অনলাইন ডেস্ক : ট্রাম্প শিবিরের তথ্য চুরি করে পাঠানো হয়েছিল বাইডেন শিবিরে। ইরানের হ্যাকাররা জো বাইডেনের প্রচারণার সঙ্গে যুক্ত ইমেলের সাহায্যে কয়েকজন ব্যক্তিদের কাছে তথ্য হ্যাক করে পাঠানো হয়েছিল। এমনই তথ্য সামনে নিয়ে এল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এই নিয়ে আরও গভীর তদন্ত চলছে।
স্থানীয় সময় বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এফবিআই), সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার সিকিউরিটি এজেন্সি এবং ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের কার্যালয় এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইরানের হ্যাকাররা ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার কিছু তথ্য চুরি করে। শুধু তাই নয় এই তথ্য চুরি করার পর ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রচারণার সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন ব্যক্তিদের কাছে পাঠিয়েছিলেন।
এই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গত জুন মাসের শেষ থেকে জুলাই মাসের প্রথম দিকে ট্রাম্প শিবিরের এসব তথ্য চুরি করে কিছু অযাচিত ইমেইলের মাধ্যমে বাইডেনের নির্বাচনী প্রচারণার সঙ্গে যুক্ত কিছু ব্যক্তির কাছে পাঠানো হয়েছিল। তবে এসব ইমেইল যারা পেয়েছিলেন তারা হ্যাকারদের উত্তর দিয়েছিলেন কিনা, সেই বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এই নিয়ে আরও গভীর তদন্ত চলছে। তাঁদেরকে (বাইডেনের নির্বাচনী প্রচারণার সঙ্গে যুক্ত কিছু ব্যক্তি) জিজ্ঞাসাবাদও করা হতে পারে।
অন্যদিকে এফবিআই ও অন্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর দাবির বিষয়ে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট জানান, ‘হ্যাকিংয়ের বিষয়টি এটাই প্রমাণ করে যে কমলা হ্যারিস ও জো বাইডেনকে সহায়তা করতে নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করছে ইরান।’ এর কারণ হিসেবে লেভিট যুক্তি দেখান যে, ‘ইরানের কর্মকর্তারা জানেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প (ইরানের ওপর) নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবেন এবং (মধ্যপ্রাচ্যের) আঞ্চলিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন।’
এই নিয়ে বাইডেন ও কমলার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। বাইডেনের সহযোগীদের কাছে পাঠানো এসব ইমেইল নিয়ে কী করা হয়েছে, বাইডেন ও কমলার কাছে সেটার ব্যাখ্যা চেয়েছেন ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার মুখপাত্র লেভিট। তার প্রশ্ন হল, তারা কী জেনেছিলেন? তারা কখন এসব জেনেছিলেন? যদিও এই নিয়ে কমলার নির্বাচনী প্রচারণার মুখপাত্র মরগান ফিঙ্কেলস্টেইন জানান, হ্যাকিংয়ের বিষয়টি জানার পর ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রচারণা শিবির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করেছে। তিনি আরও জানান,‘(ডেমোক্রেটিক পার্টির) প্রচারণা শিবিরে সরাসরি কী পাঠানো হয়েছিল সে সম্পর্কে আমরা কিছুই জানি না। হয়তো কিছু ব্যক্তির ব্যক্তিগত ইমেইল (আইডি) নিশানা করা হয়েছিল।’
তবে এটি প্রথমবার নয় এর আগেও ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ করা হয়েছিল। যদিও ইরান যুক্তরাষ্ট্রের এই দাবি অস্বীকার করেছিল।এবার ইমেল হ্যাক করার পেছনে ইরানের হাত আছে,এমন অভিযোগ ওঠার পর নিউইয়র্কে অবস্থিত জাতিসংঘের প্রধান কার্যালয়ে ইরানের স্থায়ী মিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে মিশনের কর্মকর্তারা কোন মন্তব্য করেন নি।