগ, হোক সেটা প্রাকৃতিক অথবা মানবসৃষ্ট আমরা সেটাকে বুক পেতে হাসিমুখে প্রতিহত করতে পারি। আমরা যেমন রাজপথে দুহাত মেলে বুকে গুলি নিতে পারি, তেমনি বন্যার ছোবল থেকে আমাদের দেশটাকে বাঁচিয়েও আনতে পারি ।

ক্যাপশনের শেষে চমকের ভাষ্য, পৃথিবীর যত বড়ো পরাশক্তিই হোক না কেন , আমাদের ভাসিয়ে দেয়া উজাড় করে দেয়া , নিশ্চিহ্ন করে দেয়া এত সহজ না! কারণ আমরা শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত লড়তে জানি। তাই আপাতত চোখের সামনে অনেক গুলো হাসিমুখ দেখছি, যারা সারাদিন পানির মধ্যে যুদ্ধ করে , দুটো শুকনো টোস্ট আর গুড় খেয়েও প্রাণ খুলে হাসছে , আর প্রস্তুতি নিচ্ছে কালকের যুদ্ধের জন্য। গানটি বার বার বুকে এসে বাঁধছে ‘তোমার ভয় নেই মা , আমরা প্রতিবাদ করতে জানি।’

চমকের এসব কাজের প্রশংসা করেছেন তার ভক্ত-অনুরাগী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। কমেন্ট বক্সে আদিব জিদান নামে আরেকজনের একজন লিখেছেন, ‘যদিও মিডিয়ার বেশি খবর জানি না বাট আপনাকে সবার থেকে আলাদা লাগে,আসলেই আপনার পারসোনালিটি আলাদা আপু।’

হানিফ আহমেদ নামে আরেকজনের ভাষ্য, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আমাদের দেশের মানুষগুলো সত্যি এতো ভালো, একে অপরকে একটা পরিবারের মতোই দেখে। এই দৃশ্য দেখে সারা দেশটা নিজ পরিবার মনে হচ্ছে।দেশের মানুষ এবং দেশের প্রতি এতো ভালোবাসা বৃদ্ধি পাচ্ছে।অতছো স্বৈরাচারের কারণে এতো বছর নিজ দেশকে অন্ধকার কারাগার আর শুধু নিষ্ঠুর মানুষ দেখেছিলাম।’