অনলাইন ডেস্ক : ইংল্যান্ডে আইসোলেশনে থাকার নির্দেশ না মানলে ১০ হাজার ইউরো জরিমানা হতে পারে। দেশটির সরকার এ কথা জানিয়েছে।
বিবিসির খবরে জানা যায়, করোনাভাইরাস শনাক্ত হলে অথবা করোনায় সংক্রমিত রোগীর কাছাকাছি থাকলে আইসোলেশনে থাকার নিয়ম রয়েছে। না মানলে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে এ জরিমানা দিতে হবে।
নতুন নিয়মে কম আয়ের মানুষদের আইসোলেশনে থাকার সময় ৫০০ ইউরো আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হবে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বিধিনিষেধ জোরদার করেছেন।
স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসে নতুন করে ৪ হাজার ৪২২ জন সংক্রমিত হয়েছেন। মারা গেছেন ২৭ জন। স্কটল্যান্ডে করোনায় ৩৫০ জন শনাক্ত হয়েছেন। মে মাসের পর এটি সংক্রমণের সর্বোচ্চ হার। ওয়েলসে ২১২ ও আয়ারল্যান্ডে ২২২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
আইসোলেশন ভাঙলে প্রাথমিকভাবে ১ হাজার ইউরো জরিমানা করা হবে। আবার আইসোলেশন ভাঙলে ১০ হাজার ইউরো জরিমানা দিতে হবে।
ইংল্যান্ডে নতুন এসব নিয়মকানুন ঘোষণা করার সময় যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, প্রত্যেকের নিয়ম মেনে চলাই করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে রক্ষার সবচেয়ে ভালো উপায়।
বরিস জনসন আরও বলেন, নিয়ম মেনে চলার বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। করোনায় সংক্রমিত হলে অথবা এনএইচএস টেস্ট অ্যান্ড ট্রেস বিভাগ নির্দেশনা দিলে আইনত এসব নিয়ম মানতে সবাই বাধ্য। তিনি বলেন, ‘করোনার সংক্রমণ রোধে আমাদের সবকিছু করা প্রয়োজন। দুর্বল মানুষ যাতে করোনায় সংক্রমিত না হয়, সে জন্য আমাদের সবকিছু করতে হবে।’
কম ঝুঁকিপূর্ণের তালিকায় নেই—এমন দেশ থেকে যুক্তরাজ্যে ফিরে যাঁরা ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন মানবেন না, তাঁদেরও একই রকম শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে।
বোল্টনে ছুটি কাটাতে আসা এক ব্যক্তি আইসোলেশনে না থেকে রেস্তোরাঁয় ঘুরে বেড়িয়েছেন। ওই এলাকায় করোনায় সংক্রমণ বাড়ার জন্য আংশিকভাবে ওই ব্যক্তিকে দায়ী করা হয়।
করোনার সংক্রমণ রোধে যেসব বিধিনিষেধ আছে, সেগুলো প্রায়ই মানা হয় না। এ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন বরিস। সরকারের বৈজ্ঞানিক পরামর্শক প্রস্তাব করেছেন, প্রতি পাঁচজনে চারজন আইসোলেশনে থাকার নিয়ম ভাঙছেন। এসব কারণে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ইংল্যান্ডে আইসোলেশন ভাঙার জন্য জরিমানা করা হবে।
ল্যাঙ্কশায়ারের কিছু অংশে বেশ কিছু পাইলট প্রকল্প চালু করা হয়েছে। যাঁরা নিম্ন আয়ের এবং বাড়ি থেকে কাজ করতে পারবেন না, তাঁদের ৫০০ ইউরো দেওয়া হবে।
আঞ্চলিক রাজনৈতিক নেতারা—যেমন গ্রেট ম্যানচেস্টারের মেয়র অ্যান্ডি বার্নহাম—এ জন্য চাপ দিয়েছেন।
তবে করোনা পরীক্ষার ফল দেরিতে এলে দ্রুত আইসোলেশন সম্ভব না। ভারপ্রাপ্ত চ্যান্সেলর অ্যানেলিস ডডস আইসোলেশনে থাকা মানুষকে অতিরিক্ত আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা স্বাগত জানিয়েছেন।
যুক্তরাজ্য সরকার আশা করছে ওয়েলস, স্কটল্যান্ড, উত্তর আয়ারল্যান্ডে নতুন এই বিধিনিষেধ অনুসরণ করা হবে।
সরকারি কর্মকর্তারা জানান, যাঁরা আইসোলেশনে থাকবেন, তাঁদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখবে এনএইচএস টেস্ট অ্যান্ড ট্রেস। নিয়ম ঠিকমতো না মানলে পুলিশ ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। করোনার হটস্পটগুলোতে নজরদারি চালাবে পুলিশ।