অনলাইন ডেস্ক : করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রুখতে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত বন্ধ রাখার মেয়াদ আরও একমাস বাড়ানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সীমান্ত বন্ধের মেয়াদ ২১ সেপ্টেম্বর শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে এখন তা আগামী ২১ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
কানাডার জননিরাপত্তা মন্ত্রী বিল ব্লেয়ার শুক্রবার বলেছেন, কানাডিয়ানদের নিরাপদ রাখতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞাটি মার্চ মাসের প্রথম দিকে চালু করে কানাডার সরকার। এরপর থেকে প্রতি মাসে মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
তবে জরুরি সেবা কাজে নিয়োজিত যেমন-স্বাস্থ্যসেবা, এয়ারলাইনস ক্রু এবং ট্রাক ড্রাইভারদের মতো প্রয়োজনীয় আন্তঃসীমান্ত কর্মীদের সীমান্ত পার হওয়ার অনুমতি রয়েছে। ট্রাকচালকরা বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন। কারণ তারা উভয়দিকে খাদ্য এবং চিকিৎসার সরঞ্জাম আনা-নেওয়ার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন।
কানাডিয়ানরা সীমান্ত খুলে দেওয়া হবে ভেবে শঙ্কায় ছিলেন। কারণ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর দিক থেকে বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান শীর্ষে।
কানাডাযতে কয়েক সপ্তাহ থেকে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। শুক্রবার কানাডার বৃহত্তম প্রদেশ অন্টারিওতে ৪০১ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
এখন পর্যন্ত কানাডায় ১ লাখ ৪২ হাজার ৭৭৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এবং ৯ হাজার ২১১ জন মারা গেছে এবং সুস্থ হয়েছে ১ লাখ ২৪ হাজার ১৮৭ জন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা চিন্তা করে বর্ডার না খোলার মেয়াদ বাড়ানোর এই সিদ্ধান্তকে কানাডিয়ানরা সময় উপযোগী এবং গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন। স্থানীয় নীতিনির্ধারক ও বিশ্লেষকেরা মনে করেন, বৈশ্বিক মহামারীর এই সময়ে দুই দেশের কথা চিন্তা করে বর্ডার খুলে দেওয়া ঠিক হবে না।
উন্নয়ন গবেষক ও সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষক মো. মাহমুদ হাসানের মতে, জননিরাপত্তা মন্ত্রী বিল ব্লেয়ার করোনা মোকাবিলায় সীমান্ত নিষেধাজ্ঞা বর্ধিতকরণের বিষয়ে যা বলেছেন, এটিই প্রমাণ করে কল্যাণ রাষ্ট্র হিসেবে কানাডা সব সময়ই জনগণের জানমালের নিরাপত্তাকেই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। শুরু থেকেই জাস্টিন ট্রুডো এবং তার সরকার মহামারি মোকাবিলায় যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে তা সর্ব মহলেই প্রশংসিত হয়েছে।