অনলাইন ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্র মঙ্গলবার ইয়েমেনের হুতি গোষ্ঠীকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছে। এর আগে জানুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ পদক্ষেপের আদেশ দিয়েছিলেন।
ইরান সমর্থিত এই বিদ্রোহীরা ইয়েমেনের বেশির ভাগ অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে, যার মধ্যে রাজধানী সানা অন্তর্ভুক্ত। এ ছাড়া ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজা উপত্যকার যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে তারা।
হুতি বারবার লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ লক্ষ্য করেও হামলা চালিয়েছে, যা বৈশ্বিক বাণিজ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জলপথ।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এদিন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আজকের পদক্ষেপটি দেখায়, ট্রাম্প প্রশাসন আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থ, মার্কিন জনগণের নিরাপত্তা ও যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
এর আগে ট্রাম্প জানুয়ারির শেষের দিকে একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন, যাতে হুতিকে আবারও বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠনের (এফটিও) তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। প্রথম দফায় তার শাসনামলেই গোষ্ঠীটিকে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।
এবার এই পুনঃঘোষণার ফলে যারা হুতির সঙ্গে লেনদেন বা সহযোগিতা করবে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের আইনে বিচারের সম্মুখীন হতে পারে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মানবিক সংস্থাগুলোর আপত্তির পর হুতিকে এই তালিকা থেকে সরিয়ে দেন। কারণ তারা দাবি করেছিল, বিদ্রোহীদের সঙ্গে যোগাযোগ ছাড়া ইয়েমেনের দুস্থ জনগণের কাছে সহায়তা পৌঁছনো সম্ভব নয়। ইতিমধ্যে আরব উপদ্বীপের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ হিসেবে পরিচিত ইয়েমেন এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে বিশ্বের অন্যতম ভয়াবহ মানবিক সংকটের মুখে পড়েছে, যেখানে দেশটির তিন কোটি ৪০ লাখ জনগণের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল।
সূত্র : এএফপি