অনলাইন ডেস্ক : সিরিয়ায় আসাদ পরিবারের প্রায় ৫৪ বছরের স্বৈরশাসনের অবসান হয়েছে। আহমেদ আল-শারার নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) অগ্রযাত্রায় দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন বাশার আল আসাদ। এখন নতুন সিরিয়ায় নতুন স্বপ্ন দেখছেন অনেকে। এর মধ্যে নারীরাও পিছিয়ে নেই। দেশটির নতুন অন্তর্বর্তী সরকারে নবনিযুক্ত নারীবিষয়ক মন্ত্রী আয়শা আল-ডিবস বলেছেন, নতুন সিরিয়ার মুখ্য ভূমিকায় থাকবেন নারীরা। খবর আল জাজিরার।
আয়শা বলেছেন, এক দশকের বেশি সময় গৃহযুদ্ধ চলেছে। এতে দেশ নানা সংকটে জর্জরিত। এ জন্য দেশটি পুনর্গঠনে নারীদের অবদান রাখতে দিতে সক্ষম হবে তার প্রশাসন। দামেস্কে গত রবিবার আল জাজিরাকে আয়শা বলেন, সিরীয় নারীদের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোয় সম্পৃক্ত করতে এবং স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা খাতে যোগ্যতাসম্পন্ন নারীদের নিয়োগ দিতে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সিরিয়ার সব প্রদেশ ও সম্প্রদায়ের নারীদের আসন্ন জাতীয় সম্মেলনে অংশ নিতে উৎসাহ দেন আয়শা। ওই সম্মেলনে দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা।
এদিকে নতুন সরকারে বেশ কিছু মন্ত্রী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তবে মন্ত্রীদের প্রায় সবাই বিদ্রোহী নেতা শারা ঘনিষ্ঠজন হিসেবে সমালোচনা চলছে। বাশার পতনের দুই সপ্তাহ পর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পররাষ্ট্র দপ্তর গোছানো শুরু করেছে বিদ্রোহীরা। ক্ষমতাসীন জেনারেল কমান্ড গত শনিবার সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আসাদ হাসান আল-সিবানির নাম ঘোষণা করেছে। এ ছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারে প্রতিরক্ষামন্ত্রী পদে মুরহাফ আবু কাসরা নিয়োগ পেয়েছেন। তিনি সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) জ্যেষ্ঠ নেতা।