অনলাইন ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও আসন্ন নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘ফ্যাসিস্ট’ বলে মন্তব্য করেছেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেটিক দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিস। কমলার এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, তিনি বাগাড়ম্বরপূর্ণ কথা বলেই যাচ্ছেন। আমাকে অ্যাডলফ হিটলার এবং তার মনে মনে আরো যা যা কিছু আছে, বলে ডেকে যাচ্ছেন। তিনি নিজেই তো ‘কমরেড কমলা হ্যারিস’। ট্রাম্প তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে ‘গণতন্ত্রের জন্য হুমকিস্বরূপ’ হিসেবেও বর্ণনা করেছেন।

এদিকে, ট্রাম্পের প্রচারণা দল কমলা হ্যারিসের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ এনেছে। প্রচারণা দলের মুখপাত্র স্টিভেন চেয়াং বলেছেন, কমলা হ্যারিস ক্রমশ মরিয়া হয়ে উঠছেন। কারণ, তিনি নড়বড়ে হয়ে পড়েছেন এবং তার প্রচারণা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, আগামী ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই অবস্থায় এক পক্ষ আরেক পক্ষের নামে বিষোদ্গার করবে, এটা একরকম স্বাভাবিক প্রবণতা। এ ধরনের বাক্যুদ্ধের মূল লক্ষ্য থাকে সমর্থকদের ভোট দেওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করা ও প্রতিপক্ষের প্রচারাভিযানকে ব্যাহত করা।

ডেমোক্রেটিক গ্রুপ থার্ড ওয়ের পলিটিক্যাল স্ট্র্যাটেজিস্ট ম্যাট বেনেটের মতে, দুই প্রার্থী এখন যেভাবে পরস্পরকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করছেন, তা হয়তো কৌশলগত।

যৌন হয়রানির অভিযোগ: স্ট্যাসি উইলিয়ামস নব্বইয়ের দশকের একজন মার্কিন মডেল। ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এবার যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তিনি বলেছেন, ট্রাম্প অনুমতি না নিয়েই তাকে যৌন হয়রানি করেছেন। অযাচিতভাবে তার শরীর স্পর্শ করেছিলেন।

তিনি দাবি করেন, ঘটনাটি ঘটেছিল ১৯৯৩ সালে নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটানের ট্রাম্প টাওয়ারে। ঐ সময় মডেলিং করছিলেন স্ট্যাসি। তিনি জানান, কুখ্যাত যৌন নিপীড়ক ও নারী পাচারকারী জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে তার পরিচয় ছিল। জেফরির সূত্রেই তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেছিলেন।

ট্রাম্পের সঙ্গে ১৯৯২ সালে প্রথম দেখা হয়েছিল পেশাদার মডেল স্ট্যাসির। সেটা ছিল বড়দিনের একটি পার্টি। ট্রামেপর সঙ্গে দেখা হওয়ার দিনের স্মৃতি হাতড়ে স্ট্যাসি বলেন, ‘তিনি (ট্রামপ) তাকে স্বাগত জানালেন এবং এক পর্যায়ে যৌন হয়রানি করেন।’ স্ট্যাসির বয়স এখন ৫৬ বছর।