অনলাইন ডেস্ক : কট্টরপন্থী তালেবান সরকারের প্রতি অবজ্ঞা জানিয়ে প্রথমবারের মতো বিদেশের মাটিতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন আফগানিস্তানের তরুণীরা।মানবাধিকারের ওপর তালেবানের নেতৃত্বাধীন সরকারের চলমান হামলার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ঐক্যবদ্ধ কণ্ঠস্বর গড়ে তোলেন তারা। ইউরোপের দেশ আলবেনিয়ার রাজধানী তিরানায় অল আফগান উইমেন সামিট নামের ওই সম্মেলনে ১৩০ জনের বেশি নারী ও তরুণী জড়ো হয়েছেন।

কিছু নারী যারা আফগানিস্তান থেকে এই সম্মেলনে যোগ দেয়ার চেষ্টা করেছিল তাদেরকে দেশ ছাড়তে বাধা দেয়া হয়। পাকিস্তানে যাওয়ার সব ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়া হয় এবং সীমান্ত পথ আটকে দেয়া হয়। অনেক তরুণী ইরান, কানাডা, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ থেকে সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। এসব দেশে তারা শরণার্থী হিসেবে বসবাস করছেন।

আয়োজকরা বলেছেন, এই শীর্ষ সম্মেলনটি যা আয়োজনে দুই বছর লেগেছে তা তিরানায় আলবেনিয়ার সরকারের সহায়তায় আয়োজিত হয়েছে। তবে এর আগে ইউরোপের একাধিক সরকার এমন সম্মেলন আয়োজনকে নাকচ করে দেয়। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

নারীর অধিকারবিষয়ক কর্মী এবং সাবেক আফগান আইনপ্রণেতা ফাওজিয়া কুফি বলেন, ‘সমাজের সব স্তরের আফগান নারীরা তাদের প্রচেষ্টাকে একত্রিত করেছেন আফগানিস্তানের বর্তমান নৈরাজ্যকর স্থিতাবস্থা ভেঙে দিতে। সম্মেলনটি এমন একটি সময় আয়োজিত হয়েছে যখন আফগানিস্তানে অবস্থান করা নারীদের সমাজের সব কর্মকাণ্ড থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে। ফাওজিয়া কুফিদের সংগঠন উইমেন ফর আফগানিস্তান এই শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক।

তিনি আরও বলেন, ‘তালেবানরা যেভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে তার জন্য কীভাবে তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা যায় এবং কীভাবে দেশের অভ্যন্তরে নারীদের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি করা যায় সে বিষয়ে আমরা ঐক্যমত্যে এসেছি ও কৌশলগত লক্ষ্য অর্জনে কাজ শুরু করে দিয়েছি।’

তালেবানের নতুন আইন ‘অপকর্ম এবং ভালো কর্ম’ প্রকাশ করার কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এই শীর্ষ সম্মেলনটি আয়োজন করা হয়। এই আইন বাস্তবায়নের মধ্যে দিয়ে জনসমক্ষে নারীদের কণ্ঠস্বরকে নিষিদ্ধ করা এবং নারীদের জন্য ঘরের বাইরে যেতে হলে সম্পূর্ণরূপে শরীর ঢেকে রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়।