অনলাইন ডেস্ক : পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারে গত ২৬ জুলাই দেশটির সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করে। সেদিন বুধবার সন্ধ্যায় একদল সামরিক কর্মকর্তা দেশটির জাতীয় টেলিভিশন দখল করে এবং অভ্যুত্থানের ঘোষণা করে। এরপর থেকে দেশটিতে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

সবশেষ পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে সামরিক হস্তক্ষেপ করা হতে পারে- এমন আশঙ্কার কথা উল্লেখ করে দেশটির অভ্যুত্থানের নেতারা দেশটির আকাশপথ বন্ধ ঘোষণা করেছে। পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।

ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটট্রেডার জানিয়েছে, দেশটির আকাশসীমায় এখন কোনো বিমান নেই।

পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলো নিয়ে গঠিত সংস্থা ইকোনমিক কমিউনিটি অফ ওয়াস্টার্ন আফ্রিকান স্টেটস (ইকোয়াস) নাইজারের জান্তা সরকারকে হুঁশিয়ারি বার্তা দিয়েছিল, শাসনক্ষমতা প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমের হাতে ফেরত দিতে হবে, না হলে পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলো যৌথভাবে নাইজারের সেনা শাসকের বিরুদ্ধে লড়াই ঘোষণা করবে। ইকোয়াসের দেওয়া এই সময়সীমা গতকাল রোববার শেষ হয়েছে।

তবে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে নারাজ বর্তমান দেশটির জান্তা সরকারের একজন মুখপাত্র বলেছেন, দেশকে রক্ষা করার জন্য সশস্ত্র বাহিনী প্রস্তুত।

গত ২৬ জুলাই অভ্যুত্থানে প্রেসিডেন্ট বাজুককে আটক করা হয় এবং প্রেসিডেন্ট পদে বসেছেন সাবেক রাষ্ট্রপ্রধানের চিফ গার্ড জেনারেল আব্দুরাহমান চিয়ানি।

দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থান বিশ্বব্যাপী নিন্দা জানানো হয়েছে। ফ্রান্স থেকে শুরু করে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, জাতিসংঘ এবং যুক্তরাষ্ট্র এর কড়া নিন্দা জানিয়েছে এবং গণতান্ত্রিক সরকারকে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে বলেছে।

তবে জাতীয় টেলিভিশনে গতকাল রোববার নাইজার জান্তার প্রতিনিধি এক বিবৃতিতে জানায়, বিদেশি শক্তি নাইজারে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

এদিকে গত শুক্রবার ইকোয়াসের সামরিক প্রধানরা জরুরি বৈঠকের পর জানিয়েছে, তারা সম্ভাব্য বলপ্রয়োগের জন্য একটি বিশদ পরিকল্পনা তৈরি করেছেন। তাই আশঙ্কা করা হচ্ছে, দেশটিতে আরও একটি যুদ্ধ শুরু হতে যাচ্ছে।