ফরিদ আহমেদ: ১৯৭১ সালের মার্চ মাসের ২৯ তারিখে ফ্রান্সের তুলন শহরে অসাধারণ এক ঘটনা ঘটেছিলো। এই শহরের বন্দরে নোঙ্গর করা ছিলো পাকিস্তানের সাবমেরিন ম্যাংরো। অচিরেই সেটার যাত্রা শুরু হবার কথা পাকিস্তানের উদ্দেশ্য।
পঁচিশ তারিখ রাতে ঢাকায় গণহত্যা ঘটেছে, বাংলাদেশ স্বাধীনতা ঘোষণা করেছে, এই তথ্য এসে পোঁছেছে সাবমেরিনেও। সাবমেরিনে তখন কর্মরত ছিলেন চৌদ্দজন বাঙালি সাবমেরিনার। গোপন বৈঠকে বসেন তাঁরা। শুরুতে পরিকল্পনা করা হয় এটাকে হাইজ্যাক করবেন তাঁরা। তারপর এই সাবমেরিন নিয়ে অংশ নেবেন মুক্তিযুদ্ধে। কিন্তু, পর্যাপ্ত লোকবল না থাকায়, সেই পরিকল্পনা বাতিল হয়ে যায়। তখন সিদ্ধান্ত হয় পালানোর। পালিয়ে ভারতে যাবেন তাঁরা, সেখান থেকে মুক্তিযুদ্ধে।
চৌদ্দজনের মধ্যে নয়জন পালানোর পক্ষে আসেন। বাকি পাঁচজন রাজি হন না পশ্চিম পাকিস্তানে তাদের পরিবার পরিজন থাকার কারণে। কিন্তু, শপথ নেন যে এই পরিকল্পনার কথা কোনোক্রমেই ফাঁস করবেন না তাঁরা।
২৯ তারিখ সন্ধ্যার পরে এই নয়জন নানা অজুহাতে বন্দর থেকে বেরিয়ে যান। নানা নাটকীয় ঘটনা ঘটিয়ে দুইদিন পরে এঁদের মধ্যে আটজন পৌঁছে যান মাদ্রিদের ভারতীয় দূতাবাস। ভারতীয় দূতাবাস স্থানীয় পুলিশ এবং পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের চোখকে ফাঁকি দিয়ে এপ্রিল মাসের তাঁদের তুলে দেন ভারতগামী বিমানে। তাঁরা পৌঁছে যান দিল্লিতে।
মার্চ মাসের ৩১ তারিখ থেকে ভারত এসে দাঁড়ায় বাংলাদেশের পাশে। মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দেওয়া, প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত করার ব্যবস্থা নেয় তারা। একই সাথে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নির্যাতন থেকে বাঁচার জন্য পালিয়ে আসা মানুষের জন্য সীমান্ত উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধ অনিবার্য, এটা ভেবে নিয়েই রণ-পরিকল্পনা সাজানো শুরু করে তারা।
এই রণ-পরিকল্পনার নৌ অংশটার নাম ছিলো অপারেশন এক্স। ভারতের ধারণা ছিলো পাকিস্তান নৌবাহিনীই প্রথম আক্রমণ চালাবে ভারতের উপরে। সেটাকে ব্যর্থ করে দেবার পরিকল্পনা নিয়েই অপারেশন এক্স কাজ শুরু করে।
অপারেশন এক্সের জড়িত ছিলেন ক্যাপ্টেন মিহির কুমার রায় নামের একজন নৌ কর্মকর্তা। তিনি ন্যাভাল ইন্টেলিজেন্সে কাজ করতেন। মিকি নামে ডাকতো সবাই তাঁকে। মিকির পূর্ব-পুরুষ পূর্ব বাংলার বরিশাল থেকে পশ্চিমবঙ্গে গিয়ে আবাস গড়েছিলো। ফলে, পূর্ব বাংলা তথা বাংলাদেশের প্রতি তাঁর একটা নাড়ির টান এমনিতেই ছিলো।
১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসের কোনো এক সময়ে দিল্লিতে বসে, দিল্লিতে থাকা বাংলাদেশি আট সাবমেরিনারকে চিন্তার কেন্দ্রবিন্দুতে বসিয়ে মিহির কুমার রায় লিখে ফেলেন অসাধারণ একটা কনসেপ্ট নোট। ভারতীয় সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে লেখা কনসেপ্ট নোট বিবেচনায় এটাই ছিলো অন্যতম সেরা তাৎপর্যপূর্ণ নোট। ছয় পৃষ্ঠার ছিলো এই নোটটা। তাঁর নিজের দুর্বোধ্য ব্যক্তিত্বের মতো করেই দুর্বোধ্য হাতের লেখায় লিখেছিলেন তিনি এটা নীল রঙের কালিতে। এর শিরোনাম হিসাবে তিনি লিখেছিলেন, ‘জ্যাকপটঃ আন্ডারওয়াটার গেরিলা ফোর্সেস’। এই নোটের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য ছিলো পরিষ্কার, অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো উচ্চাভিলাষী আর অর্জনের প্রক্রিয়া ছিলো সুস্পষ্ট এবং নিখুঁতভাবে বর্ণিত। এই পরিকল্পনার মূলে ছিলো বাংলাদেশের সামরিক প্রশিক্ষণবিহীন কিন্তু শারীরিক এবং মানসিকভাবে শক্ত তরুণদের প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের মাধ্যমে জলের উপর এবং জলের গভীর থেকে নৌযান এবং বন্দরের উপর হামলা পরিচালনা করা।
এই এক নোটের মাধ্যমে অপারেশন এক্স এর গর্ভ থেকে জন্ম নেয় অপারেশন জ্যাকপট। অসম্ভব বুদ্ধিমান একজন ভারতীয় বাঙালির মস্তিষ্ক প্রসূত পরিকল্পনাকে বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশের একদল দুঃসাহসী তরুণ বাঙালি। যুদ্ধের ইতিহাসে নৌ কমান্ডোদের করা যতো অপারেশন আছে, তার মধ্যে অন্যতম সেরা অপারেশন হচ্ছে এই অপারেশন জ্যাকপট। একেবারে আনাড়ি তরুণদের স্বল্প সময়ের কঠোর প্রশিক্ষণ দিয়ে কমান্ডো বানিয়ে ছেড়ে দেবার পরে যে ধ্বংসাত্মক সক্ষমতা তারা দেখিয়েছিলো, প্রতিপক্ষের যে পরিমাণ ক্ষতিসাধন তারা করেছিলো, তার তুলনা মেলা ভার।
উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য তিনি নির্বাচিত যোদ্ধাদের তিরিশ জনের করে এক একটা ব্যাচ গঠনের জন্য বলেন। এদেরকে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে দিনে এবং রাতে যুদ্ধ করার জন্য তৈরি করা হবে। তাদেরকে বিস্ফোরকের উপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যাতে করে বন্দরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, জাহাজ, ফেরি, পন্টুন, বার্জ এগুলোকে ধ্বংস করতে পারে। এর মাধ্যমে নৌচলাচলকে বন্ধ করে দিতে হবে। চ্যানেলগুলো থেকে নেভিগেশন সহায়ক সব কিছু সরিয়ে নিতে হবে, নোঙর এবং কেবল কেটে দিতে হবে। সেই সাথে জলের নীচে প্রতিবন্ধক এবং ফাঁদ তৈরি করতে হবে, তেলের সংরক্ষণাগার ধ্বংস করে দিতে হবে। মিকির ভাষ্য অনুযায়ী, “বাঙালি নৌ-কমান্ডোরা হবে আধা-জলজ মাংসাশী প্রাণীর মতো – ছোট গড়নের, কিন্তু আক্রমণাত্মক শিকারী, যারা মোহনা, ম্যানগ্রোভ এবং উপক‚লীয় অঞ্চলে লুকিয়ে থাকা আস্তানা থেকে শত্রæর উপরে ঝাঁপিয়ে পড়বে।
কমান্ডো নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোন বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, সেটাও তিনি বলে দেন তাঁর নোটে। সেখানে বলা হয়, এদের হতে হবে দক্ষ সাঁতারু, দৈহিক এবং মানসিক শক্তিতে বলিয়ান, বয়স হবে ১৮ থেকে ৩০ এর মধ্যে। বিভিন্ন সেক্টর থেকে এদের নির্বাচন করতে হবে, যাতে করে সেই এলাকা সম্পর্কে তাদের জানাশোনা থাকে। তিনি বিশেষ করে উপক‚লীয় এলাকা চালনা, খুলনা, চট্টগ্রাম, ঢাকা, চাঁদপুর এবং বরিশাল অঞ্চলের ছেলেদের বেছে নেবার জন্য সাবমেরিন ম্যাংরো থেকে পালিয়ে আসা সাবমেরিনার লক্ষ্য রাখার পরামর্শ দেন। তিনি ২০০টা দল গঠন করার কথা বলেন, যেখানে সর্বমোট কমান্ডোর সংখ্যা হবে ৬০০।
অপারেশনটা তিনটা ধাপে সম্পন্ন হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
প্রথম ধাপে অংশ নেবে পঞ্চাশটা দল। এরা মূলত আক্রমণ চালাবে সমুদ্র এবং নৌ বন্দরে। এই ধাপে সমন্বিত আক্রমণের মাধ্যমে জাহাজ, নৌযান, লঞ্চ এবং বার্জ ডুবিয়ে দিয়ে চালনা এবং মংলা বন্দরকে অচল করে দিতে হবে।
দ্বিতীয় ধাপে অংশ নেবে একশোটা দল। এরা হবে পায়ে হাঁটা দল। বন্দর পেরিয়ে দেশের ভিতরে ঢুকে যাবে এরা। দেশের অভ্যন্তরের নৌ পরিবহনকে স্থবির করে দেবে এরা। জাহাজ ডুবিয়ে নৌপথকে বন্ধ করবে, নৌ চলাচলের সংকেতসমূহকে উপড়ে ফেলবে, নদীতে চলাচল করা ট্যাংকারকে অচল করে দেবে এবং পন্টুন এবং ফেরি উড়িয়ে দেবে।
তৃতীয় ধাপে অংশ নেবে দুইশোটা দল। এরা সমুদ্র বন্দর, নৌ-বন্দর, যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং দেশের অভ্যন্তরের নৌ ব্যবস্থাকে পুরোপুরি অচল করে দেবে,
কমান্ডো প্রশিক্ষণের লোক বাছাইয়ের দায়িত্ব পড়ে বাংলাদেশ সরকারের উপর। অপারেশন জ্যাকপটের পরিকল্পনা, প্রশিক্ষণ এবং অস্ত্রের সরবরাহ ভারতীয় নৌবাহিনীর। লোক বাছাই এবং কমান্ডোরা দেশের ভিতরে যাবার পরে তাদের আশ্রয়, নিরাপত্তা এবং অন্য যে কোনো ধরনের লজিস্টিক সাপোর্ট দেবার দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকারের।
প্রথম ব্যাচের লোক বাছাই করার পরে, এইসব মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে আসা হয় ভাগীরথীর নদীর পারে পলাশীতে। একদিন এখানেই বাংলার স্বাধীনতা অস্তমিত হয়েছিলো। দুইশো বছরেরও বেশি সময় পরে সেই একই পলাশীতে বাংলার একদল দামাল ছেলে প্রস্তুতি নিতে থাকে দেশ স্বাধীন করার জন্য।
প্রশিক্ষক হিসাবে নিয়ে আসা হয় আরেক বাঙালি সমীর দাসকে। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে একশো জন বাছাই করা মুক্তিযোদ্ধাকে নিয়ে শুরু হয় কঠোর কমান্ডো ট্রেনিং। দিন শুরু হতো সকাল পাঁচটায়। সাড়ে পাঁচটার মধ্যে সুইমিং স্যুট পরে লাইনে দাঁড়িয়ে যেতো তারা। সকালের প্রথম কাজ ছিলো জাতীয় সংগীত গাওয়া এবং জাতীয় পতাকাকে স্যালুট জানানো। ছয়টার সময়ে শুরু হতো পিটি, বুক ডন দেওয়া এবং খালি পায়ে আঁখ খেতের মধ্য দিয়ে দৌড়ানো। এক ঘণ্টা বিশ্রামের পর শুরু হতো তাত্তি¡ক ক্লাস। বিস্ফোরক এবং অপারেশনের সাথে জড়িত সমস্ত বিষয়ে জ্ঞান দেওয়া হতো সেখানে। তাত্তি¡ক ক্লাসের পরে শুরু হতো দীর্ঘমেয়াদী সাঁতার প্রশিক্ষণ। এর পরে লাঞ্চে যেতো প্রশিক্ষণার্থীরা। লাঞ্চের পরে শুরু হতো ক্ষুদ্র আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার এবং বিস্ফোরকের প্রশিক্ষণ। সাড়ে চারটার সময় ট্রি ব্রেক দেওয়া হও পঁয়তাল্লিশ মিনিটের। সূর্য ডোবার পরে এদের আবার নামিয়ে দেওয়া হতো পানিতে। ট্রেনিং এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিলো এটা। জিরো ভিজিবিলিটিতে পানির উপর এবং নীচ দিয়ে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করা।
অগাস্টের মধ্যেই প্রথম ব্যাচ তৈরি হয়ে যায় শত্রুর বুকে আঘাত করার জন্য। ছোট ছোট দলে ভাগ করে বাংলাদেশের মধ্যে ছেড়ে দেওয়া হয় তাদের। সবার সাথে ছিলো একটা করে লিমপেট মাইন, এক জোড়া ফিন, একটা গামছা, একটা ক্ষুদ্র অস্ত্র। দলনেতার কাছে একটা স্টেনগান আর একটা ছোট্ট রেডিও। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে নির্দিষ্ট গান বাজিয়ে সিগন্যাল দেওয়া হবে অপারেশনের জন্য তৈরি হওয়ার জন্য। অন্য আরেক গান বাজলে বুঝবে আঘাত হানতে হবে।
অগাস্ট মাসের চৌদ্দ তারিখ রাতে সারা দেশে একযোগে আক্রমণ চালায় কমান্ডোরা। ডুবিয়ে দেয় অসংখ্য জাহাজ, ধ্বংস করে বন্দরের ইনফ্রাস্ট্রাকচার। সাফল্যজনকভাবে শেষ হয় অপারেশন জ্যাকপটের প্রথম ধাপ। এই এক আক্রমণ এবং এর সফলতা মুক্তিযুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। বাংলাদেশের নৌ কমান্ডোরা যে এতো বড় আঘাত হানতে সক্ষম, সেটা মুক্তিবাহিনীর কাছেও অজানা ছিলো। মনোবল ফিরে পায় সবাই আবার। এর পরেও একাধিকবার নৌ কমান্ডোরা আঘাত করেছে। অগাস্ট থেকে মুক্তিযুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশেরর নৌ কমান্ডোরা একশ ছাব্বিশটা জাহাজ এবং নৌ যানকে ডুবিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছিলো।
পলাশীতে ট্রেনিং নেওয়া এই নৌ কমান্ডোরা শুধু যুদ্ধের মোড়ই ঘোরায়নি, এর মাধ্যমে বাংলাদেশ নৌবাহিনীরও জন্ম দিয়েছিলো তারা।
অপারেশন জ্যাকপট নিয়ে অনেক বইতেই আলোচনা আছে। যাঁরা এই অপারেশনে যুক্ত ছিলেন, তাঁদের কেউ কেউও বই লিখেছেন এ বিষয়ে। কিন্তু, সেগুলোতে সব বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গি ফুটে উঠেছে। ট্রেনিং থেকে শুরু করে অপারেশন পর্যন্ত তাঁরা জানেন। কিন্তু, এর পিছনের পরিকল্পনা, সেই পরিকল্পনা কীভাবে বাস্তবায়ন করেছিলো ভারতীয় নৌবাহিনী, সেই বিশাল কর্মযজ্ঞটা অজানাই থেকে গিয়েছে আমাদের কাছে। ‘অপারেশন এক্স’ নামের একটা বইতে সেই বিষয়গুলো বিস্তারিতভাবে উঠে এসেছে। এই বইটা যৌথভাবে লিখেছেন ক্যাপ্টেন এম, এন, আর, সামন্ত এবং স›দ্বীপ উনিথান। ক্যাপ্টেন সামন্ত ছিলেন অপারেশন এক্স এর স্টাফ অফিসার। ফলে, সমস্ত কিছুকেই দেখেছেন তিনি অনেক ভিতর থেকে এবং গভীরভাবে।
ক্যাপ্টেন সামন্তের আরেকটা পরিচয় রয়েছে, যেটা আমরা অনেকেই হয়তো জানি না। মুক্তিযুদ্ধের সময় গড়ে ওঠা বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রথম চীফ অব স্টাফ বা প্রধান তিনি। এই নিয়োগ তাঁকে বাংলাদেশ সরকারই দিয়েছিলো। তিন বাহিনীর মধ্যে নৌবাহিনীই একমাত্র ব্যতিক্রম, যার প্রধান হিসাবে নিয়োগ পেয়েছিলেন একজন বিদেশি নাগরিক। ১৯৭২ সালের এপ্রিল মাসের ছয় তারিখ পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্ব পালন করেন। এপ্রিলের সাত তারিখে ক্যাপ্টেন নুরুল হক নৌ প্রধানের দায়িত্ব বুঝে নেন তাঁর কাছ থেকে।