অনলাইন ডেস্ক : এবার সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি ভোক্তাদের মুক্তি দিতে দু’স্তরের পর্যবেক্ষণ কৌশল উদ্ভাবন করলেন সরকারের একজন যুগ্ম সচিব। এ কৌশল নিয়ে কাজ করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। মডেলের উদ্ভাবক বলছেন, নতুন এ কৌশলে সরকারের অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় হবে না, লাগবে না বাড়তি জনবলও। এই মডেল নিয়ে কাজ করার পক্ষে অর্থনীতিবদিরাও। বিস্তারিত জানাচ্ছেন মামুন আব্দুল্লাহ।
বছরের পর বছর বাজারে অস্থিরতায় নাকাল মানুষ, সরকারও হিমশিম খাচ্চে তা নিয়ন্ত্রণে, এবার নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে কৌশল বের করেছেন মোংলা বন্দরে কর্মরত সরকারের একজন যুগ্ম সচিব।
এই বাজার মডেলে প্রতিটি উপজেলায় দু’টি করে কমিটি করা হবে। কমিটি-১’এ থাকবেন সরকারি কর্মকর্তা, কৃষক, হাটের সভাপতি-সম্পাদক। কমিটি-২’র সদস্য উপজেলা প্রশাসন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সরকার যে সব পণ্যের মূল্যে নজর রাখতে চায় গ্রামের হাট থেকে সেসব পণ্যের মূল্য সংগ্রহ করবেন সরকারি কর্মকর্তা। গড় মূল্য নির্ধারণের পর কমিটি-১ উপজেলা পর্যায়ে হাটের জন্য যৌক্তিক দাম নির্ধারণ করবে। যা বাজারে দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন করা হবে। ব্যত্যয় হলে মোবাইল কোর্ট বসানোসহ ব্যবস্থা নেবে কমিটি-২।
এসএমএস এর মাধ্যমে জেলা প্রশাসন থেকে পাঠানো মূল্যের গড় করে পরিবহন খরচ ও লাভ বিবেচনায় কমিটি-১ ঢাকা-চট্টগ্রামের বাজারের জন্য মূল্য নির্ধারণ ও প্রদর্শন করবে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই নির্ধারিত দাম স্থানীয় ক্যাবল অপারেটরদের মাধ্যমে প্রচার করা হবে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ভোক্তাকে স্বস্তি দিতে পারে এমন যে কোন কৌশল নিয়েই কাজ করা যেতে পারে। প্রজনন মৌসুমে ইলিশ না ধরার যে কৌশল তা উদ্ভাবন করেছিলেন সরকারি এই কর্মকর্তা।