অনলাইন ডেস্ক : গতবারের চেয়েও এ বছর আমাজন আরো ভয়াবহভাবে পুড়ছে। প্রকৃতি বিজ্ঞানী ও ব্রাজিলের সংবাদ মাধ্যমে আমাজন বনাঞ্চলের দাবানল নিয়ে ভয়ঙ্কর তথ্য আসতে শুরু করেছে। যদিও ব্রাজিল সরকার এমনটি স্বীকার করছে না। কিন্তু ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানাচ্ছে, এ নিয়ে বিশেষজ্ঞরা চিন্তিত।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত বছরের চেয়ে আরও বেশি খারাপ হতে যাচ্ছে আমাজনে এই বছরের দাবানল পরিস্থিতি। স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত ছবি বলছে, জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত ব্রাজিলের অংশে পড়া আমাজনের ১৩ হাজার বর্গকিলোমিটারের বেশি অঞ্চল পুড়ে ছাই। আমাজনের দাবানল আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা। আমাজনে প্রতিবছর আগুন কী করে লাগছে প্রশ্ন তুলছেন বিজ্ঞানীরা।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, গতবারের মতো এবারেও হুমকির মুখে পরিবেশের ভারসাম্য।

অভিযোগ রয়েছে্‌ কাঠ ব্যবসায়ীদের অবাধ ছাড়, জমি ও খনি মাফিয়াদের সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া কর্পোরেট সংস্থাগুলোকে আমাজনের দুর্লভ খনিজ সম্পদ তোলার অনুমতি দিতেই আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও ব্রাজিল সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।

আমাজন পৃথিবীর প্রায় ২০ শতাংশ অক্সিজেন উৎপাদন করে। এক চতুর্থাংশ কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে। তাই আমাজন অরণ্য ‘বিশ্বের ফুসফুস’। এই বৃহত্তম বনাঞ্চল দক্ষিণ আমেরিকার ৯ টি দেশ জুড়ে বিস্তৃত। আমাজনের ৬০ শতাংশ রয়েছে ব্রাজিলে, ১৩ শতাংশ রয়েছে পেরুতে এবং বাকি অংশ কলম্বিয়া, ভেনেজুয়েলা, ইকুয়েডর, বলিভিয়া, গায়ানা, সুরিনাম এবং ফ্রেঞ্চ গায়ানা জুড়ে ছড়িয়ে।