স্পোর্টস ডেস্ক : রুপালি পর্দার গল্পটাই যেন আনুশকা শর্মা বাস্তবে রূপ দিয়েছেন। বাস্তবে তাঁর নায়ক হচ্ছেন বিরাট কোহলি। দুই জগতের দুই তারকা চলছেন হাতে হাত রেখে। দুজনের সুখী দাম্পত্য জীবন আর পেশাদারি জীবনের সাফল্য যেন একই সুতোয় গাথা। এ সাফল্যে কোহলি পুরো কৃতিত্ব দিচ্ছেন আনুশকাকেই।
বিসিসিআই টিভিতে সতীর্থ মায়াঙ্ক আগারওয়ালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জীবন সঙ্গিনীকে নিয়ে কোহলির অকপট বিশ্লেষণ, ‘আনুশকা আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। তাকে পুরো কৃতিত্ব দেব। সে আমার জীবনের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিয়েছে। অনেক কিছু বড় করে দেখতে শিখিয়েছে। একজন খেলোয়াড় হিসেবে কীভাবে সবার সামনে উদাহরণ হয়ে ওঠা যায়—বোঝা সম্ভব হয়েছে আনুশকার জন্য। আমি আগে খুব চাপা স্বভাবের ছিলাম, একগুঁয়ে ছিলাম। আনুশকাকে যখন জীবনসঙ্গী হিসেবে পেলাম, দেখলাম ওর দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা। এটা আমাকে অনেক প্রভাবিত করেছে। জীবনে আসার পর সে আমাকে অনেক বদলে দিয়েছে। ওর মতো মানুষকে জীবনে পাওয়াটা একটা আশীর্বাদ আমার কাছে।’
মানসিকতা বদলের কথা তো বললেন। তরুণ সতীর্থ মায়াঙ্ককে ফিটনেসে পরিবর্তন আনার গল্পও শুনিয়েছেন কোহলি। দুরন্ত গতিতে ছুটে চলা এই ভারতীয় অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিকে নিয়ে একটা মজার স্মৃতি রোমন্থন করলেন। ২০১৫ সালের জুনে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে ধোনির অনুরোধে দুই–তিন ওভার কিপিং করতে হয়েছিল কোহলিকে। কিপিং করতে সেদিন তাঁর ভয়ই লাগছিল, ‘কিপিং করার সময় একটু ভয় লাগছিল। ৪৩ ওভার শেষ, উমেশ যাদব তখন পুরো গতিতে বোলিং করছিল। পুরোনো বল, ফ্লাড লাইটে খেলা—ভয় পাচ্ছিলাম, নাকে না লেগে যায়! হেলমেট পরে ফেলি। পরে ভাবলাম, কেমন হয়ে যাবে।’
ওই ম্যাচটা কিন্তু বাংলাদেশের কাছে বিশেষ স্মরণীয়, মোস্তাফিজুর রহমানের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ম্যাচটা মাশরাফিরা জিতেছিলেন ৭৯ রানে ।