অনলাইন ডেস্ক : ভ্যাকসিন ইস্যুতে নড়েচড়ে বসেছে সরকার। দেশের বড় কয়েকটি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এ ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে। গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালস ছাড়াও আরো একটি কম্পানি ভেতরে ভেতরে ট্রায়ালের কাজ অনেকটা এগিয়ে নিয়েছে। এখন তারা সরকারের অনুমতি নিয়ে ট্রায়ালের বাকি পর্ব এবং ভ্যাকসিন উৎপাদন শুরুর কারিগরি প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করা একাধিক বিশেষজ্ঞ বিষয়টি জানিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ভ্যাকসিন বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল অনুসারে অনুমোদন নিয়ে একাধারে ট্রায়াল ও ভ্যাকসিন উৎপাদনে কোনো বাধা নেই, যা বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ এরই মধ্যে শুরু করেছে। আমাদের দেশেও হতে যাচ্ছে। এই প্রক্রিয়া দেশের ওষুধশিল্পের জন্য নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করবে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমএনসিঅ্যান্ডএইচের লাইন ডিরেক্টর ও পরিচালক ডা. সামছুল হক বলেন, ‘আমরা যেমন গ্যাভির মাধ্যমে ফ্রি বা স্বল্প মূল্যে করোনা ভ্যাকসিন পাওয়ার প্রক্রিয়ায় আছি, একইভাবে দেশে কিভাবে ভ্যাকসিন উৎপাদন করা যায় তা নিয়েও কাজ করছি। আগামী সপ্তাহে মন্ত্রীর নেতৃত্বে এ নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক হবে।’
গতকাল মন্ত্রণালয়ে ভ্যাকসিন বিষয়ে ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘বিশ্বের ২০০টিরও বেশি কম্পানি করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কারে কাজ করছে। এর মধ্যে ১৪১টি কম্পানি প্রাথমিক পর্যায়ে কাজ করছে, ২৫টি কম্পানি ভ্যাকসিন মানবদেহে পরীক্ষারত পর্যায়ে রয়েছে। এসব কম্পানির ভ্যাকসিনের গুণাগুণ বিচার-বিশ্লেষণ করে বাজারজাতের প্রথম পর্যায়ে এবং সবার আগে যেন বাংলাদেশ পায় সেটি নিশ্চিত করাই হচ্ছে সরকারের মূল লক্ষ্য।’
এদিকে আর মাত্র এক দিন পর রাশিয়ার ভ্যাকসিন আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে, যা নিয়ে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও রয়েছে ব্যাপক আগ্রহ। অবশ্য যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই টিকার কার্যকারিতা নিয়ে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আসছে।