আমরা কিছুদিন ধরেই ব্যাংকিংয়ের লেনদেনের মাধ্যমে ছড়াতে পারে করোনা ভাইরাস সেই বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে আলোচনা ও সংবাদ প্রচারিত হচ্ছিল- স্বাস্থ্য বিধি না মেনে চলছে ব্যাংকিং কার্যক্রম যা কিনা ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে যেকোনো সময়। কৃষি ব্যাংকের একজন মৃত্যুবরণ করেছেন আর অগ্রণী ব্যাংকের মতিঝিল দিলকুশাস্থ প্রিন্সিপাল শাখার একজন কর্মকর্তা করোনা আক্রান্ত হওয়ায় শাখাটি লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ এখন সর্ব মোট ব্যাংকের সংখ্যা ৫৯টি আর এই ব্যাংক গুলোর মধ্যে আমরা সকল শ্রেণীর মানুষ কিছু ব্যাংকের উপরে বেশি ভরসা করি তার মধ্যে হচ্ছে- সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, কৃষি ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক ও পূবালী ব্যাংক। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে এই ব্যাংক গুলো ডিজিটালাইজেশনের ক্ষেত্রে এবং এটিএম (ATM) সার্ভিসের ক্ষেত্রে এতটাই পিছিয়ে আছে বর্তমান বেসরকারি ব্যাংকের থেকে যা বলা বাহুল্য। আমি ব্যক্তিগতভাবে বহুবার উপরোক্ত ব্যাংক গুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সাথে কথা বলেছি বর্তমান যুগের সাথে তাল মিলিয়ে সেবার মানকে আধুনিকরণ করতে। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মত আপনারাও সারা বাংলাদেশে এটিএম (ATM) সার্ভিসের সেবার সংখ্যা বৃদ্ধি করে ২৪/৭ গ্রাহকদের সেবা প্রদান করতে পারেন যার ফলে শাখাগুলোতে অনেকটাই গ্রাহকের লেনদেনে চাপ কমে আসবে এবং সেবার মান উন্নত হবে।
সময় যেহেতু কথা বলে…! তাই সময়ের, অসময়ের কিছু চাওয়া থাকে.! কিছু দাবি থাকে.! যা কিনা আজ এই ক্রান্তিলগ্নে হয়তো সরকার বাধ্য হবে ব্যাংকগুলোকে লকডাউন এর আওতায় নিয়ে আসতে অথবা অল্টারনেটিভ চ্যানেলে ব্যাংকিং সেবা প্রদান করতে। যে সমস্ত ব্যাংকের অল্টারনেটিভ চ্যানেল অথবা এটিএম (ATM) সার্ভিসের সংখ্যা খুবই সীমিত তাদের গ্রাহকরা এই দুর্যোগে কি পরিমান ভোগান্তিতে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে? তাই দুর্যোগ পরবর্তী কালে উপরোক্ত ব্যাংক গুলোর আধুনিকরণ করার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি।
ড. যশোদা জীবন দেবনাথ, সি.আই.পি, ব্যবস্থাপনা পরিচালক টেকনোমিডিয়া লিমিটেড