স্পোর্টস ডেস্ক : ফাইল ছবিমার্চ থেকে একের পর এক ক্রিকেট সিরিজ স্থগিত হয়েছে বাংলাদেশ দলের। তবে জুনের শেষ দিকে আশা ছিল শ্রীলঙ্কা সফরটি হবে। কারণ করোনা মহামারি শ্রীলঙ্কাকে তেমন স্পর্শ করেনি। বলতে গেলে বিশ্বের যেকোনো দেশের তুলনায় নিরাপদে ছিল ও আছে লঙ্কানরা। কিন্তু এরপরও ঝুঁকি নেয়নি বাংলাদেশ। কারণ টানা চার মাস কোনো অনুশীলন করেনি টাইগাররা। এমন অবস্থায় তিন ম্যাচের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের মিশন তো ভীষণ কঠিন হওয়ার কথা। তাই শেষ পর্যন্ত এই সফরটিও স্থগিত হয়ে যায়।
তবে এতে বিচলিত না হয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অপেক্ষায় ছিল এশিয়া কাপ ও অস্ট্রেলিয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য। কিন্তু এই দুই বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের ভাগ্যও বদলে দেয় ভয়াল করোনাভাইরাসের প্রভাব। তাই এ বছর টাইগারদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার সুযোগও শেষ হয়ে যায়। তাই উপায় না পেয়ে ফের শ্রীলঙ্কার দিকে হাত বাড়িয়েছে বিসিবি। আশায় আছে লঙ্কান বোর্ডের পুনঃসিদ্ধান্তের। বিসিবির সিইও নিজামুদ্দিন চৌধুরী সুজন এ বিষয়ে বলেন, ‘বিষয়টা হচ্ছে আমরা (বিসিবি) চাইলে তো আর হবে না আয়োজক হচ্ছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড। মূল বিষয়টা হলো তারা কখন চায়। তবে আমাদের চেষ্টা থাকবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সফরটা করার জন্য।’
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সিইও নিজামুদ্দিন চৌধুরীর কথাতেই স্পষ্ট তারা এই সিরিজটি পুনরায় আয়োজনে কতটা উদ্গ্রীব। তবে এখন আর কিছু করার নেই। তাকিয়ে থাকতে হবে লঙ্কান বোর্ডের দিকেই। বিষয় হচ্ছে কখন সময় দিবে তারা! ধারণা করা হচ্ছে যেহেতু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হচ্ছে না তাই সিরিজটি হতে পারে অক্টোবরেই। সে সময়টায় দুই দেশের কোনো সিরিজের শিডিউল আগে থেকেই ছিল না। তাই ফাঁকা সময়টাই বেছে নিতে পারে। আবার শোনা যাচ্ছে তিন টেস্টের বিষয়ে তাই প্রস্তুতিরও একটি বড় বিষয় আছে। সেখানে সিরিজটি ডিসেম্বরেও হতে পারে। বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান আকরাম খান বলেছেন তারা এই বছরের মধ্যেই চেষ্টা করবেন আয়োজনের। তবে সময়টা এমনভাবে নিতে হবে যেন বিপিএল আয়োজনে কোনো ধরনের সমস্যা না হয়। শুধু তাই নয় মাথায় থাকবে আইপিএল আসরও। কারণ অনেক লঙ্কান ক্রিকেটারই ভারতীয় এই টি-টোয়েন্টি লীগে অংশ নেয়।
বিসিবির সিইওর কথায় সময় নিয়ে কোনো স্পষ্টতা নেই। তিনিও বলেছেন এই বছরের মধ্যেই আয়োজন করতে চান। বলার অপেক্ষা রাখে না সেটি হতে পারে অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যেই। তিনি বলেন, ‘আমাদের যেহেতু লক্ষ্য আছে এ বছরের মধ্যে (শ্রীলঙ্কা সফর) করার। আমরা চেষ্টা করবো এ বছরেই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব করে ফেলার। কারণ এর পরে আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেট আছে। সেটা যত তাড়াতাড়ি শুরু করা যায় ততোই ভালো। শুরুর একটা ব্যাপারও আছে। তাই ঘরোয়া ক্রিকেট একই সঙ্গে ইন্টারন্যাশনাল কমিটমেন্ট।’ বিসিবির সিইও ঘরোয়া ক্রিকেট বলতে আসলে বিপিএলকেই ইঙ্গিত করেছেন। কারণ দেশের অন্যতম এই ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি আসর আয়োজন নিয়ে ঈদের পর তোড়জোড় শুরু হবে বলেই শোনা যাচ্ছে। আগেই জানানো হয়েছে বিপিএল আয়োজন করতে অন্তত তিন মাস সময় লাগবে বিসিবির। তাই এর মধ্যেই শ্রীলঙ্কা সফরটি সেরে নিতে চাইছে দেশের ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা। যতটা জানা গেছে বিপিএলের আগেই শ্রীলঙ্কা সফর শেষ করার ইচ্ছা বিসিবির। তবে সেই জন্য সময় দিতে হবে লঙ্কান বোর্ডকেই।