অনলাইন ডেস্ক : অ্যান্ড্রয়েড ফোনের জন্য গুগলের রয়েছে একচেটিয়ে ব্যবসা। যে কোনো ধরণের অ্যাপের জন্য ব্যবহারকারীরা অধিকাংশই গুগলের ওপর নির্ভরশীল। তবে যুক্তরাষ্টের আদালত গুগলের এই একচেটিয়ে বাজার নিয়ে সরব হয়েছে। এবার ধরন পরিবর্তন করে ব্যবসার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসি’র প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের শুধু গুগলের অ্যাপ স্টোরের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রাখে অন্যান্য উৎস থেকেও অ্যাপ ডাউনলোড ও ক্রয়ের সুযোগ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের আদালত। এপিক গেমস স্টোর নামের এক অ্যাপ স্টোরের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের আদালত এ আদেশ দিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, এতে গুগল প্লে স্টোরের একচেটিয়া ব্যবসা বন্ধ হবে।

এর আগেও গুগল সার্চ ইঞ্জিন নিয়ে কড়া নির্দেশ দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের অপর এক আদালতের বিচারক। এদিন আদালতের জুরি গুগলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার পক্ষে অভিমত দেয়।

অ্যানড্রয়েড ফোনের প্লে স্টোর থেকে কোনো অ্যাপ ডাউনলোডের ক্ষেত্রে গুগল নির্দিষ্ট কিছু শর্ত আরোপ করে ফোন কোম্পানিগুলিকে। তিন বছরের জন্য কোম্পানিগুলো ফোনে গুগলের তৈরি অ্যাপই শুধুমাত্র ‘বাই ডিফল্ট’ হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। অর্থাৎ ওই অ্যাপগুলোই ফোনে ‘ইন-অ্যাপ’ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। গুগলের প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাপ সংস্থাগুলো এ সুযোগ পায় না। এবার এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধেই রায় দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের আদালত।

এদিকে এ রায় ২০২৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন আদালত। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ১ জুলাই পর্যন্ত ছাড় দেয়া হয়েছে। গুগল যাতে একচেটিয়া ব্যবসা করতে না পারে এবং প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থাগুলো যাতে সমান সুযোগ পায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে বলেছে আদালত।

রায়ে যুক্তরাষ্ট্রের আদালত বলেছে, এখন গুগল ও এপিকের কাজ হলো এ রায় বাস্তবায়নে তিন সদস্যের কারিগরি কমিটি গঠন করা। এপিক ও গুগলের পাশাপাশি তৃতীয় পক্ষের কেউ না কেউ থাকতে হবে।

উৎপাদনকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এছাড়া এ রায়ের বিরুদ্ধে আদালতে আপিল করা হবে। আদালতের রায় যদি কার্যকর করতে হয়, তাহলে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে যুক্তরাষ্ট্র তথা গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা ভোক্তাদের ওপর। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েট ফোনে আনতে হবে ব্যাপক পরিবর্তন।

এদিকে আইন বিশেষজ্ঞরা এ রায়কে মুষ্টিমেয় প্রযুক্তি জায়ান্টদের আধিপত্য বিস্তারে চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে বলে জানান।