অনলাইন ডেস্ক : ভুয়া নথিপত্রের কারণে ভারতীয় শিক্ষার্থীদের দেশ থেকে ‘তাড়িয়ে’ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কানাডা প্রশাসন। তার জেরে অন্তত ৭০০ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। তবে গোটা বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। অবশেষে গোটা প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কানাডা প্রশাসন। মানবিকভাবে এই বিষয়টি বিচার করার জন্য কানাডাকে ধন্যবাদও জানিয়েছে ভারত।

চমনদীপ সিং নামে এক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, ‘এজেন্টদের মাধ্যমে আমরা কানাডায় এসেছিলাম। ওই এজেন্ট বলেন, যেসমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য আমরা এসেছিল সেখানে সমস্ত আসন ভরতি হয়ে গিয়েছে। তাই অন্য কলেজে আমাদের পড়ার ব্যবস্থা করা হবে। বাধ্য হয়ে এই প্রস্তাবেই রাজি হয়ে যাই। তিন-চার বছর কলেজে পড়ার পরে এখন জানতে পারছি, যে ভুয় অ্যাডমিশন লেটারের ভিত্তিতে আমাদের ভিসা দেয়া হয়েছিল।’ জানা গিয়েছে, ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যেই কানাডায় গিয়েছিলেন ওই শিক্ষার্থীরা।

সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে একাধিকবার এই সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর। কানাডার ভারতীয় হাই কমিশনারকেও এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে বলা হয়। তারপরেই আপ দলের সংসদ সদস্য বিক্রমজিৎ সিং সাহে জানান, কানাডা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। ওয়ার্ল্ড পাঞ্জাবি অর্গানাইজেশনের প্রেসিডেন্ট হিসাবে তার অনুরোধেই আপাতত এ সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছে কানাডা। প্রসঙ্গত একাধিকবার ভারতের তরফে বলা হয়েছে, ভারতীয় শিক্ষার্থীরা নির্দোষ। এজেন্টদের প্রতারণায় বিপাকে পড়েছেন তারা।

ভারতীয় শিক্ষার্থীদের বিতাড়নের সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত রাখার পরেই ভারতের তরফে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে কানাডার প্রশাসনকে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, কানাডার প্রশাসনেই কিছু ফাঁক ছিল। সেই কারণেই এত বেশি ভুয়া নথিপত্র তৈরি হয়েছে। সেই ভুয়া নথির ভিত্তিতেই এত বেশি শিক্ষার্থীকে কানাডার ভিসা দেয়া হয়েছে। তবে বিষয়টিকে নিয়মের পাশাপাশি মানবিক দিক থেকেও বিচার করছে কানাডা, সেই জন্য ভারতের তরফে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে তাদের। তবে শেষ পর্যন্ত ভারতীয় শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। সূত্র: এনডিটিভি।