স্পোর্টস ডেস্ক : ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে বাংলাদেশের প্রতিনিধি তারা দুইজন। রাজস্থান রয়্যালসে মুস্তাফিজুর রহমান ও কলকাতা নাইট রাইডার্সে খেলছেন বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান। সবকিছু ঠিক থাকলে শনিবারই প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখা মিলতো এই দুইজনের, সম্ভাবনা যদিও এখনো আছে, তবে সেটা ক্ষীণ।
আইপিএলে শনিবার রাতে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে খেলবে কলকাতা নাইট রাইডার্স ও রাজস্থান রয়্যালস। টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে বাংলাদেশি দুই তারকা ছিলেন দুই দলের একাদশে। কিন্তু সাকিব ইতোমধ্যেই জায়গা হারিয়েছেন কলকাতার একাদশে। মুস্তাফিজও সর্বশেষ ম্যাচে পারফরম্যান্সে ছিলেন বিবর্ণ।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে আইপিএলে নিজেদের প্রথম ম্যাচে সাকিবকে একাদশে রাখে কলকাতা। ওই ম্যাচে ব্যাট হাতে ৫ বলে ৩ রান করে আউট হয়ে গেলেও বল হাতে বেশ ভালো করেন সাকিব। ৪ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে বোল্ড করেন ঋদ্ধিমান সাহাকে। হায়দারাবাদের বিপক্ষে ১০ রানের জয় পায় তার দলও।
এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন সাকিব। ৯ বলে ৯ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। তবে বল হাতে ঠিকই নিজেকে চেনান বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার। কিপটে বোলিংয়ে ৪ ওভারে মাত্র ২৩ রান দিয়ে এক উইকেট নেন সাকিব। যদিও ওই ম্যাচে হেরে যায় তার দল।
কলকাতার একাদশ থেকে সাকিব মূলত বাদ পড়েন তৃতীয় ম্যাচে তার পারফরম্যান্সের কারণে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে যখন চেপে ধরেছিল কলকাতা। তখনই সাকিবকে আক্রমণে আনেন কলকাতার অধিনায়ক ইয়ন মরগান। কিন্তু দুই ওভারেই সাকিব দিয়ে দেন ২৪ রান।এরপর আর তাকে বোলিংয়েই আনেননি মরগান।
ব্যাট হাতে সাকিবকে ছয় নম্বরে নামায় কলকাতা। কিন্তু দলের যখন ওভার প্রতি ১০ এর বেশি রান দরকার, তখনই ২৫ বলে ২৬ রানের ধীরগতির ইনিংস খেলেন সাকিব। এই ম্যাচের পরই কলকাতার হেড কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সাকিবের বাদ পড়ার।
অন্যদিকে মুস্তাফিজুর রহমান প্রথম ম্যাচের পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে রান বন্যার ম্যাচে ৪ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন। পরের ম্যাচে আবার সুযোগ পেয়ে ৪ ওভারে ২৯ রানে ২ উইকেট নিয়ে অবদান রাখেন দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে দলের জয়ে।
এরপর চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে ৪ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে ১ উইকেট। সবশেষ ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোরের বিপক্ষে ৪ ওভারে ৩৪ রানে উইকেটশূন্য ছিলেন মুস্তাফিজ। সাকিবের চেয়ে অবশ্য তার একাদশে থাকার সম্ভাবনা বেশি। কারণ মুস্তাফিজের দলে হানা দিয়েছে ইনজুরি।
জফরা আর্চার ও বেন স্টোকস ইতোমধ্যেই ছিটকে পড়েছেন দলের বাইরে। মুস্তাফিজের একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী পেসার অ্যান্ড্রু টাই। তবে তার জায়গায় মুস্তাফিজের ওপরই ভরসা রাখবে রাজস্থান, এমনই আশা তার ভক্তদের।