স্পোর্টস ডেস্ক : ঢাকার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ।
ম্যাচটিতে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভার ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১১৫ রান করতে সমর্থ হয় বাংলাদেশ। এর মাধ্যমে ২০ ওভারের খেলায় আফগানদের বিপক্ষে নতুন করে সর্বনিম্ন রান করেছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের হয়ে ম্যাচটিতে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেছেন শততম ম্যাচ খেলতে নামা মুশফিকুর রহিম।
টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে এর আগে সর্বনিম্ন রান ছিল ১২২। ২০১৮ সালে ভারতের দেহরাদুনে আফগানদের বিপক্ষে মাত্র ১২২ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
সেবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে টাইগাররা ১৬৮ রানের টার্গেট নিয়ে খেলতে নেমেছিল।
এদিকে আজ শুরুতেই ব্যাটিংয়ে সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ। দলের অন্যতম ভরসা লিটন দাস দ্বিতীয় ম্যাচে করেছেন মাত্র ১৩ রান। বেশি আগ্রাসী হতে গিয়ে উইকেটে বিলিয়ে আসেন তিনি।
বিপিএলের হার্ডহিটার মুনিম শাহরিয়ার তার দ্বিতীয় আন্তর্জাতিকেও নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। আউট হয়ে যান মাত্র ৪ রান করে।
গত কয়েক ম্যাচ ধরে ব্যর্থ ওপেনার নাঈম শেখও ভালো কিছু করে দেখাতে পারেননি। অবশ্য আজ ভাগ্য বাধ সেধেছে। ২ বাউন্ডারিতে ১৯ বলে ১৩ রান করা এ ওপেনার রানআউট হয়ে ফেরেন।
এমন মুহূর্তে দলকে টেনে নেওয়ার দায়িত্ব এসে পড়ে দেশসেরা অলরাউন্ডার অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসানের উপর। কিন্তু তিনিও ব্যর্থ। ১৫ বলে ৯ রানে শেষ হয়ে যায় তার ইনিংস।
সাকিব যখন আউট হন তখন বাংলাদেশ মাত্র ৪৫ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারায়। এরপর মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ মিলে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন।
বলা যায় কঠিন বিপদের সময় তারা কিছুটা সফল হনও। কিন্তু দলীয় ৮৮ রানের সময় ২১ রান করে মাহমুদউল্লাহ এলবিডব্লিউ আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন।
তিনি বিদায় নেওয়ার পর মুশফিক ৩০ রান করে বিপজ্জনক বোলার ফজলহক ফারুকির বলে ক্যাচ আউট হন। এরপর ক্রিজে আসা মেহেদি হাসান প্রথম বলেই ফারুকির বলে বোল্ড আউট হন।
এরপর দলের সর্বশেষ স্বীকৃত ব্যাটসম্যান আফিফ হোসেন ১০৪ রানের সময় ব্যক্তিগত ৭ রান করে ক্যাচ আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে যান।
নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে শরিফুল ইসলাম কোনো রান করার আগে ফারুকির বলে বোল্ড হন।
আফগানদের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট তুলে নিয়েছেন ফজলহক ফারুকি ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই।