টরন্টোর বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল গত শুক্রবার ‘রক্তাক্ত ২১ আগস্টের বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলা’ নিয়ে একটি স্মরণসভার আয়োজন করেছে। স্মরণসভায় দিবসটির জন্য প্রেরিত মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ এবং একটি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
কনসাল জেনারেল নাঈম উদ্দিন আহমেদ তার বক্তব্যে ১৬ বছর আগের এই দিনে ঘটে যাওয়া গ্রেনেড হামলার ভয়াবহতার কথা স্মরণ করেন। এই হামলায় তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা প্রধান লক্ষ্য ছিলেন, যিনি অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন, তবে কমপক্ষে ২৪ জন নেতা-কর্মী নিহত হয়েছিল এবং আরো প্রায় ৩০০ জন আহত হয়েছিলেন।
কনসাল জেনারেল নাঈম উদ্দিন আহমেদ বলেন যে, পৃথিবীর আর কোন গণতান্ত্রিক দেশে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে সরকারের প্রতক্ষ্য মদদে এভাবে বিরোধীদলীয় নেতাকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য নাশকতামুলক হামলা করা হয়েছে বলে তাঁর জানা নেই। এ ধরনের নগ্ন ও ঘৃণ্য গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে একটি ঐতিহ্যবাহী বড় দলকে নেতৃত্বহীন করার অপচেষ্টা করা ইতিহাসে বিরল। তিনি আরো বলেন যে, আরো ঘৃণ্য ও লজ্জাকর বিষয় এই যে ন্যায়বিচারকে উপহাস করে ২০০৪ সালে তৎকালীন ক্ষমতাসীন সরকার এ হামলার কুশীলব ও অপরাধীদের রার জন্য ‘জজ মিয়া নাটক’ মঞ্চস্থ’ করে। আমরা সৌভাগ্যবান যে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সে বর্বর হামলা থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন, এখন তার বিচক্ষণ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে। বাংলাদেশ এখন পৃথিবীতে উন্নয়নের রোল মডেল। কনসাল জেনারেল জাতির পিতার সোনার বাংলার বিনির্মাণে ভিশন ২০২১ এবং ভিশন ২০৪১ অনুযায়ী সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
মিশনের কর্মকর্তাগণ এ কর্মসূচীতে অংশ নিয়েছেন এবং বিশেষ প্রার্থনার মাধ্যমে কর্মসূচির পরিসমাপ্তি হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি