অনলাইন ডেস্ক : দেশ সংস্কারের জন্য নিজস্ব রাজনৈতিক দল গঠনের কথা বিবেচনা করছেন বিক্ষোভকারী ছাত্রসংগঠকরা। চার সংগঠকের সঙ্গে সাক্ষাৎকারের পর এমন তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

শুক্রবারের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার পতনের পর দ্রুত নির্বাচনের জন্য দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের আহ্বানকেও প্রত্যাখ্যান করেছেন তারা। শেখ হাসিনার ১৫ বছরের স্বৈরশাসনের পুনরাবৃত্তি এড়াতেই নতুন দল গঠনের আশা তাদের।

শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধানের দায়িত্ব নিয়েছেন নোবেল শান্তি বিজয়ী ড. মোহাম্মদ ইউনূস। এ সরকারের দুটি সিনিয়র উপদেষ্টা পদে রয়েছেন দুই ছাত্রনেতা। গত তিন দশকের বেশির ভাগ সময়েই বাংলাদেশ শাসন করেছে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ ও তার প্রতিদ্বন্দ্বী খালেদা জিয়ার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। দুজনই বয়সে বয়োবৃদ্ধ।

তাই নতুন দল গঠনের আশা তরুণদের। সরকার ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে লিঁয়াজোর একটি কমিটির প্রধান মাহফুজ আলম বলেন, ছাত্রনেতারা একটি রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়ে আলোচনা করছেন, যাতে বড় দুই দলের আধিপত্যের অবসান ঘটে।

২৬ বছর বয়সী আইনের এক ছাত্র রয়টার্সকে বলেন, এক মাসের মধ্যে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ছাত্রনেতারা একটি রাজনৈতিক দল গঠন করার আগে সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে ব্যাপকভাবে পরামর্শ করতে চান।

যদিও এই আন্দোলনের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা ছাত্রদের এর আগে বিশদভাবে জানানো হয়নি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ফটকে তিনি বলেন, ‘দুই রাজনৈতিক দলের প্রতি মানুষ সত্যিই ক্লান্ত। আমাদের ওপর দেশের মানুষের আস্থা আছে।’

গণমাধ্যমের তথ্যানুসারে, গত জুনে সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের ২০১৮ সালের প্রজ্ঞাপন বাতিলের পরপরই শুরু হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ আন্দোলনকারীদের অধিকাংশই ছিলেন ২০ থেকে ২৫ বছর বয়সী।

কয়েক দিনের মধ্যে আন্দোলনের তীব্রতা বাড়তে থাকলে হাসিনার সরকার তাদের ওপর দমন-পীড়ন শুরু করে। ওই সহিংসতায় কমপক্ষে ৩০০ আন্দোলনকারী নিহত হয়েছে। যা ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় নিহতের ঘটনা।

বছরের পর বছর বেকারত্বের বৃদ্ধি, দুর্নীতির অভিযোগ ও নাগরিক স্বাধীনতা লঙ্ঘনের ফলে তরুণ বাংলাদেশিদের মধ্যে এ ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। এই আন্দোলনকে ‘জেন জেড’ বিপ্লব হিসেবে পরিচয় দেওয়া হয়েছে।

সূত্র : রয়টার্স