অনলাইন ডেস্ক : আগামী বছরের গ্রীষ্মেই ব্যাপকহারে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রয়োগ হবে। ফলে পরবর্তী শীতেই মানুষের জীবন আবারো স্বাভাবিক হয়ে আসবে। এমনটাই মনে করেন করোনাভাইরাসের ‘কার্যকরী’ ভ্যাকসিন আবিষ্কার করা প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেকের প্রফেসর উগুর সাহিন। তিনি বলেন, এই শীতে যদিও জীবন বেশ কঠিন থেকে যাবে কারণ এখনো ভ্যাকসিন বড় পর্যায়ে প্রয়োগ শুরু করা যায়নি।

বিবিসি জানিয়েছে, গত সপ্তাহে বায়োএনটেক ও ফাইজারের ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে দেখা গেছে, এই ভ্যাকসিন শতকরা ৯০ ভাগ মানুষকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সক্ষম। তাদের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ৪৩ হাজারেরও বেশি মানুষ। বৃটেন এরইমধ্যে এর তিন কোটি ডোজ অর্ডার করেছে। এই বছরের মধ্যেই এক কোটি ভ্যাকসিন বৃটেনে পৌঁছাবে বায়োএনটেক।

তিন সপ্তাহের ব্যবধানে দুটো ডোজ দিতে হবে এই ভ্যাকসিনের।

প্রথম দিকে বৃদ্ধদের অগ্রাধিকারভিত্তিতে এই ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। যারা বৃদ্ধ নন তাদেরকে প্রথম ধাপে ভ্যাকসিন প্রদান করার কোনো পরিকল্পনা নেই বৃটিশ সরকারের। বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রফেসর সাহিন বলেন, এখন পর্যন্ত তাদের ভ্যাকসিনের একটি প্রধান পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। যেই স্থানে ভ্যাকসিন দেয়া হয় সেখানে মাঝারি মাত্রার ব্যাথা অনুভব হয় দীর্ঘদিন। একইসময় অনেকেই মাঝারি মাত্রার জ্বরে ভোগেন। তবে এর থেকে গুরুতর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এখনো সামনে আসেনি।

এর আগে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিনের প্রফেসর জন বেল জানিয়েছিলেন, আগামী বসন্তের পূর্বেই জীবন স্বাভাবিক হয়ে আসবে। তিনি বলেন, আমি খুব সম্ভবত প্রথম ব্যক্তি যিনি এ কথা বললেন। তবে আমি এটি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই বলেছি। যদিও প্রফেসর সাহিন বলেছেন, এত দ্রুত হয়ত জীবন স্বাভাবিক হবে না। তিনি বলেন, যদি সব পরিকল্পনা অনুযায়ী আগায় তাহলে আগামী বছরের প্রথম থেকেই ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হবে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, আগামী এপ্রিলের আগেই বিশ্বজুড়ে ৩০ কোটি ভ্যাকসিন সরবরাহ করা। এরপর থেকেই মূলত এর ফলাফল টের পাওয়া যাবে। এরপর গ্রীষ্মকাল এলে সংক্রমণ কমে যাবে এবং ব্যাপক মাত্রায় ভ্যাকসিন কার্যক্রম চলতে থাকবে। ফলে পরবর্তী শীত নাগাদ জীবন স্বাভাবিক হয়ে আসবে।